ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ি থেকে সব মিলিয়ে পুলিশের ৫ হাজার ৮২৯টি অস্ত্র ও ৬ লাখ ৬ হাজার ৭৪২ রাউন্ড গুলি লুট হয়েছে।
মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
জানা যায়, অস্ত্র ছাড়াও ৩১ হাজার ৪৪ রাউন্ড টিয়ার গ্যাসের সেল, ৪ হাজার ৬৯২ রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড লুণ্ঠিত হয়।
লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে ৭.৬২ বোরের রাইফেল আছে ১ হাজার ১৪৭টি। ৭.৬২ বোরের পিস্তল ১ হাজার ৫৫৬টি। মঙ্গলবার পর্যন্ত পুলিশের অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ৩ হাজার ৭৬৩টি। এখন উদ্ধার হয়নি ২ হাজার ৬৬টি। গুলি উদ্ধার হয়েছে ২ লাখ ৮৬ হাজার ৮২ রাউন্ড। এখনও বেহাত আছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৬৬০ রাউন্ড গুলি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগামী অক্টোবরে ঢাকায় পূর্ব নির্ধারিত আঞ্চলিক সম্মেলনের ভেন্যু বদলেছে। সংস্থাটির আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এই সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন কি না এমন আলোচনার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত এল।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। আন্দোলনকারীদের উপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত হাসিনার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়েছে। গণহত্যার দায়ে হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে। এরমধ্যে কিছু মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে।
এমন পরিস্থিতিতে অক্টোবরে পূর্ব নির্ধারিত আঞ্চলিক সম্মেলন ঢাকায় হবে কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। কারণ পুতুল ঢাকায় এলে তাকে গ্রেফতার করা হবে কি না এ নিয়ে নানা আলোচনা রয়েছে।
তবে আপাতত এমন কোনো সমীকরণ নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না। ঢাকার একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ঢাকার পূর্ব ঘোষিত সম্মেলন হবে ভারতের নয়াদিল্লিতে। ফলে পুতুলকেও আসতে হচ্ছে না।
সূত্রটি বলছে, আগামী ১৪ থেকে ১৮ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে সম্মেলনটি হবে।
ঢাকা এবং দিল্লির কূটনীতিক সূত্রের ভাষ্য, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাতায়াতে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জাতিসংঘের ভ্রমণ দলিল ব্যবহার করার কথা, যা সাধারণভাবে জাতিসংঘ পাসপোর্ট হিসেবে গণ্য হয়।
ফলে জাতিসংঘের কর্মকর্তা হিসেবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার বিশেষ আইনি ছাড় পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কূটনৈতিক ছাড় নাও পেতে পারেন। আন্তর্জাতিক পরিসরে এই আইনের দৃষ্টিভঙ্গি বিভিন্ন রকম হতে পারে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচালক হিসেবে পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করেন সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাজের দেখভাল করে দিল্লিভিত্তিক আঞ্চলিক দপ্তরটি।