img

হরেক রকমের পুডিং এর রেসিপি জেনে নিন

প্রকাশিত :  ১২:১২, ২১ মে ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:১২, ২২ মে ২০১৯

হরেক রকমের পুডিং এর রেসিপি জেনে নিন

আপনাদের জন্য এখন দেওয়া হচ্ছে একটি রেসিপিগুচ্ছ। এটি রেসিপিগুচ্ছতে রয়েছে সবই পুডিং এর রেসিপি। দেখে নিতে পারেন রেসিপিগুলো।

২ লেয়ার পুডিং

উপকরণ :

ডিম ৪ টি

লিকুইড দুধ ১ কাপ (ঘন)

চিনি হাফ কাপের একটু বেশি (মিষ্টি কম বেশি খেতে চাইলে সে অনুযায়ী দিবেন)

ভ্যানিলা এসেন্স ১ চা.চা. (না দিলেও হবে)

প্রণালী:
(ক্যারামেলের জন্য পুডিং যে পাত্রে করবেন সে পাত্রে ২.৫ টে.চা. চিনি, এক টেবিল চামচ পানি দিয়ে মাঝারি -কম আচেঁ চুলায় রেখে নাড়তে থাকবেন। বাদামি রঙ হলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নেবেন।)

 

অন্য একটি পাত্রে ডিম, দুধ, চিনি, ভ্যানিলা এসেন্স সব একসাথে মিশিয়ে নাড়তে থাকবেন চিনি গলে যাবার আগ পর্যন্ত। অতিরিক্ত নাড়লে পুডিং ভালো হবেনা। এবার মিশ্রণটিকে সমান দুইভাগে ভাগ করে পছন্দমত ফুড কালার মেশাবেন। (আমি একটা নরমাল কালার রেখেছি, একেরটায় সামান্য লাল রঙ দিয়েছি)।

পুডিংয়ের পাত্রে প্রথমে (আমি আগে নরমাল কালার টা দিয়েছি) এক কালার মিশ্রন ঢালতে হবে।

চুলায় বড় একটি পাত্রে পানি (যেন পুডিংয়ের পাত্রের অর্ধেক সমান হয়) নিয়ে তাতে পুডিং এর পাত্রটি বসিয়ে, পুডিংয়ের পাত্রটি ঢেকে দিতে হবে, এমনকি বড় পাত্রটিও ঢেকে দিতে হবে। মিডিয়াম আচেঁ রাখতে হবে। ১৫ মিনিট পর কাঠি ঢুকিয়ে ফ্রেশ আসলে তারপর অন্য রঙয়ের মিশ্রণটি এর মধ্যে আস্তে ঢেলে আবারো ১৫ -২০ মিনিট মিডিয়াম আচেঁ রাখতে হবে। এরপর আগের মত কাঠি দিয়ে চেক করতে হবে। কাঠি ফ্রেশ আসলে বুঝতে হবে পুডিং হয়ে গেছে। নামিয়ে রুম তাপমাত্রায় আনার পর ছুরি দিয়ে পাশ ছাড়িয়ে তারপর ঢেলে পরিবেশন করতে হবে।

রেড ভেলভেট ক্যারামেল পুডিং কেক

উপকরণ:
পুডিং এর জন্য:
– ২টি ডিম
– ১ কাপ দুধ
– আধা কাপ কনডেন্সড মিল্ক
– ১ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স

ক্যারামেলের জন্য:
– ৩ টেবিল চামচ চিনি

কেক এর জন্য:
– ২টি ডিম
– আধা কাপ তেল
– আধা কাপ চিনি
– আধা কাপ দুধ


– ১ কাপ ময়দা
– ১ টেবিল চামচ কোকো পাউডার
– ১ চা চামচ বেকিং পাউডার
– ১ চা চামচ সাদা ভিনেগার
– ১ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
– ১ চা চামচ রেড ফুড কালার

প্রণালী:
১) প্রথমেই পুডিং এর মিশ্রণ তৈরি করে নিন। দুধ এবং কনডেন্সড মিল্ক বিট করে মিশিয়ে নিন। অন্য একটি পাত্রে ডিম দুটো ফেটে নিন। ডিমের সাথে দুধের মিশ্রণ এবং ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে আবারো বিট করে নিন ভালোভাবে।
২) যে পাত্রে কেক তৈরি করবেন তাতে ৩ টেবিল চামচ চিনি গলিয়ে ক্যারামেল তৈরি করে নিন।
৩) আধা কাপ দুধের সাথে ভিনেগার মিশিয়ে রেখে দিন ১০ মিনিট। এটা ঘরে তৈরি বাটারমিল্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
৪) অন্য একটি পাত্রে ডিম নিয়ে ইলেকট্রিক মিক্সার দিয়ে খুব ভালোভাবে বিট করে নিন ২ মিনিট। এরপর এতে চিনি দিয়ে আবারো বিট করে নিন। চিনি গলে জাবার পর এতে তেল, ভ্যানিলা এসেন্স এবং ফুড কালার দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
৫) একটি চালনির সাহায্যে শুকনো উপকরণ অর্থাৎ ময়দা, কোকো পাউডার এবং বেকিং পাউডার যোগ করুন এই মিশ্রণে। একটি চামচের সাহায্যে ফোল্ড করে মিশিয়ে নিন সবকিছু। এতে বাটারমিল্ক দিয়ে মিশিয়ে নিন।
৬) ক্যারামেল সেট করা পাত্রে চাকনির সাহায্যে প্রথমে ছাঁকনির সাহায্যে পুডিং এর মিশ্রণ দিন। এরপর এর ওপরে কেকের মিশ্রণ দিয়ে দিন। চিন্তার কিছু নেই, মিশ্রণ দুইটি আলাদাই থাকবে। ঢাকনা বন্ধ করে দিন।
৭) এবার একটি প্যান চুলায় দিন। এতে একটি স্ট্যান্ড এবং পানি দিন। স্ট্যান্ডে কেকের পাত্রটি রাখুন। লক্ষ্য রাখুন যেন কেকের বাটির মাঝ বরাবর পানি থাকে, তার বেশি থাকলে ভেতরে পানি চলে যেতে পারে। এবার প্যানের ঢাকনা বন্ধ করে ৪৫ মিনিট মিডিয়াম আঁচে রাখুন।
৪৫ মিনিট পর কেকের ভেতরে একটি কাঠি ঢুকিয়ে দেখুন, কাঠি পরিষ্কার হয়ে বের হয়ে এলে কেক হয়ে গেছে। বের করে ঠাণ্ডা করে নিন এবং ফ্রিজে রাখুন ১ ঘন্টার জন্য। এরপর পছন্দমত কেটে পরিবেশন করুন।

গুড়া দুধ দিয়ে পুডিং

প্রথমে গুড়া দুধ কে প্রসেস করে নেই, চুলায় একটি পাত্রে মেজারমেন্ট কাপের দেড় কাপ পানি দিন। এর পর এতে ১ কাপ পরিমান গুড়া দুধ মেশান । মনে রাখতে হবে, পানিতে বলক আসার পরেই গুড়া দুধ ঢালবেন। গুড়া দুধ ঢালার পর ভালো করে নেড়ে নেড়ে পানিতে মেশাতে হবে। নেড়ে নেড়ে ৩-৪ মিনিট গরম করতে হবে। কয়েকটি বলক আসলেই চুলার জ্বাল বন্ধ করে নিন। ব্যাস তৈরি পুডিং এর দুধ।

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
– দুধ
– চিনি নিজের পছন্দমতো
– ৪ টি ডিম
– সাদা এলাচ ২ টি


– ক্যারামেল এর জন্য চিনি ৩ টেবিল চামচ

প্রস্তুত প্রনালীঃ
( ১ ) প্রথমে দুধ এর সাথে সাদা এলাচ ও পরিমান মত চিনি দিয়ে জ্বাল দিয়ে দুধ অর্ধেক পরিমাণে করে ফেলুন এবং নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। দুধ থেকে এলাচ বেছে ফেলে দিন ।
( ২ ) এবার একটি বাটিতে ডিম ভেঙ্গে নিয়ে ভালো করে ফেটাতে থাকুন। খুব ভালো করে ফেটাতে হবে । ফেটানো হলে দুধ দিয়ে আবার ভালো ভাবে নেড়ে মেশাতে হবে যেন ডিম দুধের সাথে ভালো ভাবে মিশে যায় । তারপর একটা ছাকনি দিয়ে ছেকে নিন ।
( ৩ ) এখন একটি পুডিং বাটি অথবা আপনি যেটাতে পুডিং বানাতে চান সেই বাটি নিয়ে তাতে ঘি বা মাখন লাগিয়ে ২ টেবিল চামচ চিনি তলায় ছড়িয়ে দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন ক্যারামেল করার জন্য ।
( ৪ ) এরপর চিনি গলে মিশে শিরা তৈরি হয়ে লাল হয়ে ক্যারামেলের মতো তৈরি হয়ে গেলেই চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন বাটিটি। বেশি ঘন কালার করতে যাবেন না, ক্যারামেল পুড়ে স্বাদ আর গন্ধ দুটোই নষ্ট হয়ে যাবে ।
( ৫ ) এবার ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া পুডিং বাটিতে ডিম ও দুধের পুরো মিশ্রণটি ঢেলে দিন। একটি ঢাকনা দিয়ে ভালো ভাবে ঢেকে দিন ।
( ৬ ) তারপর একটি বড় সসপ্যান ধরণের পাত্র চুলায় দিয়ে এতে অর্ধেক অংশ পানি দিয়ে ভরে চুলায় দিন । সস প্যানের পানি ফুটতে শুরু করলে এর ঠিক মাঝে একটি পাতিল রাখার স্ট্যান্ড বসিয়ে তার উপর পুডিং এর বাটি দিন।
( ৭ ) স্ট্যান্ড না দিলেও সমস্যা নেই শুধু খেয়াল রাখতে হবে সস প্যানে পানির উচ্চতা এমন হবে যেন পুডিং এর বাটির অর্ধেক হবে আর পানি বাটিতে না ঢূকতে পারে । পুডিংয়ের বাটিটি স্ট্যান্ডের উপর বসিয়ে ঢেকে দিন। সসপ্যান ধরণের পাত্রটিও ভালো করে ঢেকে উপরে ভারী কিছু দিয়ে চাপা দিন। এখন সসপ্যানের পানি মাঝারি আঁচে জ্বাল করতে থাকুন।
( ৮ ) পাশের চুলায় অন্য একটি পাতিলে পানি ফুটাতে থাকুন । সস প্যানের পানি কমে গেলে এই পাতিল থেকে গরম পানি অল্প করে সস প্যানে সাবধানে সাইড থেকে ঢেলে দিন ।
( ৯ ) ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যেই পুডিং হয়ে যাবে, তাই সতর্ক থাকুন। চুলা থেকে নামানোর আগে একটি কাঠি দিয়ে পুডিং ঠিকমতো হয়েছে কিনা পরীক্ষা করে নিন।

চকলেট পুডিং

উপকরণ :
দুধ দুই কাপ,
জেলেটিন এক টেবিল চামচ,
গুঁড়ো চিনি চার টেবিল চামচ,
কোকো পাউডার তিন চা চামচ,


ভেনিলা এসেন্স আধা চা চামচ,
পানি আধা কাপ,
ক্রিম চার টেবিল চামচ ও চেরি ফল প্রয়োজনমতো।

প্রস্তুত প্রণালি :
প্রথমে আধা কাপ পানিতে জেলেটিন মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এবার একটি মাইক্রোওয়েভ বাটিতে কোকো পাউডার, ভেনিলা এসেন্স, চিনি গুঁড়ো ও দুধ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার মাইক্রোওয়েভে ছয়-সাত মিনিট গরম করে নিন। এখন এর মধ্যে জেলেটিনের মিশ্রণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ওভেন ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে চার মিনিট বেক করুন। এবার মিশ্রণটি বাটিতে ঢেলে ফ্রিজে এক ঘণ্টা রেখে দিন। ফ্রিজ থেকে নামিয়ে ওপরে ক্রিম ও চেরি কুচি ছড়িয়ে বড়দিনে পরিবেশন করুন চকলেট পুডিং।

দইয়ের পুডিং

উপকরণ:
মিষ্টি দই ২ কাপ,
চিনি ৩/৪ টেবিল চামচ,


চায়না গ্রাস পরিমাণ মত।

প্রস্তুত প্রণালী:
চায়না গ্রাস আধ ঘন্টা এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর একটি প্যানে করে চুলায় দিতে হবে। চায়না গ্রাস পানিতে গলে যাবার পর দই আর চিনি একসাথে ভালো মতো ফেটিয়ে সেই প্যানে অ্যাড করতে হবে। ঘন ঘন নাড়তে হবে তা না হলে নীচে লেগে যাবে। যখন মোটামুটি ঘন হয়ে যাবে নামিয়ে যে পাত্রে পুডিং বানানো হবে সেটাতে ঢেলে নিতে হবে। ২/৩ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে জমে যাবার পর পছন্দ মতো কেটে পরিবেশন করতে হবে।

মিল্ক পুডিং

উপকরণ:
লিকুইড মিল্ক – ১ ১/২ লিটার
ডিম – ১ টি (বড় অথবা মাঝারি )
চিনি – পরিমান মতো

ক্যারামেল এর জন্য :
দানাদার চিনি – ১ চা চামচ
পানি – ১ চাচামচ
ঘি – ১/২ চাচামচ

-চিনি , ঘি ও পানি এক সাথে টিফিন বক্সে মিশিয়ে নিন । তারপর চুলার উপর ফ্রাই পেন অথবা তাওয়া দিয়ে টিফিন বক্সটি তার উপর বসিয়ে চুলায় জ্বাল দিন । বেশি আচে হালকা বাদামি কালার হলেই নামিয়ে নিন ।

প্রণালী:
– প্রথমে দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন । জ্বাল দেয়ার সময় নাড়তে থাকুন তা নাহলে নিচে পোড়া লেগে যাবে । আবার অল্প আছে অনেক সময় নিয়ে দুধ কমালে দুধের কালার লালাচে হয়ে যাবে । তাই মাঝারি আচে দুধ কমিয়ে নিতে হবে ।
– দুধ ঘন করে আধা কেজির বেশি রাখবেন । সফট পুডিং তৈরি করতে চাইলে জ্বাল দিয়ে ৬০০-৭০০ মিলি লিটার দুধ রাখতে হবে । দুধ ও ডিমের মিশ্রন যেন স্টিলের টিফিন বক্সটির সামান্য কম হয় । তবে আরেকটু শক্ত পুডিং তৈরি করতে চাইলে দুধ আধা কেজি কমিয়ে নিবেন ।
– দুধ চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন । একটি বড় পাত্রে ডিম ভেঙ্গে নিয়ে চামচ দিয়ে ভাল করে ফেটে নিন । এবার ফাটানো ডিমের সাথে দুধ ঢেলে ভাল করে মিক্স করে নিন ।
– পুডিং তৈরির জন্য একটি স্টিলের ঢাকনা সহ টিফিন বক্স নিন । অথবা যে পাত্রে পুডিং তৈরি করবেন সে পাত্রে আগে থেকেই ক্যারামেল তৈরি করে রাখুন। ক্যারামেল বেশি জ্বাল দিবেন না তাহলে চিনি পুড়ে কাল ও তিতা হয়ে যাবে ।
– এবার দুধ ও ডিমের মিক্সার ভাল করে নেড়ে বক্সে ঢেলে দিন । প্রেশার কুকারে বক্স বসিয়ে বক্সের অর্ধেক পর্যন্ত পানি দিয়ে ঢাকনা লাগিয়ে দিন । মাঝারি আচে ৫-৬ টি সিটি দিলেই নামিয়ে নিন ।
– নরম থাকতে পারে চিন্তার কিছু নেই ঠাণ্ডা হলে ফ্রিজে রাখলে ঠিক হয়ে যাবে । আর যদি বেশি নরম থাকে তবে আরো ২-৩ সিটি দিয়ে নামিয়ে নিন । অতিরিক্ত সিটি দিলে পুডিং শক্ত হয়ে পুডিং এর আসল স্বাদ চলে যাবে ।
– ঠাণ্ডা করে পুডিং ফ্রিজে ১-২ ঘন্টা রাখুন । ফ্রিজ থেকে বের করে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন ।

টিপস :
-পুডিং ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে রাখুন । তারপর ছুরি দিয়ে চারদিক ছুটিয়ে সাভিং ডিশে ঢালুন ।
-গরম অবস্থায় প্লেটে ঢালতে গেলে পুডিং এর শেপ নষ্ট হয়ে যাবে ।
-যদি বেশি পাতলা দুধ হয় তবে তিন ভাগের দুই ভাগের একটু কম করে নিবেন। বেশি ঘন করলে পুডিং আবার আটা আটা লাগবে । ভাল লাগবে না।
-ঢাকণা সহ স্টিলের টিফিন বক্স ব্যবহার করা ভাল এতে করে ভিতরে পানি ঢোকার ভয় থাকেনা আর ভালও হয় ।
– বিটার দিয়ে মিক্স করবেন না ।

ক্যারামেল পুডিং

উপকরণ :
১. দুধ ১ লি,
২. ডিম ৪ টি,
৩. চিনি ১কাপ,


৪. এলাচ-দারুচিনি ২ টা করে।

প্রণালি :
> দুধ ফুটিয়ে ১/২ লি করুন। ডিম ও চিনি একসাথে ভাল করে ফেটে নিন।
> দুধ ঠাণ্ডা হলে সমস্ত উপকরণ একসাথে ভাল করে মেশান।
> একটা হাড়িতে ১/৪ কাপ চিনি ও সামান্য পানি মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে ক্যারামেল তৈরি করে রাইস কুকারের পাত্রে ঢালুন। ক্যারামেল শক্ত হলে পুডিং এর মিশ্রণ এতে ঢেলে দিন।
> কুকারের মুখ বন্ধ করে দিন। warm option select করে দিন। ৪৫ মিনিট হয়ে গেলে বের করে ঠাণ্ডা করুন। তারপর উপুর করে প্লেটে ঢেলে ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন ভীষণ মজার ক্যারামেল পুডিং।

ম্যাঙ্গো পুডিং

উপকরণ:
১/২ কাপ (১২৫ মিলিলিটার) গরম পানি
১ প্যাকেট (১ টেবিল চামচ) জেলাটিন
১/২ কাপ(১০০ গ্রাম) চিনি
১ চিমটি লবণ


১ কাপ (২৫০ মিলিলিটার) নারকেলের দুধ
১ কাপ (২৫০ মিলিলিটার) পাকা আমের পিউরি (২টি মাঝারি আকৃতির আম)

প্রণালী:
১। একটি পাত্রে জেলাটিন এবং গরম পানি একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এমনভাবে মেশাবেন যেনো কোনো দানা না থাকে।
২। চিনির সাথে এক চিমটি লবণ দিয়ে ভালো করে মেশান।
৩। জেলাটিনের সাথে নারকেলের দুধ, আমের পিউরি এবং চিনি দিয়ে ভালো করে মেশান। এমনভাবে মেশাবেন যেনো কোনো দানা না থাকে।
৪। এবার ছোট ছোট কাপ অথবা পাত্রে আমের পিউরি ঢালুন। এটি ফ্রিজে কমপক্ষে ২ ঘন্টা রাখুন। যত বেশি সময় ফ্রিজে রাখবেন তত ভালো ভাবে পুডিং বসবে।
৫। ২ ঘন্টা পর ওপরে আপেল কুচি অথবা আমের টুকরো দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন দারুন স্বাদের ম্যাঙ্গো পুডিং।

স্পঞ্জ কেক পুডিং

উপকরণ:
স্পঞ্জ কেক ২০০ গ্রাম
চিনি ১/২ কাপ
মাখন বা ঘি ১/৪ কাপ
ডিম ৪টি


বাদাম ৫টি
দুধ ২কাপ
কিসমিস ১০টি
ভেনিলা ১/২ চা চা

প্রণালী:
১। স্পঞ্জকেক টুকরা কর। মাখন বা গালিয়ে কেকের সঙ্গে মিশাও।
২। ফুটানো পানিতে বাদাম ছেড়ে ৩-৪ মিনিট সিদ্ধ কর। নামিয়ে খোসা ছাড়িয়ে লম্বা কুচি কর।
৩। পুডিং এর মোলডে ১টে.চামচ চিনি ক্যারামেল কর।
৪। কেক, কিসমিস ও বাদাম মিশিয়ে মোলডে নাও।
৫। ডিম ও চিনি অল্প ফেট। ভেনিলা দাও। মৃদু গরম দুধ দিয়ে মিশাও। মোলডের কেকের উপর সবটা মিশ্রণ ঢাল।
৬। পুডিং বড় হাঁড়িতে ফুটানো পানিতে দিয়ে তাপে সিদ্ধ কর। অথবা প্রেসরার কুকারে ১০ পাউন্ড প্রেসারে ৫মিনিট ফুটাও। স্পঞ্জকেক পুডিং লেমন সস দিয়ে পরিবেশন করা যায়।

ব্রোকেন গ্লাস পুডিং

উপকরণ:
অরেঞ্জ ফ্লেভারড জেলি- ১ প্যাকেট
স্ট্রবেরি ফ্লেভারড জেলি-১ প্যাকেট
কোকোনাট মিল্ক-১ টিন (তাজা নারকেলের দুধও ব্যবহার করতে পারেন। ঘন দুধ)
আন ফ্লেভারড জেলেটিন-২ চা চামচ


কনডেন্সড মিল্ক- ১ টিন
কমলা ও গোলাপি ফুড কালার সামান্য

প্রণালি:
-পানিতে জেলিগুলো আলাদা করে গুলে নিন প্যাকেটে নিয়মাবলী দেখে, ফ্রিজে জমিয়ে জেলি বানিয়ে নিয়ে টুকরা করে কেটে নিন। আপমি চাইলে রেডিমেড জেলিও ব্যবহার করতে পারেন। কৌটা থেকে বের করে সুন্দর করে কেটে নেবেন।
-এবার নারকেলের দুধ সামান্য ফেটিয়ে নিয়ে তাতে ১ কাপ ফুটন্ড পানি দিয়ে এতে কনডেন্সড মিল্ক মিশিয়ে দিন। মিশ্রণটি মসৃণ হবে। এরপর এতে এতে জেলেটিন পাউডার পানিতে গুলে মিশিয়ে দিন। অনেক জেলেতিন পাউদার গরম পানিতে মেশাতে হয় তাই প্যাকেটের নিয়ম পড়ে নেবেন।
-একটি গার্নিশিং বোল বা ফ্লাওয়ার কেক টিনে কোকোনাট মিল্ক মিশ্রণটি ঢেলে দিন। তারপর আলাদা আলাদা করে টুকরো করে রাখা জেলো বসিয়ে দিন সাবধানে। ফুড কালার চামচে করে নিয়ে যে ধাপে অরেঞ্জ জেলি সে ধাপে কমলা ফুড কালার , যে ধাপে স্ট্রবেরি জেলি সে ধাপে গোলাপি ফুডকালার দিয়ে দিন। এরপর আর নাড়ানাড়ি করবেন না।
– ফ্রিজে রেখে দিন, পুডিং জমে গেলে সাধারণ পুডিং এর মতই বের নিন। সুন্দর করে পরিবেশন করুন।

কফি কাপ পুডিং

উপকরণ:
৩/৪ টিন বা ৩০০ গ্রাম কন্ডেন্সড মিল্ক
১ টেবিল চামচ কফি
২ কাপ পানি
আধা কাপ সুজি
চকলেট সসের জন্য
১০০ গ্রাম কন্ডেন্সড মিল্ক


১/৪ কাপ দুধ
৩ টেবিল চামচ কোকো পাউডার
১/৪ কাপ পানি
২ টেবিল চামচ মাখন

প্রণালী:
১। প্রথমে একটি প্যানে কন্ডেন্সড মিল্ক, কফি, পানি ও সুজি ভালো করে মিশিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন। মাঝারি আঁচে জ্বাল দেওয়ার সময় সারাক্ষণ নাড়তে থাকুন। লক্ষ্য রাখবেন কফি, সুজি যেন প্যানের নিচে লেগে না যায়।
২। ঘন থকথকে না হওয়া পর্যন্ত নাড়ুন। ঘন হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
৩। একটি কাপ মোল্ডে তেল বা বাটার মেখে নিয়ে এতে সুজির মিশ্রণটি ঢেলে ঠান্ডা হওয়ার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন ৩০ থেকে ৬০ মিনিট।
৪। সস তৈরির জন্য একটি সসপ্যানে দুধ, পানি ও কোকো পাউডার দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ঘন হয়ে এলে এতে কন্ডেন্সড মিল্ক ও মাখন দিয়ে দিন। জ্বাল দিয়ে ঘন সসের মতো তৈরি করে নিন।
৫। সুজির মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে এলে তা ফ্রিজ থেকে বের করে উলটো করে প্লেটে রাখুন এবং তার উপরে চকলেট সস ও বাদাম কুচি দিয়ে দিন।
ব্যস তৈরি হয়ে গেলো দারুন মজাদার ভিন্ন স্বাদের কফি কাপ।

ক্যারামেল চীজ ফ্ল্যান

পুডিং তৈরির উপকরণ:
ক্রিম চীজ
১ ক্যান ৮ আউন্স
ডিম ৫ টা


কনডেন্সড মিল্ক ১ টিন
ঘি ২ টে চামচ
পানি সামান্য,

ক্যারামেলের জন্যে:
চিনি ১/২ কাপ
পানি ১/৪ কাপ

প্রণালী:
ক্যারামেল তৈরির নিয়ম:
যে বাটিতে পুডিং বসাবেন সেই বাটিতে চিনি ও পানি দিয়ে চুলায় মৃদু থেকে মাঝারি আঁচে বাটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ক্যারামেল করে নিন।

পুডিং তৈরি:
ওভেনের ট্রেতে পানি দিয়ে ৩৫০ ডিগ্রি ফারেইনহাইট ১৫-২০ মিনিট প্রি-হিট করুন। তারপর চীজ, ডিম, কনডেন্সড মিল্ক, ঘি ও সামান্য পানি দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। খুব মসৃণভাবে ব্লেন্ড করতে হবে।

এবার পুডিং এর বাটিতে এই মিশ্রণটি ঢেলে প্রি-হিটেড ওভেনে ৩৫০ ডিগ্রী তাপমাত্রায় ৪০-৫০ মিনিট বেক করুন। ওভেনের ট্রে-তে পুডিং-এর বাটি বসাবেন। সময় শেষ হলে একটি টুথপিক ঢুকিয়ে দেখে নিন কাঁচা রয়েছে কিনা। কাঁচা থাকলে কাঠিতে মিশ্রণ লেগে থাকবে আর হয়ে গেলে কাঠি পরিষ্কার বের হয়ে আসবে। না হয়ে থাকলে আরও কিছুক্ষণ বেক করুন। এবার ঠান্ডা হতে এক ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর ফ্রিজে ৪-৫ ঘণ্টা বা অভার নাইট রেখে দিন। সার্ভ করার আগে একটা চাকু দিয়ে চারপাশ ঢুকান ঘুরান। তারপর সারভিং ডিসে ঢেলে পরিবেশন করুন।


img

টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে রয়েছে ঘুমের সম্পর্ক

প্রকাশিত :  ১৩:৪৯, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৫৭, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে রয়েছে ঘুমের অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক। প্রতি রাতে যারা ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্যা ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে জামা নেটওয়ার্ক ওপেন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের বরাতে বলা হয়েছে, যারা প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার কম সময় ঘুমান তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৬ শতাংশ। এই ক্ষতি স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেও পূরণ করা যাবে না।

যুক্তরাজ্যের প্রায় দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের উপর গবেষণায় দেখা গেছে, যারা রাতে সাত ঘণ্টার বেশি ঘুমান তাদের তুলনায় যারা তিন থেকে চার ঘণ্টা ঘুমান তাদের ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা ৪১ শতাংশ বেশি। যুক্তরাজ্যে আনুমানিক ৪.৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং ১৩.৬ মিলিয়ন মানুষ তীব্র ঝুঁকিতে রয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাইপ-টু ডায়াবেটিস শরীরের চিনি বা গ্লুকোজ প্রক্রিয়ার ক্ষমতায়কে প্রভাবিত করে এবং শরীরে ইনসুলিন শোষণে বাধা দেয়; যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। সময়ের সাথে সাথে এটি গুরুতর শারীরিক ক্ষতি করতে পারে, বিশেষ করে স্নায়ু এবং রক্তনালির।

 যুক্তরাজ্যের বায়োব্যাঙ্কে সংরক্ষিত ২ লাখ ৪৭ হাজার ৮৬৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুসের চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার ১২ বছরের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণাটি করা হয়েছে।

এতে গবেষকরা দেখেছেন, যারা স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন, সপ্তাহে দুইবারের কম লাল মাংস, প্রতিদিন চার চামচের বেশি শাকসবজি, প্রতিদিন দুই বা তিন টুকরার বেশি ফল গ্রহণ করেন এবং সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মাছ খান, এমন ৭,৯০৫ জনের টাইপ-টু ডায়াবেটিস দেখা দিয়েছে।

সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গবেষক ক্রিশ্চিয়ান বেনেডিক্ট বলেন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস মেনে চলা ব্যক্তিদের টাইপ-টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ২৫ শতাংশ কম এবং যারা এই খাদ্যাভাস মেনে চলেছেন কিন্তু ৬ ঘণ্টার কম ঘুমিয়েছেন তাদের আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা বেশি।