img

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলাম জামিনে মুক্ত

প্রকাশিত :  ০৮:৫১, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:২৬, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলাম জামিনে মুক্ত

দেশের অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ।

আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. লুৎফর রহমান তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রয়েছে। জামিনের কাগজপত্র গতকাল কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছলে কর্তৃপক্ষ সেই জামিনের কাগজ যাচাই-বাছাই করে রাত ৯টার দিকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি। সুইডেন আসলাম ঢাকা নবাবগঞ্জ উপজেলার ছাতিয়ার এলাকার মৃত শেখ জিন্নাত আলীর ছেলে।

কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সাল থেকে তিনি কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার চারটি মামলা ও অস্ত্র আইনের দুটি মামলা হয়। যার কারণে তার যাবজ্জীবন এবং ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয়। পরে এসব মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে অব্যাহতি পান। সর্বশেষ আসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয় তেজগাঁওয়ের যুবলীগের নেতা গালিব হত্যার ঘটনায়। ১৯৯৭ সালের ২৩ মার্চ মাসে গালিব খুন হন। এ ঘটনায় আসলামসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ১৯৯৮ সালের ৮ এপ্রিল অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন। এ মামলার ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত পুলিশ মাত্র ১৪ জনকে আদালতে হাজির করতে পেরেছে। ওই মামলায় জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে শেখ আসলাম।

প্রসঙ্গত, চারদলীয় জোট সরকারের সময় শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ আসলাম ১৯৮৬ সালে ফার্মগেট এলাকায় এক স্কুলের সামনে শাকিল নামে এক কিশোরকে গুলি করে। এমন আরো একাধিক খুনের অভিযোগ উঠে তার নামে। একাধারে কয়েকটি মামলায় জড়িয়ে দেশ ত্যাগ করে কিছুদিন সুইডেনে অবস্থান করেন আসলাম। পরবর্তীতে দেশে ফিরলে তার নামের সাথে সুইডেন শব্দ যোগ হয়ে সুইডেন আসলাম নামে পরিচিত হয়ে উঠে।

বাংলাদেশ এর আরও খবর

img

ঢাকা থেকে সরে গেল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সম্মেলন

প্রকাশিত :  ১১:০৬, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগামী অক্টোবরে ঢাকায় পূর্ব নির্ধারিত আঞ্চলিক সম্মেলনের ভেন্যু বদলেছে। সংস্থাটির আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এই সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন কি না এমন আলোচনার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত এল। 

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা।  আন্দোলনকারীদের উপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত হাসিনার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়েছে। গণহত্যার দায়ে হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে।  এরমধ্যে কিছু মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে। 

এমন পরিস্থিতিতে অক্টোবরে পূর্ব নির্ধারিত আঞ্চলিক সম্মেলন ঢাকায় হবে কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। কারণ পুতুল ঢাকায় এলে তাকে গ্রেফতার করা হবে কি না এ নিয়ে নানা আলোচনা রয়েছে।

তবে আপাতত এমন কোনো সমীকরণ নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না। ঢাকার একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে,  ঢাকার পূর্ব ঘোষিত সম্মেলন হবে ভারতের নয়াদিল্লিতে।  ফলে পুতুলকেও আসতে হচ্ছে না।

সূত্রটি বলছে, আগামী ১৪ থেকে ১৮ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে সম্মেলনটি হবে।

ঢাকা এবং দিল্লির কূটনীতিক সূত্রের ভাষ্য, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাতায়াতে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জাতিসংঘের ভ্রমণ দলিল ব্যবহার করার কথা, যা সাধারণভাবে জাতিসংঘ পাসপোর্ট হিসেবে গণ্য হয়।  

ফলে জাতিসংঘের কর্মকর্তা হিসেবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার বিশেষ আইনি ছাড় পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কূটনৈতিক ছাড় নাও পেতে পারেন। আন্তর্জাতিক পরিসরে এই আইনের দৃষ্টিভঙ্গি বিভিন্ন রকম হতে পারে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচালক হিসেবে পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করেন সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল।  দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাজের দেখভাল করে দিল্লিভিত্তিক আঞ্চলিক দপ্তরটি। 

বাংলাদেশ এর আরও খবর