img

সাভার-আশুলিয়ায় কাজে ফিরেছে শ্রমিকরা, পরিস্থিতি স্বাভাবিক

প্রকাশিত :  ০৭:৪৬, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাভার-আশুলিয়ায় কাজে ফিরেছে শ্রমিকরা, পরিস্থিতি স্বাভাবিক

সাভার ও আশুলিয়ার অধিকাংশ পোশাক কারখানায় কাজে ফিরতে শুরু করেছে পোশাক শ্রমিকরা। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে নির্ধারিত সময়ে কারখানায় কাজে যোগ দেন তারা।

সকাল ৮টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর জামগড়া ডিইপিজেড, পলাশবাড়ীতে যেসকল কারখানা বিক্ষোভ করেছিলেন, ওই সকল পোশাক কারখানার শ্রমিকদের আজ কাজে যোগ দিতে দেখা যায়।  

তবে সকাল ৯টার দিকে দুটি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া কোনোরকম বিশৃঙ্খলার সংবাদ পাওয়া যায়নি। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। 

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে যার যার নিজ কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন পোশাক শ্রমিকরা। কারখানাগুলোতে শুরু হয়েছে উৎপাদন কাজ। কারখানাগুলোর সামনে অধিক নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন রয়েছে শিল্প পুলিশ। এছাড়া একাধিক সেনাবাহিনী টহল টিম শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছে।

বাংলাদেশ গামের্ন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন বলেন, সকাল থেকে কারখানাগুলোতে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পায়নি।

আশুলিয়ায় শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, আশুলিয়ায় আজ অধিকাংশ কারখানায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু হয়েছে। শারমিন গার্মেন্টস ও অনন্ত গার্মেন্টস বন্ধ রয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। 

উল্লেখ্য, টানা কয়েকদিন শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ও আশুলিয়া-ডিইপিজেত-আব্দুল্লাহপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এতে ভোগান্তির শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ। 

জাতীয় এর আরও খবর

img

আমেরিকায় ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে ৩১ জন নিহত

প্রকাশিত :  ০৫:২৮, ১৬ মার্চ ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৩৩, ১৬ মার্চ ২০২৫

শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চল। এতে অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন।

বিধ্বংসী এই ঝড়ে মিসৌরিতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে, যেখানে ১২ জনের নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে টেক্সাস, আরকানসাস ও জর্জিয়াতেও প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ টর্নেডোর তাণ্ডবে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে একের পর এক টর্নেডো ও ঝড় আঘাত হানছে। মিসৌরিতে স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতভর তাণ্ডব চালায় একাধিক টর্নেডো, এতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। আরকানসাসে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। 

গভর্নর সারা হাকাবি স্যান্ডার্স জানিয়েছেন, জরুরি উদ্ধারকর্মীরা মাঠে নেমেছেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

টেক্সাসেও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অ্যামারিলো এলাকায় ধুলিঝড়ের কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দুর্যোগের কেবল শুরু।

সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরও টর্নেডোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে লুইসিয়ানা, মিসিসিপি, আলাবামা ও জর্জিয়ায় আঘাত হানতে পারে। একইসঙ্গে, উত্তরাঞ্চলে তুষারঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বাতাসের গতিবেগ কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ১০০ মাইল ছাড়িয়ে যেতে পারে। ওকলাহোমায় এতটাই শক্তিশালী বাতাস বইছে যে, একাধিক ট্রাক উল্টে গেছে। প্রবল ঝড়ের পাশাপাশি, টেক্সাস, কানসাস, মিসৌরি ও নিউ মেক্সিকোতে দাবানলের ঝুঁকিও বেড়েছে।

এছাড়া ওকলাহোমায় ১৩০টির বেশি দাবানলের খবর পাওয়া গেছে, যা ২৬৬ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, কিছু এলাকাকে ইতোমধ্যে খালি করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

এদিকে, দুই লাখের বেশি বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জর্জিয়া ও আরকানসাসে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

জাতীয় এর আরও খবর