img

ব্রাজিলে ইলন মাস্কের এক্স-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ

প্রকাশিত :  ০৭:১৭, ৩১ আগষ্ট ২০২৪

ব্রাজিলে ইলন মাস্কের এক্স-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ

ব্রাজিলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির শনিবারের (৩১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের নির্ধারিত সময়সীমায় নতুন আইনি প্রতিনিধির নাম দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্রাজিলে এক্স নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ব্রাজিলের ফেডারেল সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আলেকজান্দ্রে ডি মোরেস সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে জনপ্রিয় এক্স-এর ক্ষেত্রে (সাবেক টুইটার) অবিলম্বে এবং সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশ কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন। যতক্ষণ না প্রতিষ্ঠানটি আদালতের সব আদেশ মেনে চলবে এবং জরিমানা প্রদান করবে ততক্ষণ নিষিদ্ধের আদেশ মান্য করতে বলা হয়েছে।

এ বিচারিক কার্যক্রম এপ্রিলে শুরু হয়েছিল। তখন মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে কয়েক ডজন এক্স অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার আদেশ দিয়েছিলেন বিচারক।

বিচারপতি মোরেস আদেশে বলেছেন, বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য অভিযুক্ত এক্স অ্যাকাউন্টগুলো সাবেক ডানপন্থি রাষ্ট্রপতি জেইর বলসোনারোর অনেক সমর্থক পরিচালনা করেন। তদন্তের অধীনে থাকাকালীন অবশ্যই সেসব ব্লক করতে হবে। কোনো অ্যাকাউন্ট পুনরায় সক্রিয় করা হলে কোম্পানির আইনি প্রতিনিধিদের দায়ী করা হবে।

এ জন্য দেশটিতে আইনি প্রতিনিধি নিয়োগের আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ইলন মাস্ক কাউকে নিয়োগ দেননি।

সর্বশেষ আদেশে বিচারপতি মোরেস অ্যাপল ও গুগলের মতো সংস্থাগুলোকে তাদের অ্যাপ্লিকেশন স্টোর থেকে এক্স সরাতে নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমে আগে থেকে ডাউনলোড করে রাখা এক্স অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার ব্লক করার জন্য পাঁচ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। এ ছাড়া প্ল্যাটফর্মটি অ্যাক্সেস করার জন্য ভিপিএন ব্যবহার করলে ব্যক্তি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করারও নির্দেশ জারি করেছেন।

রয়টার্স নিউজ এজেন্সিকে ব্রাজিলের টেলিযোগাযোগ সংস্থা জানিয়েছে, প্ল্যাটফর্মটি স্থগিত করার দায়িত্ব তাদের দেওয়া হয়েছে। তারা কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করা হচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্ল্যাটফর্মটি ব্রাজিলে আর কার্যকর থাকবে না।

এ ধরনের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় এক্সের মালিক ইলন মাস্ক বলেন, কথা বলার স্বাধীনতা গণতন্ত্রের ভিত্তি। ব্রাজিলের একজন অনির্বাচিত বিচারক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটিকে খর্ব করছে।


img

এরদোয়ানকে অপমান করায় তুরস্কে ইলন মাস্কের চ্যাটবট ব্লক

প্রকাশিত :  ১২:৩৮, ০৯ জুলাই ২০২৫

ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি এক্সএআইর তৈরি গ্রকের কিছু কনটেন্টে প্রবেশাধিকার বন্ধ করার আদেশ দিয়েছেন তুরস্কের একটি আদালত। আজ বুধবার (৯ জুলাই) দেশটিতে চ্যাটবটটি ব্লকের আদেশ আসে। কর্তৃপক্ষের বরাতে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

চ্যাটবটটি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি অপমানজনক উত্তর দিয়েছে বলে অভিযোগ।

২০২২ সালে ওপেনএআইর চ্যাটজিপিটি চালু হওয়ার পর থেকে এআই চ্যাটবটগুলোতে রাজনৈতিক পক্ষপাত, ঘৃণাত্মক বক্তব্য এবং তথ্যগত ভুল নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। গ্রকের বিরুদ্ধে ইহুদিবিরোধী কুসংস্কার এবং অ্যাডলফ হিটলারের প্রশংসার অভিযোগ উঠেছে।

আঙ্কারার প্রধান প্রসিকিউটরের কার্যালয় জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে এবং এটি তুরস্কের প্রথম কোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সরঞ্জামের কনটেন্টের উপর নিষেধাজ্ঞা। কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করেছে, এই ধরনের অপমান দেশের আইন লঙ্ঘন করে, যা চার বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় অপরাধ।

এক্স বা এর মালিক ইলন মাস্কের সাথে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা যায়নি। তারা প্ল্যাটফর্মে এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো উল্লেখ করেনি।

গত মাসে মাস্ক গ্রকের আপগ্রেডের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি স্বীকার করেন, অসংশোধিত ডেটার উপর প্রশিক্ষিত চ্যাটবটটির ফাউন্ডেশন মডেলে অনেক বাজে জিনিস রয়েছে।

এক্স-এর সাথে সংযুক্ত গ্রক তুর্কি ভাষায় নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তরে এরদোয়ান ও আতাতুর্ক সম্পর্কে আপত্তিকর কনটেন্ট তৈরি করেছে বলে স্থানীয় মিডিয়া জানায়।

ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজিস অথরিটি (বিটিকে) আদালতের আদেশের পর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর শুরু করেছে।

ইস্তানবুল বিলগি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইবার আইন বিশেষজ্ঞ ইয়ামান আকদেনিজ জানান, কর্তৃপক্ষ গ্রকের প্রায় ৫০টি পোস্টকে তদন্তের ভিত্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। জনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা এবং নির্দিষ্ট কনটেন্ট অপসারণের রায় দিয়েছে। তুরস্ক গ্রকের উপর সেন্সরশিপ আরোপকারী প্রথম দেশ।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুরস্ক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং অনলাইন স্ট্রিমিং পরিসেবাগুলোর উপর তদারকি বাড়িয়েছে। কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন পাস করেছে। পোস্টের জন্য ব্যক্তিদের আটক বা গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত এবং নির্দিষ্ট সাইটে প্রবেশ সীমিত বা বন্ধ করার আরও কয়েকটি ঘটনা ঘটে।

সমালোচকরা বলেন, এই আইনটি প্রায়ই ভিন্নমত দমনের জন্য ব্যবহৃত হয়। যদিও সরকার দাবি করে আসছে, মর্যাদা রক্ষার জন্য আইনটি প্রয়োজনীয়।