img

অফিস ডেস্কে রাখতে পারেন এই গাছগুলো

প্রকাশিত :  ১০:০৬, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:১৪, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অফিস ডেস্কে রাখতে পারেন এই গাছগুলো

সারাদিনের প্রায় অর্ধেকের বেশি সময় কেটে যায় অফিসে। তাই অফিস ডেস্কে কিছুটা সবুজের ছোঁয়া থাকলে শরীর, মন দুটোই প্রফুল্ল ও চাঙ্গা থাকে। তবে বেশিরভাগ অফিসেই যেহেতু এখন সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার থাকে, তাই আলো-বাতাস ভেতরের একেবারেই চলাচল করে না বললেই চলে। তাই অফিস ডেস্কে এমন গাছ রাখতে হবে যা এই পরিবেশে খাপ খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, অফিস ডেস্কে আপনি কী কী গাছ রাখতে পারেন জেনে নিই:

মানিপ্ল্যান্ট

মানিপ্ল্যান্ট শুধু মাটিতে নয়, পানিতেও শেকড়সহ বেড়ে উঠতে পারে এবং বিশেষ যত্ন ছাড়াই লতানো পাতায় বড় হতে থাকে। অফিস ডেস্কের আশেপাশে এই গাছের লতানো পাতা ছড়িয়ে দিলে তা দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। এছাড়াও, কাজের টেবিলে মানিপ্ল্যান্ট রাখলে মনেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি রোদ এবং পানি ছাড়াই অন্য গাছের ছায়ায়ও বেঁচে থাকতে পারে। এমনকি অন্ধকার ঘরেও টিকে থাকে বলে একে ডেভিল’স আইভি বলা হয়।

পিস লিলি

পিস লিলি আকারে ছোট, কিছুটা লতানো এবং দেখতে সুন্দর হওয়ায় অফিসে রাখা যায়। এর গাঢ় সবুজ পাতা এবং মাঝে মাঝে ফোটা শুভ্র ফুল মনকে প্রশান্তি দেয়। ফুল বিবর্ণ হয়ে এলে বৃন্তসহ তা কেটে ফেলতে হয়। সূর্যের আলো, সার, পানি ছাড়াই বেঁচে থাকতে পারে পিস লিলি। যদি ফুল না ফোটে, তবে কিছুটা উজ্জ্বল আলোতে রাখা যেতে পারে, কিন্তু সরাসরি সূর্যালোকে নয়। এর রস কিছুটা বিষাক্ত, তাই ফুল বা পাতা ছাঁটাইয়ের পর ভালোভাবে হাত ধুতে হবে।

জিজি প্ল্যান্ট

জিজি প্ল্যান্টের গাঢ় সবুজ পাতা অফিস ডেস্কে রাখলে প্রশান্তি এনে দেবে। এই গাছের যত্ন নিয়ে বেশি চিন্তা করতে হবে না। অল্প আলোতে বেঁচে থাকতে পারে এবং খুব বেশি পানির প্রয়োজন হয় না। তবে মাটি শুকিয়ে গেলে পানি দিতে হবে। দেখতে আকর্ষণীয় এই গাছটি ঘরকে বায়ুদূষণ এবং অ্যালার্জির প্রভাব থেকে মুক্ত রাখে।

পেপেরোমিয়া

পেপেরোমিয়া গাছের পাতাগুলো উজ্জ্বল এবং আকর্ষণীয়। পাতার বেগুনি, সবুজ, লাল রঙের কিনারা, তরমুজের মতো ডোরাকাটা দাগ এবং ঢেউখেলানো আকার দেখতে ভালো লাগে। এই গাছটি অফিস ডেস্কে রাখলে ডেস্কের সৌন্দর্য অনেকগুণ বেড়ে যায়।

স্পাইডার প্ল্যান্ট

স্পাইডার প্ল্যান্টের বিশেষত্ব হলো এটি খুব অল্প আলোতেও সালোকসংশ্লেষণ করতে পারে, ফলে অক্সিজেনের জোগান অব্যাহত রাখে। এটি স্টাইরিন, গ্যাসোলিন জাতীয় দূষিত বাতাস শোষণ করে, তাই অফিস ডেস্কে অন্য গাছের সঙ্গেও রাখা যেতে পারে। কিছু পানি আর পাথর দিয়ে সিরামিক বা কাচের পাত্রে রাখলে এটি অফিসের সৌন্দর্য অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়।

হার্টলিফ ফিলোডেনড্রন

হার্টলিফ ফিলোডেনড্রন গাছের লতা লম্বায় ৪ ফুট বা তার বেশি হতে পারে। এই গাছটি অন্ধকারেও ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। টবে মাটি বা বোতলে পানিতেও সহজেই টিকে থাকতে পারে। ৪-৫ দিন পরপর বোতলের পানি বদলে দিতে হবে এবং অতিরিক্ত লম্বা লতা ও মরা পাতা ছেঁটে ফেলতে হবে।

স্নেক প্ল্যান্ট

স্নেক প্ল্যান্ট খুব সহজে পাওয়া যায় এবং এর বিভিন্ন ধরন রয়েছে। আপনার পছন্দ অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন। এই গাছের যত্ন নেওয়া সহজ। মাটি একেবারে শুকিয়ে গেলে তবেই পানি দিতে হবে। বেশি আলো বা পানির প্রয়োজন হয় না এবং এটি সহজে মরে না। তাই অফিসে রাখার জন্য এটি সবচেয়ে উপযুক্ত গাছ।


img

ঘরোয়া উপায়ে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে যা করবেন

প্রকাশিত :  ০৭:০৬, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৫৪, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইউরিক অ্যাসিডে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনকে বিশ্বব্যাপী দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর আমাদের দেহে যখন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়, তখন তা জয়েন্টে ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টাল হিসেবে জমতে শুরু করে। তখন গাঁটে গাঁটে অসহ্য ব্যথা শুরু হয়। এমনকি অনেকের জয়েন্টও ফুলে ওঠে।

ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন অনুসারে, ইউরিক অ্যাসিডের সাধারণ পরিসর হলো পুরুষদের জন্য ৩.৪ থেকে ৭ মিলিগ্রাম প্রতি ডেসিলিটার এবং মহিলাদের জন্য ২.৪ থেকে ৬ মিলিগ্রাম প্রতি ডেসিলিটার, তবে এটি ৩.৫ থেকে ৭.২ পর্যন্ত হতে পারে।

চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে, আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কিছু পিউরিন যুক্ত খাবার থাকে, যা আমাদের শরীরে পৌঁছে দেহে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে।

পিউরিন যুক্ত খাবার : মাংস এবং মাংস সুপ, কলিজা, মগজ, কিডনি, গুর্দা, মাছের ডিম, ইস্ট, হাঁসের মাংস, মুরগির মাংস, শুঁটকি মাছ, বেগুন, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মাছ, মাসরুম, ছোলা, মুসুর ডাল, মটরশুঁটি।

জেনে নিন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে করণীয় :

পিউরিন যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা: কিছু খাবারে পিউরিনের পরিমাণ বেশি থাকে, এটি এমন একটি যৌগ যা শরীরে ভেঙে ইউরিক অ্যাসিডে পরিণত হয়। যখন আমরা এ ধরনের খাবার কম খাই, তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। সাধারণ পিউরিন-সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে অর্গান মিট, রেড মিট, শেলফিশ এবং নির্দিষ্ট ধরনের মাছ। এসবের পরিবর্তে শাকসবজি, ফল এবং দানাশস্য খাওয়ার দিকে মনোনিবেশ করুন। এর মানে এই নয় যে প্রোটিনকে সম্পূর্ণভাবে ছেটে ফেলতে হবে। উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিন যেমন লেবু এবং বাদাম চমৎকার বিকল্প হিসেবে কাজ করে।

পানি পান করুন: ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কেননা, এই পানির মাধ্যমে শরীরের অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড মূত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে যাবে। ফলে ব্যথা, ফোলা কমতে সময় লাগবে না। এ কারণেই একজন ব্যক্তিকে দৈনিক ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

কফি পান করুন: কফি প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে। একই সঙ্গে বেশ কিছু অ্যান্টি-অক্সিডেন্টেরও খোঁজ মেলে এ পানীয়তে। আর ক্যাফেইন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের যুগলবন্দিতে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা স্বাভাবিক থাকতে বাধ্য় হয়। তাই আপনি নিয়ম করে দুই কাপ কফি পান করুন।

ভিটামিন সি যুক্ত খাবার: প্রতিদিন ভিটামিন সি​যুক্ত খাবার খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মতো সমস্যাকে হেলায় হারিয়ে দেয়া সম্ভব। আপেল, পেয়ারা, আমলকী ইত্যাদি ফলও ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে।

ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখুন: আমাদের শরীর ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ইনসুলিনের মাত্রা গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ ইনসুলিনের মাত্রা ইউরিক অ্যাসিড ধারণে বৃদ্ধি ঘটাতে পারে, যা গাউটের মতো অবস্থার কারণ হতে পারে। দানাশস্য, শাকসবজি এবং চর্বিহীন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করুন যা শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।