img

প্রথম বারের মত কেমিক্যাল অলিম্পিয়াড আয়োজন করল বাংলাদেশ

প্রকাশিত :  ১০:২৬, ২১ মে ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট: ১০:২৭, ২১ মে ২০১৯

প্রথম বারের মত কেমিক্যাল অলিম্পিয়াড আয়োজন করল বাংলাদেশ

জনমত ডেস্ক: প্রথমবারের মতো কেমিক্যাল অলিম্পিয়াড আয়োজন করে বাংলাদেশ ইতিহাসে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। 
সোমবার (২০ মে) বিসিএসআইআর-এর ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসের (ডিআরআইসিএম) কেমিক্যাল মেট্রোলজি অলিম্পিয়াড-২০১৯ এবং ওয়াল্ড মেট্রোলজি ডে উদযাপন উপলক্ষে  ডিআরআইসিএম অডিটোরিয়ামে একটি সেমিনারের তিনি এ কথা বলেন। 
এ অলিম্পিয়াডে অংশ গ্রহণ করছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিযোগিতার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। গত ১৭ মে প্রথম রাউন্ড এবং ২০ মে দ্বিতীয় রাউন্ড, এদের মধ্যে হতে চুড়ান্ত রাউন্ডে অংশগ্রহণ করবে। বাংলাদেশে কেমিক্যাল মেট্রোলজি সর্ম্পকে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং অর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এর অবদান সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করতে আয়োজন করা হচ্ছে এই কেমিক্যাল মেট্রোলজি অলিম্পিয়াড।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মাননীয় মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রথম বারের মত অলিম্পিয়াড আয়োজন করায় আমরা ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে পূর্বে হতে তেমন চর্চা শুরু করিনি। তবে কথার কথা হিসেবে আমরা পরিমাপ পরিমান করার অনেক কথা ব্যবহার করেছি। যেমন, আমরা বলি একবুক পানি, এক হাত দেখান, মেপে মেপে কথা বলা ইত্যাদি। আসলেই পরিমাপ পরিমান খুবই প্রয়োজনীয় এখন বিশ্বে একই পদ্ধতিতে পরিমাপের প্রচলন চালু হচ্ছে।’
বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘বিজ্ঞানের বিস্ফোরণ ঘটছে বাংলাদেশে। এ দেশের ছাত্র-ছাত্রীরা বিশ্বের অনেক বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা পড়া করছে। আমি আশা করি তারা যেন ফেরত এসে পরবর্তী প্রজন্মকে শিক্ষা দেয়।’
সভাপতির বক্তব্যে পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা গবেষণাকে জনমুখী করতে চাই। জনগণের প্রয়োজন অনুযায়ী গবেষণা করব। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আমরা একটি টেস্টিং রিপোর্টসহ অন্যান্য তথ্যাদির ডাটাবেইজ তৈরি করব। ফলে সকলে এই ডাটা বেইজের সুবিধা নিতে পারবেন। কেমিক্যাল মেট্রোলজি অলিম্পিয়াড ২০১৯ এর মত প্রতিবছর বিসিএসআইআর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।’
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


img

গুগলকে টেক্কা দিতে সার্চ ইঞ্জিন আনছে ওপেনএআই

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১২ মে ২০২৪

ফোনে কিংবা কম্পিউটারে গুগল সার্চ ইঞ্জিনই বেশি ব্যবহৃত হয়, যা গুগলের নিজস্ব উদ্ভাবন। এবার এই প্রতিষ্ঠানটিকে টেক্কা দিতে মাঠে নামছে চ্যাটজিপিটি ডেভেলপার ওপেনএআই। যারা চ্যাটজিপিটি সার্চ ইঞ্জিন চালু করছে। ধারণা করা হচ্ছে এই সার্চ ইঞ্জিন চালু হলে গুগলকে রীতিমতো বেকায়দায় ফেলবে।

ওপেনএআই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) সার্চ ইঞ্জিন ফিচার নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে। এর মাধ্যমে গুগল সার্চের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতায় নামবে কোম্পানিটি। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।

আগামী সোমবার ফিচারটি উন্মোচন করতে পারে কোম্পানিটি। ব্লুমবার্গ ও দ্য ইনফরমেশনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অ্যালফাবেটের মালিকানাধীন গুগল কোম্পানি ও নতুন এআই স্টার্টআপ পারপ্লেক্সিটির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে নতুন একটি সার্চ ইঞ্জিন তৈরির চেষ্টা করছে মাইক্রোসফট সমর্থিত ওপেনএআই।

আগামী মঙ্গলবার গুগলের বার্ষিক ডেভেলপার কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটির এআইভিত্তিক বিভিন্ন পণ্য এই অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হবে। তাই এই অনুষ্ঠানের আগেই ওপেনএআই নতুন সার্চ ইঞ্জিন উন্মোচন করতে পারে বলে বিভিন্ন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন।

ব্লুমবার্গের মতে, চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিরই একটি এক্সটেনশন হবে ওপেনএআইয়ের সার্চ ইঞ্জিনটি। এর মাধ্যমে চ্যাটজিপিটি ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি তথ্য ও উদ্ধৃতি তুলে ধরতে পারবে। টেক্সটের মাধ্যমে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হলে চ্যাটজিপিটি চ্যাটবট মানুষের মতো উত্তর দিতে পারে।

চ্যাটজিপিটিকে অনেক আগে থেকেই অনলাইনে তথ্য জানার বিকল্প হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রযুক্তি খাতের বিশ্লেষকেরা। তবে এটি নির্ভুল ও ওয়েবসাইট থেকে সাম্প্রতিক তথ্য তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে।

মাইক্রোসফটের বিং সার্চ ইঞ্জিনের সঙ্গে ওপেনএআইয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে। আর গুগল তার সার্চ ইঞ্জিনেই এআই জেনারেটিভ ফিচার যুক্ত করেছে। ওপেনএআই প্রাক্তন গবেষক পারপ্লেক্সিটি নামের নতুন একটি স্টার্টআপ শুরু করেন। কোম্পানিটির মূলধন এখন ১০০ কোটি ডলার। এআইভিত্তিক সার্চের ইন্টারফেসের কারণে স্টার্টআপটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফল উদ্ধৃতি, টেক্সট ও ছবি দেখায়। গত জানুয়ারিতে এক ব্লগ পোস্টে কোম্পানিটি বলে, এতে ১ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে।

২০২২ সালের নভেম্বরে চালু হওয়ার পর ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাপ হিসেবে পরিণত হয় চ্যাটজিপিটি। সেসময় প্ল্যাটফর্মটিতে ১০ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল। তবে গত বছর চ্যাটজিপিটিতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়তে-কমতে দেখা যায়। ওয়েবসাইট ট্রাফিক ও পারফরম্যান্স বিশ্লেষণকারী সংস্থা সিমিলারওয়েবের মতে, ২০২৩ সালের মে মাসে প্ল্যাটফর্মটিতে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল। চ্যাটজিপিটিতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়াতে চাপের মুখে রয়েছে কোম্পানিটি।