img

কুলাউড়ায় কিশোরীকে গুলি করে লাশ নিয়ে গেলো বিএসএফ

প্রকাশিত :  ০৭:১৯, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:৪০, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 কুলাউড়ায় কিশোরীকে গুলি করে লাশ নিয়ে গেলো বিএসএফ

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে স্বর্ণা দাস (১৬) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।

রোববার রাতে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক সীমান্ত এলাকায় ঘটনাটি ঘটলেও এক দিন পর সোমবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়।

নিহত স্বর্ণা জেলার জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের কালনীগড় গ্রামের পরেন্দ্র দাসের মেয়ে। স্বর্ণা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

বিজিবির লালারচক বিওপির কমান্ডার নায়েক ওবায়েদ বলেন, ‘কয়েকজন বাংলাদেশি চোরাইপথে ভারতে যাওয়ার সময় বিএসএফের গুলিতে একজন মারা গেছে বলে শুনেছি।’

স্বর্ণার বাবা পরেন্দ্র দাস জানান, ভারতের ত্রিপুরায় তাঁর বড় ছেলে থাকেন। তাঁকে দেখতে স্বর্ণা ও তাঁর মা রোববার রাতে স্থানীয় দুই দালালের সহযোগিতায় লালারচক সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। রাত ৯টার দিকে ভারতের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে পৌঁছালে বিএসএফ তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালালে স্বর্ণা ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

তিনি জানান, সোমবার রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি দল বাড়িতে এসে খবরটি জানায়। স্বর্ণার মরদেহ বিএসএফ নিয়ে গেছে।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’

সিলেটের খবর এর আরও খবর

img

শ্রীমঙ্গলের জানকী ছড়ায় দুর্লভ প্রজাতির পাখি ব্রাউন ফিশ ওউল

প্রকাশিত :  ১৯:০৬, ১৫ মে ২০২৫

সংগ্রাম দত্ত: চারিদিকে সবুজ গাছপালা, চা বাগান,  বন জঙ্গল, হাওর, পাহাড়, হ্রদ ও চায়ের রাজধানী বলে দেশ-বিদেশে খ্যাত শ্রীমঙ্গল উপজেলার জানকী ছড়ায় বিরল প্রজাতির ব্রাউন ফিশ  ওউলকে ক্যামেরা বন্দি করেন প্রকৃতিপ্রেমী তারিক হাসান।

মঙ্গলবার ( ১৩ মে) বিকেলের দিকে হঠাৎ করে নামা ঝড়বৃষ্টির মধ্যে শ্রীমঙ্গলের জানকী ছড়া এলাকার এক গাছে দেখা যায় এক বিরল প্রজাতির প্যাঁচা—ব্রাউন ফিশ ওউল (Brown Fish Owl)। প্রকৃতির সেই দুর্লভ মুহূর্তটি ক্যামেরায় ধারণ করেন প্রকৃতি ও পাখিপ্রেমী আলোকচিত্রী তারিক হাসান।

ছবিতে দেখা যায়, গা ভেজা ডালের উপর বসে থাকা প্যাঁচাটি ডানা মেলার প্রস্তুতিতে, চোখে তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আর দেহভঙ্গিমায় রাজকীয় স্থৈর্য। ঘন সবুজের ভেতরে বাদামী পালকে মোড়া এই নিশাচর পাখিটি যেন এক অনুপম দৃশ্যের অবতারণা করে।

ছবির কবি আলোকচিত্রী তারিক হাসান দীর্ঘদিন ধরে প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করছেন। তার lens-এর ফ্রেমে এই ধরনের দৃশ্য ধরা পড়া শুধুই ভাগ্যের বিষয় নয়, বরং তার ধৈর্য, নিষ্ঠা ও গভীর পর্যবেক্ষণের ফল।

 ব্রাউন ফিশ ওউল বাংলাদেশের পাহাড়ি ও বনাঞ্চলে মাঝে মধ্যে দেখা গেলেও এত কাছ থেকে এবং এমন আবহাওয়ায় দেখা যাওয়া বেশ বিরল ঘটনা। এই প্যাঁচাটি সাধারণত নদী বা ছড়ার ধারে থাকে এবং মূলত মাছ ও ছোট স্তন্যপায়ী খেয়ে থাকে।

আলোকচিত্রী তারিক হাসান শুধু ছবির শিল্পী নন, তিনি প্রকৃতির এক নিবেদিত গবেষক। তার lens-এর মাধ্যমে আমরা যে সৌন্দর্য দেখি, তার পেছনে রয়েছে সময়ের বিনিয়োগ, মনের গভীরতা, আর প্রকৃতির প্রতি এক নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। 

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৃতিপ্রেমীদের মাঝে বেশ উৎসাহ তৈরি হয়েছে। অনেকেই এই অসাধারণ ছবির জন্য তারেক হাসানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

শ্রীমঙ্গলের স্থানীয় সাংবাদিক ঝলক দত্ত তথ্য উপাত্ত দিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন।

অন্যদিকে প্রকৃতির এমন নীরব অথচ নান্দনিক সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য তারিক হাসানের ভূমিকাকে সাধুবাদ জানাচ্ছে শ্রীমঙ্গলের সচেতন মহল।