img

ইসরাইলি সেনার গুলিতে মৃত্যু, মার্কিন প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি পরিবারের

প্রকাশিত :  ০৮:৫৬, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইসরাইলি সেনার গুলিতে মৃত্যু, মার্কিন প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি পরিবারের

তুর্কি-মার্কিন তরুণী আয়েশেনুর এজগি আইগি শুক্রবার পশ্চিম তীরে অবৈধ ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। ইসরাইলি সেনার গুলিতে নিহত হন তিনি। ময়নাতদন্তে আয়েশেনুরের মরদেহে ইসরাইলি স্নাইপারের গুলির প্রমাণ পাওয়া পাওয়া গেছে। 

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের নৃশংস সামরিক অভিযানে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। হামাসের হাতে জিম্মি মার্কিন নাগরিক মৃত্যুতে কঠোর বদলা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে মার্কিন প্রশাসন।

কিন্তু এবার নিজদেশের নাগরিককেই ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইল। এতে বিপাকে পড়েছে হোয়াইট হাউজ। প্রশ্নের মুখে পড়েছে মার্কিন নীতি। আয়েশেনুরে হত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাছে বিচার দাবি করেছে তার পরিবার।

আয়েশেনুরের পরিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরাইলি সামরিক বাহিনী, আমাদের জীবন থেকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে, বেআইনিভাবে এবং সহিংসভাবে ওকে কেড়ে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই নাগরিককে

অবৈধ ভাবে হত্যার ব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে এবং দোষীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আদেশ দেওয়ার জন্য আমরা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি’।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, আয়েশেনুরকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। 

এছাড়া তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আয়েশেনুরকে মাথায় গুলি করে মারা হয়েছে। তার মৃত্যুর জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার দায়ী।

২৬ বছর বয়সি আয়েশেনুর যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের বাসিন্দা। সম্প্রতি ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছিলেন তিনি। এছাড়া তিনি ফিলিস্তিনি পক্ষের একজন কর্মীও। যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে তার।

img

ইসরাইলের হামলায় গাজায় নিহত আরও ৫৬ ফিলিস্তিনি

প্রকাশিত :  ০৭:২২, ১৭ জুন ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:২৩, ১৭ জুন ২০২৫

গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরও ৫৬ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৮ জনই ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে আলজাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার ভোর থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এদের মধ্যে ৩৮ জন দক্ষিণের রাফাহ অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত বিতর্কিত স্থানগুলোতে ত্রাণ আনতে যান তারা।
যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল সমর্থিত ও ইসরাইলি সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় পরিচালিত জিএইচএফের কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ সংগ্রহকারীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। গাজা কর্তৃপক্ষ ও সমালোচকেরা এই ত্রাণ কেন্দ্রগুলোকে ‘মানব কসাইখানা’ আখ্যা দিয়েছেন। জিএইচএফ গত ২৭ মে থেকে কার্যক্রম শুরু করার পর এসব স্থানে ত্রাণ নিতে গিয়ে তিন শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন হাজারের বেশি মানুষ।  

ইরানের সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বিনিময়ের মধ্যেও ইসরাইলি বাহিনী গাজায় তাদের আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। 

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, ২০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইলি হামলায় ৫৫ হাজার ৩৬২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর আহতের সংখ্যা এক লাখের বেশি। এ ছাড়া ২০ লাখ বাসিন্দার অধিকাংশই বাস্তুচ্যুত।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর