img

বন্যার্তদের ঘর করে দিবেন অনন্ত-বর্ষা

প্রকাশিত :  ১০:২৩, ২৬ আগষ্ট ২০২৪

বন্যার্তদের ঘর করে দিবেন অনন্ত-বর্ষা

দেশের পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোর অর্ধকোটি মানুষ ভয়াবহ বন্যায় অসহায় হয়ে পড়েছে । বন্যার্তদের সহযোগীতায় এগিয়ে আসছেন অভিনেতা-অভিনেত্রী, সংগীত শিল্পীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ও সংগঠন। এমনকি যারা এমুহুর্তে কাজের সূত্রে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন তারাও বন্যার পরিস্থিতি নিয়ে সরব রয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

তাদের মধ্যে রয়েছেন ঢালিউডের তারকা জুটি অনন্ত জলিল ও বর্ষা। ব্যাবসায়িক কাজে দেশের বাইরে থাকলেও বন্যার্তদের জন্য সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন এ দম্পতি। 

পাশাপাশি রোববার সচিবালয় ঘেরাও করে আনসার বাহিনীর আন্দোলনের ঘটনা নিয়ে নিন্দাও জানিয়েছেন অনন্ত। 

সোমবার সকালে এক ফেসবুক পোস্টে অনন্ত জলিল লেখেন, “যেখানে বন্যার কবলে পড়ে অসহায় মানুষেরা ক্ষুধার্ত ও ঘরবাড়ি ছাড়া এবং তাদের সমস্ত কিছু ভেসে গেছে। আর তখন আমরা তাদের পাশে না দাঁড়িয়ে আন্দোলন করে আমাদের দাবি আদায়ের চেষ্টা করছি। এটা কোন বিবেকবান মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আসুন আমরা সবাই সবকিছু ভুলে গিয়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে মানুষ হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেই। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্যকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন।”

শেষে বিশেষ দ্রষ্টব্য উল্লেখ করে অনন্ত লেখেন, ‘আমি আমার ব্যবসার কাজে এখন দেশের বাহিরে অবস্থান করছি, ইনশাআল্লাহ  দেশে ফিরে আমি আমার কোম্পানির পক্ষ থেকে রেস্কিউ টিমসহ ত্রাণের ব্যবস্থা করব।’

অন্যদিকে অনন্ত জলিলের স্ত্রী চিত্রনায়িকা বর্ষাও একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেছেন। এসময় তিনি লেখেন, ‘একা করলে সেটি ছোটকিছু, অনেকে একসঙ্গে করলে সেটি অনেক বেশিকিছু।’ 

আরও লেখেন, ‘ইনশাআল্লাহ দেশে এসে আমি হোক একটা বা দুইটা বা তিনটা, তাদের হারিয়ে যাওয়া ঘর করে দিতে চাই।’

img

মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশিত :  ০৯:২১, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

দেশের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী এবার আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়লেন। পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখার বিনিময়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ, হুমকি-ধামকি এবং ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে করা মামলায় মেহজাবীন এবং তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

রোববার (১৬ নভেম্বর) আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলাটিতে আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য ধার্য ছিল। তবে তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ১০ নভেম্বর ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ আফরোজা তানিয়া তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, বাদীর সঙ্গে দীর্ঘদিন পরিচয়ের সুবাদে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আসামি মেহজাবীন চৌধুরীর নতুন পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখবে বলে নগদ অর্থে এবং বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে মোট সাতাশ লাখ টাকা দেন। এরপর মেহজাবীন ও তার ভাই দীর্ঘদিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ না নেওয়ায় বাদী বিভিন্ন সময় টাকা চাইতে গেলে আজকে দেবো কালকে দেবো বলে দীর্ঘদিন কালক্ষেপন করে।

এতে আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে আসতে বলেন। ওইদিন ঘটনাস্থলে গেলে মেহজাবীন ও তার ভাইসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা বলেন, ‘এরপর তুই আমাদের বাসায় টাকা চাইতে যাবি না’ তোকে বাসার সামনে পুনরায় দেখলে জানে মেরে ফেলব। এসব কথা বলে তারা বাদীকে জীবননাশের হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ভাটারা থানায় গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করার জন্য পরামর্শ দেয়।

এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭/ ১১৭(৩) ধারায় মামলা দায়ের করেন।