img

কেনিয়ায় স্কুলে ভয়াবহ আগুন, ১৭ শিক্ষার্থী নিহত

প্রকাশিত :  ১০:৪১, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৪৩, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কেনিয়ায় স্কুলে ভয়াবহ আগুন, ১৭ শিক্ষার্থী নিহত

কেনিয়ার মধ্যাঞ্চলে বৃহস্পতিবার রাতে এক প্রাইমারি স্কুলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৭ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিয়েরি কাউন্টিতে ওই প্রাইমারি স্কুলে ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে তার কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। আগুনে দগ্ধ অনেককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।  

এদিকে আল জাজিরা বলছে, কেনিয়ার বোর্ডিং স্কুলের ছাত্রাবাসে অগ্নিকাণ্ডে ১৭ জন নিহত ছাড়াও দগ্ধ ১৩ জনের অবস্থা গুরুতর। শুক্রবার পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।  

হতাহতের বয়স এবং পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি তবে এদের বেশিরভাগই শিশু বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রাইমারি স্কুলটিতে অন্তত ৮০০ জন শিক্ষার্থী পড়াশুনা করে। যাদের বয়স পাঁচ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। 

পুলিশের মুখপাত্র রেসিলা ওনিয়াঙ্গো বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে তদন্ত চলছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। বার্তাসংস্থা এএফপিকে ওনিয়াঙ্গো বলেছেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে কিন্তু পুড়ে যাওয়ার কারণে তাদের চেনা যাচ্ছে না। 

কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট এই ঘটনাকে বিধ্বংসী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ ঘটনায় দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

গাজার প্রধানমন্ত্রী নিহত, দাবি ইসরায়েলের

প্রকাশিত :  ১৩:৩৭, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামাস সরকারের প্রধানমন্ত্রী রাউহি মুশতাহাকে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এক এক্স-বার্তায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এ দাবি করেছে। এ ছাড়া দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটেরও একই দাবি।

দ্য টাইমস অব ইসরায়েল ও রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলের দাবির বরাতে বলা হয়, তিন মাস আগে গাজা উপত্যকায় রাউহি মুশতাহার অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী ও হামাসের উচ্চ পদস্থ দুই কর্মকর্তা নিহত হন। তারা হলেন- হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সামেহ আল-সিরাজ ও গোষ্ঠীটির সাধারণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রধান সামি ওদেহ।

মুশতাহা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে ইসরায়েলের কারাগারে ছিলেন। ২০১১ সালে বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে মুক্তি পান। কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি হামাস যোদ্ধাদের কাছে সিনিয়র ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন এবং মুক্তির পর গাজাবাসীর সেই আবেগ ধরে রাখেন।

তার মুক্তির মাত্র তিন দিন পর তিনি গাজা শহরের একটি রাত্রিকালীন সমাবেশে হাজির হন। ওই সমাবেশে হামাসের সশস্ত্র সেনাদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে তিনি বক্তৃতা করেন। ওই বক্তব্য গাজাবাসীর ওপর বেশ প্রভাব ফেলে।

মুশতাহা হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ডান হাত ছিলেন। যুদ্ধের কৌশল নির্ধারণে তার ভূমিকা অগ্রগণ্য। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের অভিযান শুরুর পর এ হত্যাকাণ্ড অন্যতম সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আইডিএফ জানায়, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে একটি টানেলে প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যরা লুকিয়ে ছিলেন। ইসরায়েলি বাহিনী সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যে সেখানে বিমান হামলা চালায়। আইডিএফ সুড়ঙ্গটিকে একটি সুরক্ষিত এবং সজ্জিত ভূগর্ভস্থ কম্পাউন্ড বলে বর্ণনা করে। সেখান থেকে হামাস যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ করত। সুড়ঙ্গটিতে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম মজুত ছিল। হামলা না করলে মুশতাহা দীর্ঘদিন সেখানে অবস্থান করে নেতানিয়াহুর বাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারত বলে দাবি ইসরায়েলের।

হামাস সিনিয়র কর্মকর্তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। আইডিএফ বলেছে, যোদ্ধাদের মনোবল এবং কার্যকারিতা ধরে রাখতে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি তা প্রকাশ থেকে বিরত থেকেছে।