পাচারকৃত অর্থ-সম্পদ ফেরতে যুক্তরাষ্ট্রকে যৌথ চিঠি
বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অবৈধ সম্পদ জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ করা (স্থগিত) ও ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-ইউএস ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)
যৌথ চিঠিতে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেনের উদ্দেশে প্রেরিত চিঠিতে জরুরি ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দেশের সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অবৈধ অর্থ-সম্পদের মালিকদের জবাবদিহি নিশ্চিত এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে বাংলাদেশ সরকারকে সক্রিয় সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এর আগে, ৩০ আগস্ট যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রীর উদ্দেশে বাংলাদেশিদের অবৈধ সম্পদ ফ্রিজ ও অর্থ দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল টিআইবি ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক চারটি দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা।
এ ছাড়া সুইজারল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সবকটি দেশ, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, হংকং ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ-সম্পদ ফেরত আনার উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়েছিল টিআইবি।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চেয়ারপারসন করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) গঠন করা হয়েছে। এ পরিষদে সদস্য হিসেবে আছেন সরকারের বাকি সব উপদেষ্টা।
গতকাল সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) অর্থনৈতিক পরিষদ গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বিষয়টি মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদকে সহায়তাদানকারী কর্মকর্তা হিসেবে থাকবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব/সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবরা।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, পরিষদের বৈঠক প্রয়োজনানুসারে অনুষ্ঠিত হবে। পরিকল্পনা বিভাগ পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দেবে। অর্থনৈতিক পরিষদ গঠনসংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গত ১৮ জানুয়ারি জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
পরিষদের কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত নীতি ও কৌশল গ্রহণে দিক-নির্দেশনা দেওয়া; দীর্ঘমেয়াদি ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ও কর্মপন্থা চূড়ান্তকরণ এবং অনুমোদন প্রদান; দীর্ঘমেয়াদি ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা; আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও দিক-নির্দেশনা প্রদান এবং জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের দায়িত্ব পালনে সহায়ক বিবেচিত যে কোনো কমিটি গঠন।