img

করিম চাচার মর্যাদার লড়াই

প্রকাশিত :  ১৯:০৪, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ২০:৫৩, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

করিম চাচার মর্যাদার লড়াই

রেজুয়ান আহম্মেদ


করিম চাচার জীবন এক বিশাল ব্যঙ্গাত্মক সাহিত্যেই যেন আবদ্ধ ছিল। তার লেখার মধ্যে এত জীবন, এত গভীরতা, এমনকি এত হাস্যরস ছিল যে, পাঠকরা প্রায়ই ভেবে বসতেন, "এ তো সত্যিই জীবনের গল্প, করিম চাচার জীবনের গল্প!" কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, যতই তার লেখাগুলো পাঠকদের মন জয় করুক না কেন, সাহিত্যের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের দৃষ্টিতে করিম চাচা যেন এক অদৃশ্য সত্তা ছিলেন।

করিম চাচার বাড়িতে বইয়ের স্তূপ দেখে যে কেউ মনে করত, "এ তো নিশ্চয়ই কোনো পুরস্কৃত লেখকের সংগ্রহ।" অথচ সেই বইগুলোর প্রতিটি পৃষ্ঠা যেন করিম চাচার বেদনার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছিল, যেখানে তার প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি বাক্য, স্বীকৃতির জন্য আর্তনাদ করত।

একদিন করিম চাচার মনের কষ্ট এতটাই বৃদ্ধি পেল যে তিনি তার ছেলেমেয়েদের কাছে দুটি অনুরোধ করলেন। প্রথমত, তিনি জীবিত অবস্থায় মরণোত্তর পুরস্কার গ্রহণ করতে চান। দ্বিতীয়ত, তিনি জীবিত থাকাকালীনই তার মৃত্যুদিবস পালন করতে চান। কারণ করিম চাচার মতে, মৃত্যুর পর পুরস্কার পাওয়ার কোনো মানে নেই, যখন তিনি তার স্বীকৃতি দেখে যেতে পারবেন না, তখন তা মূল্যহীন।

করিম চাচার এই অদ্ভুত অনুরোধ শুনে তার ছেলেমেয়েরা ভীষণভাবে অবাক হয়ে গেল। তারা বুঝতে পারল যে করিম চাচার অবজ্ঞা সাহিত্যের জগতে তার প্রতি অবিচার করেছে, আর সে কারণেই হয়তো তার এই অদ্ভুত আবদার।

করিম চাচার ছেলে রফিক প্রথমে কিছুটা কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞেস করল, "বাবা, জীবিত অবস্থায় মরণোত্তর পুরস্কার কীভাবে পাওয়া যায়?"

করিম চাচা তার চিন্তিত মুখে একগাল হাসি মিশিয়ে বললেন, "তোমরা যা বলছো, তা এক ধরনের ছেলেমানুষি। কিন্তু আমি কী বলতে চাচ্ছি, তা তোমরা বোঝোনি। যখন আমার মতো লেখক জীবিত থাকতেই সম্মান, স্বীকৃতি না পায়, তখন মরণোত্তর পুরস্কারের কোনো মূল্য থাকে না। আমি মরার পর কিছুই দেখতে পারব না, আর তাই জীবিত থাকতেই সবকিছু চাই।"

রফিক হাসতে হাসতে বলল, "তাহলে বাবার মৃত্যুদিবস কবে ঠিক করা হবে?"

করিম চাচা কিছুক্ষণ চিন্তা করে বললেন, "ধরো, আগামীকাল। কাল থেকেই আমার মৃত্যুদিবস পালন করবে। কিছু অতিথি ডাকবে, কিছু স্মরণসভা করবে, আর শেষে আমার জীবনের ওপর আলোচনা করবে। তবে আমি যেন জীবিত থাকাকালীনই শুনতে পাই কীভাবে তোমরা আমার স্মৃতি সংরক্ষণ করছো।"

পরের দিন করিম চাচার বাসায় শুরু হলো উৎসবমুখর পরিবেশ। চারদিকে সাজসজ্জা, অতিথিদের আগমন, আর করিম চাচার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পরিকল্পনা।

করিম চাচা সবকিছু দেখছেন আর মন থেকে হাসছেন। এটা ছিল এক ধরনের বিদ্রূপ—একজন জীবিত মানুষের মৃত্যুদিবস পালন করার জন্য।

সন্ধ্যা নামতেই করিম চাচা নিজের জন্য একটি চেয়ার ঠিক করে বসলেন এবং তার চারপাশে ছেলেমেয়েরা, আত্মীয়স্বজন, এমনকি কিছু পাঠকও বসে গেল। একে একে সবাই তার জীবনের ওপর বক্তব্য দিতে শুরু করল। সবাই এমনভাবে কথা বলছিল যেন করিম চাচা আসলেই মারা গেছেন। করিম চাচা সবকিছু শুনে হাসতে হাসতে বললেন, "আরে, আমি তো এখানেই আছি। তোমরা কি সত্যিই মনে করো যে আমি আর বেঁচে নেই?"

কেউ একজন মজা করে বলল, "করিম চাচা, আপনি তো আজকেই মারা গেছেন, তাই আমরা আপনার স্মরণসভা করছি।"

সবাই হেসে উঠল। কিন্তু করিম চাচা কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললেন, "সত্যিই, আমার লেখাগুলো হয়তো পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান কাজগুলোর মধ্যে একটি। তবে কোনো পুরস্কার না পাওয়া মানে আমার লেখাগুলোর স্বীকৃতি নেই। তাই আমি ভাবলাম, মরণোত্তর পুরস্কার আর মৃত্যুদিবস যেন জীবিত থাকতেই পালন করা যায়। কারণ মৃত্যুর পরে সেসবের কোনো মানেই থাকে না।"

সেদিনের সেই মজার, বিদ্রূপাত্মক স্মরণসভা শেষে করিম চাচা আর একবার নিজের লেখার দিকে তাকালেন। তার প্রতিটি শব্দ যেন তার হৃদয়ের গভীর কষ্টের প্রতিফলন হয়েছিল। যদিও তিনি জীবনের শেষ পর্যন্ত কোনো পুরস্কার পাননি, তবে তার হাসির গল্পগুলো আর তার মৃত্যু দিবসের সেই স্মরণসভা যেন সাহিত্যের ইতিহাসে এক নতুন রসিকতার জন্ম দিল।

এভাবেই করিম চাচা একটি ব্যঙ্গাত্মক হাস্যরসাত্মক চরিত্রে পরিণত হয়ে রইলেন, যার জীবনের সবচেয়ে বড় চাওয়া ছিল জীবিত অবস্থায় তার কাজের স্বীকৃতি। আর সেই স্বীকৃতির অভাবে তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত যেন এক গভীর বেদনাবিধুর হাসির গল্পে পরিণত হলো।

img

নজরুল-চিন্তা ও আগামীর বাংলাদেশ

প্রকাশিত :  ১৯:০৪, ০৪ জুলাই ২০২৫

জয়দ্বীপ রায়

আমি মাঝে মাঝে ভাবি—আজ যদি কবি নজরুল ইসলাম জীবিত থাকতেন, তবে তিনি কী করতেন? যদিও এই প্রশ্নটি স্থান, কাল ও পাত্রের সূচকগুলোকে বিবেচনায় না নিয়েই করা হচ্ছে, তারপরও কিছু আকাঙ্ক্ষা মনের গভীর থেকে উঠে আসে, যা প্রকৃতি প্রদত্ত কিছু সত্য উপলব্ধির ফসল।

আমার মতে, এটি একটি যুক্তিপূর্ণ বৈজ্ঞানিক মতও বটে যে নজরুল ইসলাম, একজন ধর্মপরায়ণ পরিবারের সন্তান হয়েও ধর্মের মূল উদ্দেশ্য—মানবকল্যাণ—উপলব্ধি করেছেন জ্ঞান, যুক্তি ও ঈশ্বর-চেতনার মাধ্যমে। তাইতো তিনি লিখেছেন:

“খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে,

প্রলয়-সৃষ্টি তব পুতুল খেলা নিরজনে, প্রভু নিরজনে...”

এই উপলব্ধি কোথা থেকে এসেছে? আমার ধারণা, ঈশ্বরের করুণা ব্যতিরেকে এমন চিন্তা সম্ভব নয়। তবে এটাও আমার বিশ্বাস—সারাক্ষণ ঈশ্বরচিন্তা করলেও তাঁর করুণা সবসময় নাও আসতে পারে। এখানে গ্রন্থগুলোতে ঈশ্বর যেখানে মানুষের মানবতাকে মূল্য দিয়েছেন, সেই ধর্মীয় উপলব্ধির গভীরতাই নজরুলকে অনন্য করে তোলে।

নজরুল এক অনন্য মাত্রায় ঈশ্বর ও মানবতার সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। তিনি সব ধর্মের প্রতি সম্মান রেখেছেন এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে নিজের জীবনে ধারণ করেছেন। তাঁর ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মহীনতা নয়, বরং অসীম ঈশ্বরের প্রতি তাঁর বিনীত নিবেদন ও আনুগত্য, যেখানে তিনি সকল ধর্মের ঈশ্বরের মধ্যেই খুঁজে পেয়েছেন। বাংলা সাহিত্যে ইসলামি ধর্মীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তিনি যেভাবে তুলে ধরেছেন, তা একজন অমুসলিম পাঠকের মনেও ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতা জাগিয়ে তুলতে সক্ষম—যেমনটি দুই বাংলাতেই আমাদের বাঙালি মননে অনেকের মধ্যেই ঘটেছে।

নজরুলের এই সাহিত্য-শক্তির কারণেই তাঁর ধর্ম, নানান সংস্কৃতি ও বিশ্বময় বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি করে। তিনি এতটাই বৈচিত্র্যে আকৃষ্ট সাহিত্যিক ছিলেন, যিনি সারা পৃথিবীর বৈচিত্র্যকে তাঁর সৃষ্টিতে ও জীবনবোধে এক বৈশ্বিক রূপ দিয়েছেন। যেখানে ছিল না কোনো গণ্ডি ও সংকীর্ণতা। একজন কবি এত দারিদ্র্য ও সীমাবদ্ধতার মাঝেও কোনো অভিযোগ ছাড়াই কী রকম মুক্তমন নিয়ে নিজেকে বিকশিত করেছিলেন, আর বাঙালি মননকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় শুদ্ধ করেছিলেন।

বাংলা সাহিত্যে নজরুলের মতো করে শ্যামাসঙ্গীত, ভজন বা সনাতন ধর্মীয় গানে মৌলিক অবদান আর কেউ রাখেননি। এই বৈচিত্র্যই তাঁকে তুলনার ঊর্ধ্বে স্থাপন করে। সাহিত্যের প্রতিটি শাখা স্বতন্ত্র—এখানে কারও সাথে কারও তুলনা হয় না, কারণ এই ক্ষেত্রটি বিশাল, যার কোনো কোলকিনারা নেই। এখানে নানান সাহিত্য উপাদান বা কনটেন্ট উপস্থাপনাই গুরুত্বপূর্ণ। শিল্প ও সাহিত্যের বিজ্ঞানের নিয়মের বিচারে একেক জনের সৃষ্টি একেক জনকে অনন্য সাধারণ হিসেবে স্থান করে দিয়েছে।

উপনিবেশিক রাজনীতির সংকীর্ণ প্রয়োজনে যখন হিন্দু-মুসলমান বিভাজন সমাজে প্রকট হয়ে উঠল—যা মুঘল আমলেও কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় ছিলই না—তখন নজরুল হয়ে উঠলেন জাতির বিবেক। তিনি শুধু কবিই ছিলেন না, ছিলেন সাম্যবাদী চিন্তাবিদ, রাজনৈতিক ও সমাজকর্মী। বিপ্লবী রাজনীতিবিদদের সাংস্কৃতিক মানের প্রশ্নে তিনি তাদেরকে তাঁর সাহিত্যরস দিয়ে পরিচালিত করেছেন, শক্তি জুগিয়েছেন।

সম্প্রতি নজরুলের জন্মবার্ষিকীতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কিছু সমসাময়িক রাজনৈতিক নেতা তাঁকে স্মরণ করে বাণী দিয়েছেন। এটি প্রশংসনীয়। কিন্তু অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম—সাম্য, বিদ্রোহ, শোষণবিরোধিতা ইত্যাদি—সব শব্দই ব্যবহৃত হয়েছে, শুধু “অসাম্প্রদায়িকতা” শব্দটি নেই। কেন? এই শব্দ ব্যবহার করলে কি বেশিরভাগ সাম্প্রদায়িকতায় আচ্ছন্ন মানুষগুলোর বিশ্বাসে আঘাত আসতে পারে? এই বিশ্বাস কি তার ধর্মীয় চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক? না তার অজ্ঞানতা বা না বোঝার ফলে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে আজ সংক্রামিত হয়েছে? আমার মতে, এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কবি নজরুলকে বোঝা খুবই গুরুত্ব বহন করবে।

অসাম্প্রদায়িকতা কি সাম্যের অংশ নয়? অন্য ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীর প্রতি সম্মান, নারীর সমমর্যাদা, ধর্মভিত্তিক বৈষম্য রোধ—এগুলো কি সাম্যের পরিপূরক নয়? তাহলে নজরুলের সাম্যের দর্শনে এই বিষয়গুলো কি অনুপস্থিত থাকবে, যারা এই শব্দগুলো ব্যবহার করছেন?

আমরা সবাই জানি, নজরুল ভারতের কবি হলেও বাংলাদেশ তাঁর শ্রেষ্ঠ উত্তরাধিকার পেয়েছে। এই পাওয়া আমাদের জন্য বাড়তি পাওয়া, কিন্তু ভারতের অসাম্প্রদায়িক বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন মানুষদের ক্ষোভ আছে এই বিষয়ে। এই অমূল্য রত্নকে যদি শুধু রাজনৈতিক প্রয়োজনে ব্যবহার করি—সার্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি বাদ দিয়ে কেবল দলীয় ব্যাখ্যায় ব্যাখ্যাত করি—তাহলে আমরা আসলে কী শিখছি? ভবিষ্যৎ নেতৃত্বকেও কি এমনটাই শেখাব?

এই প্রশ্নগুলোর সাথে ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও জাতিসত্তাভিত্তিক বাংলাদেশের ভাগ্য জড়িত। তথাকথিত \"বহুত্ববাদ\"ও এই প্রশ্নগুলোর সাথেই সম্পর্কিত।

বহুত্ববাদ মানে শুধু কারও ওপর ঘটে যাওয়া অন্যায় শুধরে দেওয়া নয়—বরং সকল মত, জাতি ও ধর্মের সহাবস্থান নিশ্চিত করা। নিজের বিশ্বাসকে অন্যের ওপর চাপিয়ে না দেওয়ার সহিষ্ণুতা। এই বহুত্ববাদই বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য। এই ভূখণ্ডে হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম, খ্রিস্টান—সবাই যুগে যুগে ধর্ম প্রচার করেছেন, আবার সহঅবস্থানেরও দৃষ্টান্ত রেখেছেন।

সভ্যতা এগিয়ে যাওয়ার কথা বলে, পেছনে ফিরে যাওয়াকে কখনো উৎসাহ দেয় না। তাই বাঙালির প্রকৃত পরিচয়—বৈচিত্র্য-বিশ্বাসী ও পরমত সহিষ্ণু জাতি—যদি জোর করে চেপে ধরা হয়, তবে প্রকৃতি একদিন এর প্রতিক্রিয়া দেবে—যা আমাদের জন্য কল্যাণকর হবে না।

এটাই সামাজিক বাস্তবতা।

গণতন্ত্রে বিশ্বাস যদি সত্যিই কেউ করে, তাহলে তা কখনোই সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী বা ধর্মীয় সহিষ্ণুতাকে অবজ্ঞা করে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সুইজারল্যান্ড মাত্র কয়েক হাজার ইতালিয়ান ভাষাভাষীর জন্য রোমানশ ভাষাকে জাতীয় ভাষার মর্যাদা দিয়েছে। আমরা ইউরোপে থাকি, কিন্তু ইউরোপ থেকে কী শিখছি? দেশে কী ফিরিয়ে নিচ্ছি? নজরুলের কথা বলছি, কিন্তু তাঁকে বুঝে? না না বুঝে?

যুক্তরাজ্য থেকে আইনে ডিগ্রি নিয়ে ব্যারিস্টার হয়ে অনেকেই দেশে রাজনীতি করছেন বা করবেন, কিন্তু দেশে গিয়ে বিদেশের সোনা লোহা হয়ে যায় কেন? এটা সামাজিক বাস্তবতার কাছে আত্মসমর্পণ করে অস্বীকার করা নয়, যুক্তির কষ্ঠিপাথরে থেকেও নিজের সাথে প্রতারণা করে অবিশ্বাস করা।

আগামী দিনে যারা রাজনীতি করবেন, তাদের নৈতিকতাবোধ কি বিবেচনায় আসবে না? যদি না আসে, তাহলে কি আমরা একই বৃত্তে ঘোরপাক খাবো? আগাবো না?

এই প্রশ্নগুলো আজকের বিশ্বায়িত রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির যুগে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


জয়দ্বীপ রায়: রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সংস্কৃতি কর্মী, লন্ডন।