প্রকাশিত :
০৯:৩৫, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সর্বশেষ আপডেট: ০৯:৪৮, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সোনম কাপুরকে ছেলে বায়ুর জন্মের পর থেকে আর অভিনয় জগতে দেখা যায়নি। ছেলেকে ঘিরেই নিজের জগৎ তৈরি করেছিলেন অভিনেত্রী। যদিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় অভিনেত্রী, নিজের দৈনন্দিন জীবনের নানা মুহূর্ত থেকে শুরু করে বিশেষ দিনের ছবি অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন সোনম। অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও কিছু বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিং সেরেছেন তিনি। কিন্তু এবার এল সুখবর। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার
সম্প্রতি মুম্বাইতে সাংবাদিকদের সোনম কাপুর জানিয়েছেন, আগামী বছর নতুন কাজ নিয়ে ফিরবেন তিনি।
সোনমের ভাষ্যে, ‘বরাবরই নতুনভাবে পর্দায় নিজেকে দেখার জন্য আমি মুখিয়ে থাকি। বায়ুর জন্মের পর এই প্রথমবার ক্যামেরার সামনে আসব ভেবেই খুব ভালো লাগছে।’
সোনম আরও বলেন, ‘আগামী বছরের শুরুতেই শুটিং ফ্লোরে ফিরব। কিন্তু এখন নির্মাতাদের সঙ্গে ছবি নিয়ে অনেক আলোচনা বাকি, তাই এখনই এই বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না। তবে এবার দর্শক আমাকে একেবারে অন্য রকমভাবে পেতে চলেছেন, এটুকুই বলতে পারি।’
সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘সাওয়ারিয়া’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় সোনম কাপুরের। ২০২৩-এর ক্রাইম থ্রিলার ‘ব্লাইন্ড’-এ শেষ দেখা গিয়েছিল সোনমকে।
এর আগে সোম মাখিজা পরিচালিত ও সুজয় ঘোষ প্রযোজিত ছবি ‘দ্য জোয়া ফ্যাক্টর’-এ দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে।
সোনমের হাতে রয়েছে অনুজা চৌহানের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি ‘ব্যাটল ফর বিট্টোরা’ ছবিটি। এর মধ্যেই নতুন কাজের সুখবর দিলেন সোনম।
‘মনে হচ্ছিল ধর্ষণের শিকার হব, আমাকে হত্যা করা হবে’
প্রকাশিত :
০৮:১০, ১৫ মে ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের টিভি তারকা ও উদ্যোক্তা কিম কার্ডাশিয়ান ২০১৬ সালে প্যারিসের এক বিলাসবহুল হোটেলে ডাকাতির শিকার হয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি সেই ঘটনার মামলায় প্যারিসের একটি আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৩ মে) ডাকাতির শিকার হওয়া সেই রাতের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আদালতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন কিম কার্ডাশিয়ান।
নয় বছর আগে ঘটে যাওয়া এই ডাকাতির ঘটনার মামলার শুনানিতে কিম মুখোমুখি হন অভিযুক্তদের।
সে অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কিম জানান, তিনি নিশ্চিত ছিলেন ডাকাতেরা তাকে গুলি করে হত্যা করবে।
এ সময়, আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তিনি জানান, ২০১৬ সালের ২ অক্টোবর প্যারিস ফ্যাশন উইকের সময় হোটেলে অবস্থান করছিলেন কিম। গভীর রাতে পুলিশের পোশাক পরা দুজন মুখোশধারী অস্ত্রধারী হঠাৎ তার কক্ষে ঢুকে তাকে জিম্মি করে। এরপর কিমের মুঠোফোন কেড়ে নেওয়া হয়, বিছানার পাশ থেকে তুলে নেওয়া হয় ১ কোটি ডলার মূল্যের অলংকার। যেগুলোর মধ্যে ছিল বাগ্দানের হীরার আংটি। এরপর তাকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় অন্য কক্ষে।
কিম বলেন, ‘তখন আমার মনে হয়েছিল, দৌড়ে পালাব কি না; কিন্তু সেটা সম্ভব ছিল না। আমি বুঝতে পারি, ওরা যা বলছে তাই করাটাই সবচেয়ে নিরাপদ।’
তাকে বিছানায় ফেলে হাত বাঁধা হয় প্লাস্টিকের টাই দিয়ে। পরে পা বাঁধা হয়, কিমের পেছন থেকে বন্দুক ঠেকানো হয়। তিনি বলেন, ‘সেই মুহূর্তেই আমি বুঝতে পারি, এবার ওরা আমাকে গুলি করবে।’ ওই সময় তিনি মনে মনে প্রার্থনা করেন, যেন তার বোন কোর্টনি তাকে মৃত অবস্থায় না দেখতে পান।
কিম বলেন, ঘটনার সময় একজন তাকে টেনে নিয়ে যায়, এ সময় তার পরনে থাকা গাউন খুলে যায়। কিম বলেন, পোশাক খুলে যাওয়ার পর তিনি ভয় পাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছিল ধর্ষণের শিকার হব, এরপর আমাকে হত্যা করা হবে।’
আদালতে বিচারক যখন জানতে চান, তিনি কি মনে করেছিলেন তিনি মারা যাবেন? তখন কিম মৃদু স্বরে বলেন, ‘আমি পুরোপুরি বিশ্বাস করেছিলাম, আমি মরে যাচ্ছি।’
মঙ্গলবারের শুনানিতে অভিযুক্তদের একজন, ৭১ বছর বয়সী অ্যাওমার আইত খেদাচে আদালতে কিমের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেন। জবাবে কিম বলেন, ‘আমি আপনাকে ক্ষমা করেছি।’ তবে তিনি যোগ করেন, ‘কিন্তু এতে আমার ট্রমা কিংবা জীবনকে যেভাবে বদলে দিয়েছে, সেটা বদলায় না।’
তবে অন্য অভিযুক্তদের উদ্দেশে কোনো মন্তব্য করেননি কিম। এমনকি তার সাবেক ড্রাইভার গ্যারি মাদার, যিনি তার অবস্থান ডাকাতদের জানিয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তাকেও এড়িয়ে যান কিম।
অভিযুক্ত ইউনিস আব্বাসের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন কিম, যিনি ২০২১ সালে ‘আই হেল্ড আপ কিম কার্ডাশিয়ান’ নামে একটি স্মৃতিকথা প্রকাশ করেন।
কিম বলেন, ‘ও শুধু এই ঘটনা ঘটায়নি, সেই অভিজ্ঞতা দিয়ে বই লিখে টাকা আয় করছে—এটা আমাকে খুব আহত করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবার দেওয়া ঘড়ি, আমার স্মৃতি—এসব তো আর ফিরে পাওয়া যাবে না।’
শুনানিতে কিম জানান, ঘটনার পর তার জীবনে এক রকম ভীতি ঢুকে গেছে। তিনি বলেন, ‘এখন রাতে আমি একাধিক নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া ঘুমাতে পারি না। ঘটনার পর আমার মনে হতো, আমি বাইরে বের হলে কেউ বুঝে যাবে, বাড়ি খালি আছে। তারপরই হয়তো আবার কিছু একটা ঘটবে।’
কিম বলেন, এই মামলায় নিজে উপস্থিত থেকে সত্য বলা তাঁর দায়িত্ব। ‘আমি একজন ভুক্তভোগী, আমার সত্যটা বলার জায়গা এটাই। এটা আমার পরিণতি, আমি চেয়েছি এটাকে শেষ করতে।’ বলেন তিনি।
কিম আরও বলেন, ‘এটা খুব ভয়ের, জীবন বদলে দেওয়া অভিজ্ঞতা ছিল। আমি চাই না, আর কেউ কখনো এমন ঘটনার শিকার হোক।’