img

চীনের দক্ষিণে ২২৩ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়ল সুপার টাইফুন ‘ইয়াগি’

প্রকাশিত :  ০৬:৩০, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চীনের দক্ষিণে ২২৩ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়ল সুপার টাইফুন ‘ইয়াগি’

ব্যাপক শক্তি নিয়ে চীনের দক্ষিণে একটি দ্বীপে আছড়ে পড়েছে সুপার টাইফুন ‘ইয়াগি’। এর ফলে সেখানে ব্যাপক বৃষ্টিপাত এবং ঝড় হচ্ছে। গত এক দশকের মধ্যে এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন। 

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় হাইনান দ্বীপের উত্তর-পূর্বে ২২৩ কিলোমিটার গতিতে সুপার টাইফুন ইয়াগি আছড়ে পড়েছে। খবর বিবিসির।

হাইনান দ্বীপে আঘাত হানা টাইফুন ইয়াগি ২০১৪ সাল আঘাত হানা টাইফুন ‘রাম্মাসুনের’ চেয়ে অনেক শক্তিশালী। ওই সময়ে এই ঝড়ের আঘাতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। চীনের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শরতে আঘাত হানা শক্তিশালী টাইফুনের ফলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হতে পারে। 

ইয়াগির হাত থেকে বাঁচাতে ওই দ্বীপ থেকে ৪ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া নৌযান, ট্রেন এবং বিমান চলাচল বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে স্কুলও। 

গত সপ্তাহে ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে টাইফুন ইয়াগি ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর শক্তি আরও দ্বিগুন হয়েছে। এরপরই এটি চীনে আড়ছে পড়েছে। চলতি বছর এটি দ্বিতীয় শক্তিশালী টাইফুন। 

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ইয়াগির ফলে হাইনানে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া আক্রান্ত হবে পার্শ্ববর্তী গুয়াংডংও। এই এলাকাটি চীনের অন্যতম জনবহুল অঞ্চল। 

ইন্দো-প্যাসিফিক ট্রপিক্যাল সাইক্লোন সতর্ক কেন্দ্রের উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার বলেন, সুপাই টাইফুন ইয়াগি ভয়াবহ আকারের একটি ঘূর্ণিঝড়। এর আঘাতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধস হতে পারে। একটি সুপার টাইফুন শক্তির দিক দিয়ে ৫ ক্যাটাগরির হ্যারিকেনের সমতুল্য। 

স্থানীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, সুপার টাইফুন ইয়াগির আঘাতের ফলে হাইনান দ্বীপে পুরোপুরি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ৮ লাখ ৩০ হাজার বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৭ হাজার উদ্ধারকর্মী কাজ করছেন। ইতোমধ্যে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত দুই লাখ ৬০ হাজার বাসিন্দাদের বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। 

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

গাজার প্রধানমন্ত্রী নিহত, দাবি ইসরায়েলের

প্রকাশিত :  ১৩:৩৭, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামাস সরকারের প্রধানমন্ত্রী রাউহি মুশতাহাকে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এক এক্স-বার্তায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এ দাবি করেছে। এ ছাড়া দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটেরও একই দাবি।

দ্য টাইমস অব ইসরায়েল ও রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলের দাবির বরাতে বলা হয়, তিন মাস আগে গাজা উপত্যকায় রাউহি মুশতাহার অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী ও হামাসের উচ্চ পদস্থ দুই কর্মকর্তা নিহত হন। তারা হলেন- হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সামেহ আল-সিরাজ ও গোষ্ঠীটির সাধারণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রধান সামি ওদেহ।

মুশতাহা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে ইসরায়েলের কারাগারে ছিলেন। ২০১১ সালে বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে মুক্তি পান। কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি হামাস যোদ্ধাদের কাছে সিনিয়র ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন এবং মুক্তির পর গাজাবাসীর সেই আবেগ ধরে রাখেন।

তার মুক্তির মাত্র তিন দিন পর তিনি গাজা শহরের একটি রাত্রিকালীন সমাবেশে হাজির হন। ওই সমাবেশে হামাসের সশস্ত্র সেনাদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে তিনি বক্তৃতা করেন। ওই বক্তব্য গাজাবাসীর ওপর বেশ প্রভাব ফেলে।

মুশতাহা হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ডান হাত ছিলেন। যুদ্ধের কৌশল নির্ধারণে তার ভূমিকা অগ্রগণ্য। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের অভিযান শুরুর পর এ হত্যাকাণ্ড অন্যতম সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আইডিএফ জানায়, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে একটি টানেলে প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যরা লুকিয়ে ছিলেন। ইসরায়েলি বাহিনী সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যে সেখানে বিমান হামলা চালায়। আইডিএফ সুড়ঙ্গটিকে একটি সুরক্ষিত এবং সজ্জিত ভূগর্ভস্থ কম্পাউন্ড বলে বর্ণনা করে। সেখান থেকে হামাস যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ করত। সুড়ঙ্গটিতে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম মজুত ছিল। হামলা না করলে মুশতাহা দীর্ঘদিন সেখানে অবস্থান করে নেতানিয়াহুর বাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারত বলে দাবি ইসরায়েলের।

হামাস সিনিয়র কর্মকর্তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। আইডিএফ বলেছে, যোদ্ধাদের মনোবল এবং কার্যকারিতা ধরে রাখতে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি তা প্রকাশ থেকে বিরত থেকেছে।