img

‘কামানে যে গরম জল থাকে সেটার কথা বলেছি’

প্রকাশিত :  ০৬:২২, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:২৮, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

‘কামানে যে গরম জল থাকে সেটার কথা বলেছি’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন আওয়ামীলীগের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘আলো আসবেই’ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা এখন তুঙ্গে। সম্প্রতি সেই গ্রুপের ১৪৬টি  স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে, যা নিয়ে সর্বমহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। গ্রুপটিতে শিক্ষার্থীদের ওপর ‘গরম পানি ঢালা’র পরামর্শ দেওয়া অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস গোপনে দেশ ছেড়ে কানাডা পাড়ি জমিয়েছেন। 

সেখান থেকে পুরো বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। আত্মপক্ষ সমর্থনে এটিও পরিষ্কার করেছেন, ‘গরম জল’ বলতে তিনি জলকামানের কথা বুঝিয়েছেন!

অরুণা বলেন, ‘আমরা কিন্তু সেখানে (গ্রুপে) কোনও বাজে কথা বলিনি। আমরা কিন্তু সব সময় বলেছি ছাত্রদের সঙ্গে বসেন। কথা বলেন। আমরা তো আর নীতিনির্ধারণী কেউ না। 

সেখানে বলা হয়েছে হাসপাতালে আগুন। ওখানে কেউ ঢুকতে পারছে না। আমি বলেছি গরম জল দিলেই হয়। গরম জল তো কামান থেকে দেয়। জলকামান লিখি নাই আর কি। ওখানেই বোধহয় মিসটেক হয়েছে। কামানে যে গরম জল থাকে সেটার কথা বলেছি।’

আন্দোলনের সময় আপনারা বিটিভি ও মেট্রোরেলের পাশে দাঁড়িয়েছেন অরুনা বিশ্বাস ছাত্রদের পাশে তো দাঁড়াতে পারতেন? 

এর জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘সত্যি কথা হলো আমি তখন অসুস্থ ছিলাম। পাঁচদিন কোনও খবর নিতে পারিনি। ইন্টারনেট যখন বন্ধ ছিল, তখন। ওই সময় যে বাচ্চাদের এত কিছু হয়েছে জানতাম না। 

আসলে আমরা কেউ কিন্তু ছাত্রদের বিপক্ষে ছিলাম না। আমাদের মিডিয়ার লোকজন তাদের বিপক্ষে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছে। আমরা কিন্তু সন্ত্রাসীদের কথা বলেছি। ছাত্রদের কথা না।’

এদিকে কানাডা থেকে দেশে ফেরার প্রসঙ্গে এড়িয়ে যান অভিনেত্রী। বলেন, ‘এগুলো এখন আর না বলি। এখন কোনও কিছুই নরমাল লাগছে না। কাউকে আপন মনে হচ্ছে না। দেখছি তো অনেক সাংবাদিকের বউ মন্ত্রীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে গান গাইছে। 

অনেক সাংবাদিক জাতীয় পুরস্কার পাইছে। তারা তো ধুমায়া লিখে গেছে। আমি আওয়ামী লীগ করছি ঠিকই, সেন্সর বোর্ডের মেম্বার ছিলাম, কিন্তু আমি তো কোনও নীতিনির্ধারকের জায়গায় ছিলাম না।’

কিন্তু এটাও তো গুঞ্জন রয়েছে অরুণা বিশ্বাস এত কিছু করেছেন বিটিভি’র মহাপরিচালক হওয়ার আশায়। সে বিষয়টি এড়িয়ে না গিয়ে শুধরে দিয়ে বলেছেন, ‘নাহ। আমি বিটিভির ডিজি হতে চাই নাই।

এটা তো হওয়া সম্ভব না। আমি ডিরেক্টর অব প্রোগ্রাম হওয়ার জন্য বলেছিলাম আগের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীকে। উনি বলেছিলেন, এটা তো প্রধানমন্ত্রীর বিষয়। এইটুকুই। আমি আসলে কাজ করার জন্যই হতে চেয়েছিলাম।’ 

৫ আগস্টের ফলাফল নিয়ে অরুণা বিশ্বাসকে যদি আত্মসমালোচনা করতে বললে দীর্ঘশ্বাস ফেলেছেন। এরপর অরুণা বলেন, ‘আমি এগুলো বলতে গেলে তো…। এসব নিয়ে বলা ঠিক না। কিছুই বলব না। অনেক সময় সত্য কথা বলা যায় না। বলা উচিতও না। 

আমরা শিল্পী হইতে পারি, আমাদের যে অনেক মর্যাদা আছে তা না। আমি কিন্তু বিএনপির সময়ও কোনও অ্যাওয়ার্ড পাইনি। ওই সময় বিটিভিতে বাবুল ভাইকে বলে দু-একটা কাজ করেছি। অনেকে ভাবছে আওয়ামী লীগ করেছি, অনেক টাকা-পয়সা পেয়েছি। কোথায় টাকা-পয়সা? অনেক সময় তো আমাদের সঙ্গে ঠিকমতো কথাও বলত না।’

আলাপের শেষাংশে অরুণার অভিমানী ইঙ্গিত বিগত সরকারপ্রধান ও কর্তাদের দিকেই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর লক্ষ্যে তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং সংসদ সদস্য ফেরদৌসের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই’ নামের ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়, যেখানে আওয়ামীপন্থি শিল্পী ও সাংবাদিকেরা যুক্ত ছিলেন। তবে প্রকাশিত স্ক্রিনশট শটে সক্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী সুইটি, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাসসহ কয়েকজন। 

জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী শুরু থেকেই ছাত্রদের পক্ষ ছিলেন। ওই গ্রুপে ফারুকীকে নিয়েও চলে সমালোচনা। অরুণা সমালোচনার এক পর্ক্সায়ে ফারুকীকে ‘হারামজাদা’ বলে বসেন। এমনকি বিভিন্ন ব্যক্তিকে ‘রাজাকার’ তকমা দেয়া, আবার শিল্পীদের স্ট্যাটাস-কর্মকাণ্ডে তুলে ধরে তাদের চিহ্নিত করে রাখতে বলেছেন এই অভিনেত্রী। 

‘আলো আসবেই’ গ্রুপটিতে আরও ছিলেন সুবর্ণা মুস্তাফা, সোহানা সাবা, বিজরী বরকতুল্লাহ, আজিজুল হাকিম, স্বাগতা, বদরুল আনাম সৌদ, শমী কায়সার, তানভীন সুইটি, রওনক হাসান, মাসুদ পথিক, আশনা হাবীব ভাবনা, শামীমা তুষ্টি, জামশেদ শামীম, উর্মিলা কর, মামুনুর রশিদ, সাজু খাদেম, হৃদি হক, আশরাফ কবীর, দীপান্বিতা মার্টিন, সাইমন সাদিক, জুয়েল মাহমুদ, জায়েদ খান, ঝুনা চৌধুরী, লিয়াকত আলী লাকি, সৈয়দ আওলাদ, নূনা আফরোজ, রোকেয়া প্রাচী, গুলজার, এসএ হক অলীক, লিমন আহমেদ প্রমুখ।


img

বিছানায় যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয় নয়নতারাকেও

প্রকাশিত :  ১০:৩২, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গোটা ভারত আর জি কর-কাণ্ডে উত্তাল। চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যায় ক্ষোভে ফুঁসছে পশ্চিমবঙ্গ। এরই মধ্যে নতুন করে তোলপাড় ফেলেছে হেমা কমিশনের রিপোর্ট। আর জি কর-কাণ্ডের ঘটনার পর হেমা কমিশনের রিপোর্টে উঠে এসেছে মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতে যৌন হেনস্তার একের পর এক অধ্যায়।

যেগুলো বেশ নাড়া দিয়েছে গোটা ভারতের বিনোদনপ্রেমীদের। এর পরই যৌন হেনস্তা ইস্যুতে একের পর এক অভিনেত্রী তুলছেন বিস্ফোরক অভিযোগ। যা নিয়ে নিয়মিত তোলপাড় হচ্ছে মিডিয়া।

এরইমাঝে নয়নতারার একটি পুরনো অভিযোগ নতুন করে আলোচিত হচ্ছে।

অভিনেত্রীকে বিছানায় যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়, যা তিনি অকপটে স্বীকার করেন গণমাধ্যমে।

নয়নতারা বলেন, ‘আমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র দেয়ার পরিবর্তে বিছানায় যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। তবে আমি সাহস করে মুখের ওপর সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিই। কারণ, আমি জানি, নিজের যোগ্যতায় আমি দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রথমসারির অভিনেত্রী হয়ে উঠেছি।

মালায়ালাম সিনেমা ‘মানসিনাক্কারে’ দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন নয়নতারা। বর্তমানে দক্ষিণী সিনেমার প্রথমসারির অভিনেত্রী তিনি। তাকে সম্প্রতি দেখা গেছে শাহরুখ খানের বিপরীতে ‘জওয়ান’ চলচ্চিত্রে। এটি পরিচালনা করছেন অ্যাটলি কুমার। সিনেমাটির মাধ্যমে ক্যারিয়ারের গ্রাফটা বেশ ওপরের দিকেই নিয়ে গেছেন এই অভিনেত্রী।

নয়নতারা পরিচালক বিগনেশ শিবানকে বিয়ে করেন ২০২২ সালে। ক্যারিয়ারের পাশাপাশি দাম্পত্য জীবনে যমজ সন্তান নিয়ে বেশ সুখী জীবনযাপন করছেন এই অভিনেত্রী।