img

অভিনেত্রী ঋতাভরীর প্রস্তাবে মমতার সায়, তৈরি হবে ‘বিশেষ কমিশন’

প্রকাশিত :  ১৪:২০, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:২৯, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অভিনেত্রী ঋতাভরীর প্রস্তাবে মমতার সায়, তৈরি হবে ‘বিশেষ কমিশন’

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে ‘হেমা কমিশনের’ ধাঁচে একটি কমিশন তৈরির প্রস্তাব করেছেন অভিনেত্রী ঋতাভরী।

কলকাতার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে একের পর এক নারী নিগ্রহের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। এ পরিস্থিতিতে সিনে জগতে যৌন হেনস্থা রুখতে উদ্যোগী হয়েছেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী।

আনন্দবাজার লিখেছে, তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে ‘হেমা কমিশনের’ ধাঁচে একটি বিশেষ কমিশন তৈরির প্রস্তাব তুলেছেন।

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সচিবালয় নবান্নে ঋতাভরী দেখা করেছেন মঙ্গলবার বিকেলে। সেখানে তাদের আধাঘণ্টার বৈঠক হয়। বিশেষ কমিশন গঠনে ঋতাভরীর প্রস্তাবে সায় দেন মুখ্যমন্ত্রী, যে কমিশন পশ্চিমবাংলার বিনোদন দুনিয়ার সব স্তরের নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নারীদের সুরক্ষা চেয়ে একটি আবেদন জানিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। এবার সরাসরি দেখা করে কমিশন গঠনের প্রস্তাব রাখেন।

ঋতাভরী সোশাল মিডিয়ায় এক পোস্টে লিখেছিলেন, “মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতের যৌন হেনস্থার ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছে হেমা কমিশনের রিপোর্টে। আমি ভাবছি, বাংলা চলচ্চিত্র জগতে কেন এই ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে না?”

২০১৭ সালে এক মালয়ালম অভিনেত্রী তার নিজের গাড়িতে যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে কেরালার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি।

তখন ‘উইমেন ইন সিনেমা কালেক্টিভ’ নামের এক সংগঠন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের পরিবেশ নিয়ে সমীক্ষার জন্য একটি স্মারকলিপি জমা দেয়। কেরালার হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কে হেমার নেতৃত্বে এরপর কমিটি গঠিত হয়।

ওই কমিটি তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার সাড়ে চার বছর পর কেরালা সরকার গত ১৯ অগাস্ট সেই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতে নারীদের যৌন হেনস্থার নানা তথ্য উঠে আসে। ঘটনাটি পরিচিতি পাচ্ছে ‘হেমা কমিটির রিপোর্ট’ নামে।

২৩৫ পাতার এই রিপোর্টে যৌন হয়রানি, বেআইনি নিষেধাজ্ঞা, বৈষম্য, মাদক ও অ্যালকোহলের অপব্যবহার, পারিশ্রমিক বৈষম্য, এবং কাজে ক্ষেত্রে অমানবিক পরিবেশের বিবরণ উঠে এসেছে।

এদিকে টালিগঞ্জেও একের পর এক নারীনিগ্রহের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে পরিচালক অরিন্দম শীল, অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এর জেরে ডিরেক্টরস গিল্ড থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে অরিন্দম শীলকে। এছাড়া অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানায় একটি মামলাও দায়ের করেছেন এক অভিনেত্রী।

img

‘সিনেমা নির্মাণ একটি মহাযজ্ঞ, বললেন কুসুম সিকদার

প্রকাশিত :  ১৯:০৫, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

এবার পরিচালক পরিচয়ে আসছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী কুসুম সিকদার । ‘শরতের জবা’ শিরোনামের সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো তাকে নির্মাতা হিসেবে পাচ্ছেন দর্শক। আগামী ১১ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তি পাবে। 

লাক্সতারকা থেকে যাত্রা শুরু কুসুম সিকদারের। সিনেমায় অভিনয়ের জন্য অর্জন করেছেন খ্যাতি ও দর্শকপ্রিয়তা। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে সিনেমাটির মুক্তির ঘোষণা দেন কুসুম। 

২০২১ সালের বইমেলায়তার ‘অজাগতিক মায়া’ শিরোনামের একটি এই বের হয়। নিজের লেখা বই থেকে ‘শরতের জবা’ সিনেমাটি বড়পর্দায় তুলে এনেছেন তিনি। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও পহরডাঙ্গা পিকচার্স। একজন রহস্যময় নারীর জীবনের গল্প ‘শরতের জবা’।

অতৃপ্ত প্রেম, আঘাতের পর আঘাত, কিছু অপ্রত্যাশিত মৃত্যু জড়ানো জবার জীবন নানা সময়ে একেক প্রশ্নের জন্ম দেয়। 

জবা কিআসলেই খুনি? নাকি পরিস্থিতির শিকার? নাকি অদৃশ্য কোনো শক্তি রয়েছে তার সাথে? এমনই রোমাঞ্চকর কাহিনি নির্ভর গল্পে নির্মিত হয়েছে শরতের জবা। 

এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন-কুসুম সিকদার, জিতু আহসান, ইয়াশ রোহান, নিদ্রা দে নেহা, নরেশ ভূঁইয়া, শহিদুল আলম সাচ্চুসহ আরো অনেকে। 

১১ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির তারিখ থাকলেও খুব শিগগির সিনেমাটি আই স্ক্রিনেও মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

কুসুম শিকদার ছোটবেলা থেকে সংগীতচর্চা করতেন। তিনি নজরুল একাডেমি থেকে নজরুল সংগীত এবং ধ্রুপদী সংগীতের ওপর পড়াশোনা করেন। 

বেশ কিছু অ্যালবামের কাজ করেন। খালিদ মাহমুদ মিঠু পরিচালিত ‘গহীণে শব্দ’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে কুসুমের বড়পর্দায় আগমন ঘটে। 

এর পর থেকে বেশ কিছু সিনেমায় কাজ করেন এবং টিভি নাটকেও তিনি বেশ জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী। তবে পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি এই প্রথম। 

পরিচালনার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, অভিনয়ের কাজ অভিনয় দিয়েই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু পরিচালনার কাজ একদম প্রি-প্রোডাকশন থেকে শুরু পোষ্ট প্রোডাকশান শেষ হওয়ার পরেও কাজ শেষ হয় না। কোথায় রিলিজ দেওয়া হবে, মার্কেটিং পলেসি কী হবে।

 সিনেমা নির্মাণ একটি মহাযজ্ঞ। যাই হোক প্রথম কাজটি ভালোভাবে শেষ করতে পেরেছি। এতেই আমি খুশি। বাদবাকি দর্শকের হাতে।