img

মার্কিন নির্বাচনে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দিলেন পুতিন

প্রকাশিত :  ০৮:১৮, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:৫৬, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মার্কিন নির্বাচনে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দিলেন পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে মস্কোকে প্রভাবিত করার জন্য অভিযুক্ত করার একদিন পর তিনি এই মত দেন।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভ্লাদিভোস্টকে অনুষ্ঠিত ইস্ট ইকোনোমিক ফোরামের সম্মেলনে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি কমলার সমর্থনের কথা জানান। খবর মেহের নিউজের।

আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসকে সমর্থনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পুতিন জানান, তিনি সমর্থন করবেন কমলাকে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ডেমোক্রেট প্রার্থীর হাসির ভক্ত তিনি। হ্যারিসের হাসিকে প্রাণোচ্ছল বলেও মন্তব্য করেন পুতিন। তার এ বক্তব্যের পরই হাস্যরসে মেতে ওঠেন উপস্থিত সবাই।

কমলা হ্যারিস সম্পর্কে নিজের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি অত্যন্ত খোলা মনের মানুষ এবং এমনভাবে ‘সংক্রামক’ হাসি উপহার দেন যে, এর অর্থ তার সবকিছুই ঠিক আছে।

তিনি আরও বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় রাশিয়ার ওপর যতগুলো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, এর আগে কোনো প্রেসিডেন্ট এত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। হ্যারিস যদি প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে সম্ভবত তিনি এ ধরনের পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকবেন।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

গাজার প্রধানমন্ত্রী নিহত, দাবি ইসরায়েলের

প্রকাশিত :  ১৩:৩৭, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামাস সরকারের প্রধানমন্ত্রী রাউহি মুশতাহাকে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এক এক্স-বার্তায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এ দাবি করেছে। এ ছাড়া দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটেরও একই দাবি।

দ্য টাইমস অব ইসরায়েল ও রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলের দাবির বরাতে বলা হয়, তিন মাস আগে গাজা উপত্যকায় রাউহি মুশতাহার অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী ও হামাসের উচ্চ পদস্থ দুই কর্মকর্তা নিহত হন। তারা হলেন- হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সামেহ আল-সিরাজ ও গোষ্ঠীটির সাধারণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রধান সামি ওদেহ।

মুশতাহা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে ইসরায়েলের কারাগারে ছিলেন। ২০১১ সালে বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে মুক্তি পান। কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি হামাস যোদ্ধাদের কাছে সিনিয়র ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন এবং মুক্তির পর গাজাবাসীর সেই আবেগ ধরে রাখেন।

তার মুক্তির মাত্র তিন দিন পর তিনি গাজা শহরের একটি রাত্রিকালীন সমাবেশে হাজির হন। ওই সমাবেশে হামাসের সশস্ত্র সেনাদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে তিনি বক্তৃতা করেন। ওই বক্তব্য গাজাবাসীর ওপর বেশ প্রভাব ফেলে।

মুশতাহা হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ডান হাত ছিলেন। যুদ্ধের কৌশল নির্ধারণে তার ভূমিকা অগ্রগণ্য। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের অভিযান শুরুর পর এ হত্যাকাণ্ড অন্যতম সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আইডিএফ জানায়, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে একটি টানেলে প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যরা লুকিয়ে ছিলেন। ইসরায়েলি বাহিনী সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যে সেখানে বিমান হামলা চালায়। আইডিএফ সুড়ঙ্গটিকে একটি সুরক্ষিত এবং সজ্জিত ভূগর্ভস্থ কম্পাউন্ড বলে বর্ণনা করে। সেখান থেকে হামাস যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ করত। সুড়ঙ্গটিতে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম মজুত ছিল। হামলা না করলে মুশতাহা দীর্ঘদিন সেখানে অবস্থান করে নেতানিয়াহুর বাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারত বলে দাবি ইসরায়েলের।

হামাস সিনিয়র কর্মকর্তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। আইডিএফ বলেছে, যোদ্ধাদের মনোবল এবং কার্যকারিতা ধরে রাখতে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি তা প্রকাশ থেকে বিরত থেকেছে।