প্রকাশিত :
০৬:১৭, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সর্বশেষ আপডেট: ০৮:৪৪, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ভারতের উত্তরপ্রদেশের লখনৌ শহরে একটি তিনতলা ভবন ধসে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৮ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার বিকেলে শহরের ট্রান্সপোর্ট নগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিনতলা ওই ভবনটিতে বেশ কিছু গোডাউন এবং মোটর ওয়ার্কশপ ছিলো। সেখানে এখনও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থা বাহিনী (এসডিআরএফ)।
জেলা প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে আর কেউ আটকে আছেন কিনা, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভবনটি প্রায় চার বছর আগে নির্মিত হয়েছিলো। দুর্ঘটনার সময়ও সেখানে নির্মাণকাজ চলছিলো। শনিবার বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে যখন এ দুর্ঘটনা ঘটে তখন, অনেকেই ভবনটির নিচতলায় কাজ করছিলেন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভবনটির নিচতলায় একটি মোটর ওয়ার্কশপ এবং গুদাম ছিলো। দ্বিতীয়তলায় একটি মেডিকেল গোডাউন, আর তৃতীয় তলায় একটি কাটলারির গুদাম ছিলো।
কেনিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে এখনও নিখোঁজ ৭০ শিশু, তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোককেনিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে এখনও নিখোঁজ ৭০ শিশু, তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক
মনিপুরে সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে রকেট হামলা, নিহত একমনিপুরে সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে রকেট হামলা, নিহত এক
দুর্ঘটনায় আহত মেডিকেল গোডাউনের এক কর্মচারী আকাশ সিং বলেন, ভবনের একটি পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছিলো।
তিনি আরও বলেন, বৃষ্টি হচ্ছিলো বলে আমরা নিচতলায় নেমে এসেছিলাম। এসময় আমরা লক্ষ্য করলাম যে, ভবনের একটি পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। এরপর হঠাৎ, পুরো বিল্ডিং আমাদের ওপর ধসে পড়ে।
দখলদার ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা খুবই ‘নির্ভরযোগ্য’ হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু এই আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে গতকাল রোববার ইসরায়েলের অনেকটা ভেতরে ঢুকে প্রাণঘাতী হামলা চালাতে সক্ষম হয় হিজবুল্লাহর ড্রোন।
লেবাননের ইরান-সমর্থিত রাজনৈতিক ও সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলাটি হয়েছে মধ্য-উত্তর ইসরায়েলের একটি সেনাঘাঁটিতে।
হামলায় চার ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। আহত ৬০ জনের বেশি। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) পক্ষ থেকে হতাহত হওয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, হামলায় আহত সাত সেনার অবস্থা গুরুতর।
স্থানীয় সময় গতকাল দিনের শেষ ভাগে এই ড্রোন হামলা হয়। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর গতকাল অন্যতম সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলার শিকার হলো ইসরায়েল।
আইডিএফ বলেছে, হিজবুল্লাহর পাঠানো একটি ড্রোন বিন্যামিনা শহর-সংলগ্ন একটি ইসরায়েলি সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায়। শহরটির অবস্থান তেল আবিবের উত্তরে। লেবানন সীমান্ত থেকে প্রায় ৪০ মাইল দূরে।
গতকাল হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা বিন্যামিনায় ইসরায়েলি বাহিনীর একটি পদাতিক প্রশিক্ষণ শিবির নিশানা করে হামলা চালাতে একঝাঁক ড্রোন পাঠিয়েছে।
হিজবুল্লাহর এমন কথার পর ইসরায়েলে ড্রোন হামলার খবর এল।
হিজবুল্লাহ বলে, গত বৃহস্পতিবার লেবাননে হামলা চালায় ইসরায়েল। বদলা হিসেবে তারা গতকাল ইসরায়েলে ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত বৃহস্পতিবার লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ২২ জন নিহত হন। আহত ১১৭ জন।
হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা ইসরায়েলের গোলানি ব্রিগেডকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছে।
গোলানি ব্রিগেড আইডিএফের একটি পদাতিক ইউনিট। এই ইউনিটের সদস্যদের দক্ষিণ লেবাননে মোতায়েন করেছে ইসরায়েল।
হামলার দায় স্বীকার করার কিছু আগে হিজবুল্লাহ তাদের সদ্য প্রয়াত নেতা হাসান নাসরুল্লাহর একটি অডিও বার্তা প্রকাশ করে। এ বার্তায় তিনি হিজবুল্লাহর সদস্যদের নিজেদের লোকজন, পরিবার, জাতি, মূল্যবোধ ও মর্যাদা রক্ষার আহ্বান জানান। গত মাসের শেষ দিকে ইসরায়েলি হামলায় নাসরুল্লাহর নিহত হন।
গতকাল দিনের শুরুর দিকে আইডিএফ বলেছিল, লেবানন থেকে পাঠানো একটি ড্রোন তারা রুখে দিয়েছে। তবে এ ঘটনা কোথায় ঘটেছে, তা তারা নির্দিষ্ট করে বলেনি।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা খুবই নির্ভরযোগ্য। কিন্তু গতকাল এই আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পেরেছে হিজবুল্লাহর ড্রোন। গতকাল হিজবুল্লাহর ড্রোন ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে প্রাণঘাতী হামলা চালায়।
সিএনএন আরও বলেছে, গতকাল হামলার সময় বিন্যামিনা এলাকায় কোনো সতর্কবার্তার খবর পাওয়া যায়নি। ফলে ড্রোন কীভাবে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের এতটা গভীরে প্রবেশ করতে সক্ষম হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ব্যতিব্যস্ত রাখার জন্য উত্তর ইসরায়েলি শহর নাহরিয়া ও একর নিশানা করে বেশ কয়েক ডজন রকেট ছোড়ে। একই সঙ্গে তারা একঝাঁক ড্রোন পাঠায়।
আইডিএফের শীর্ষ মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ ঘটনা তদন্ত করবে। কীভাবে ঘাঁটিতে ড্রোন প্রবেশ করল, কিন্তু সতর্কসংকেত বাজল না, তা খতিয়ে দেখা হবে।
ঘাঁটিটি থেকে দেওয়া এক ভিডিও বিবৃতিতে হাগারি বলেন, তাঁরা এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নেবেন। তাঁরা ঘটনাটি তদন্ত করবেন।
আইডিএফের এই মুখপাত্র বলেন, তাঁরা যুদ্ধের শুরু থেকেই ড্রোনের হুমকি মোকাবিলা করে আসছেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষায় উন্নতি দরকার।