img

টাওয়ার হ্যামলেটসের ‘বি ওয়েল’ অ্যাপ এখনই ডাউনলোড করুন

প্রকাশিত :  ১৮:৩৮, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টাওয়ার হ্যামলেটসের ‘বি ওয়েল’ অ্যাপ এখনই ডাউনলোড করুন

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নতুন লেজার সার্ভিস “বি ওয়েল” একটি নতুন অ্যাপ চালু করেছে। আপনি যদি একজন সদস্য হন, আপনি এখন সহজেই জিম, সাঁতার এবং ফিটনেস ক্লাস পরিচালনা করতে পারেন এবং আপনার আগ্রহের জন্য তৈরি করা নতুন সেশনগুলি আবিষ্কার করতে পারেন।
স্থানীয় কমিউনিটিগুলোর সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতার বিষয়টি প্রচারের জন্য আমাদের লেজার সার্ভিসে আমরা বিপুল বিনিয়োগ করছি। মে মাস থেকে, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল বিনামূল্যে লাইফগার্ড প্রশিক্ষণ সহ বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ চালু করেছে যার মধ্যে রয়েছে অবসর সময়ে ক্যারিয়ার এবং ১৬ বা তদূর্ধ্ব বয়সী নারী ও মেয়েদের জন্য এবং ৫৫ বা তদূর্ধ্ব বয়সী পুরুষ বাসিন্দাদের জন্য বিনামূল্যে সাঁতার কাটার সুবিধা ইত্যাদি।
লেজার সার্ভিসটি স্ট্রিমলাইন করার জন্য অ্যাপটি চালু করা হল। আপনি গুগল প্লে বা অ্যাপল স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারেন। এটি দ্রুত ডাউনলোড করা যায় এবং ব্যবহার করাও খুব সহজ।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

ব্রিটেনের ওয়েলসের কার্ডিফে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন,

প্রকাশিত :  ০৬:০৯, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:২৩, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

"বাঙালি জাতির কৃষ্টি সংস্কৃতি ও ইতিহাস ঐতিহ্য ও গৌরবময় অধ্যায় নব প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা এবং কমিউনিটির বন্ডিংকে আরও স্ট্রং করার লক্ষ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বৃটেনের ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বাঙালির প্রাণের উৎসব বর্ণাঢ্য “বাংলার মেলা”। 

পহেলা বৈশাখ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব বাঙালির উৎসব। এটি জাতীয় ঐক্য, সংস্কৃতি ও বাঙালি পরিচয়ের প্রতীক বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে গত ২১শে এপ্রিল দিনব্যাপী আয়োজনে বিভিন্ন শহর থেকে আগত  প্রবাসীরা উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলেন। মেলায় স্টলগুলোর মধ্যে ছিলো দেশি খাবার, কাপড়, আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন দেশের খাবার ও পণ্যের সমাহার। নানান সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের স্টলগুলো ছিল বেশ আকর্ষণীয়। প্রতিটি স্টল সাজানো হয় দেশীয় সাজে। উৎসব ঘিরে নানান ধরনের পিঠাপুলি, দেশীয় আসবাবপত্র দিয়ে সাজানো ছিল দেশীয় স্টলগুলো। 

ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান ও ওয়েলস বাংলা নিউজ এর সম্পাদক কমিউনিটি লিডার মোহাম্মদ মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং ওয়েলস বাংলাদেশ ইয়ুথ সোসাইটির অন্যতম কো-অর্ডিনেটর, বাংলার মেলার মূল আয়োজক বিশিষ্ট সাংবাদিক রাকিব খান ও যুব সংগঠক ইমরান উদ্দীন এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পোগ্রাম এর শুরুতেই ফিতা কেটে বাংলার মেলার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা  করেন লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট, এটিএন বাংলা ইউকের হেড অব নিউজ, সাংবাদিক ও লেখক সাঈম চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে কার্ডিফ কাউন্টি কাউন্সিলের  সাবেক লর্ড মেয়র কাউন্সিলার ড.বাবলিন মল্লিক, প্রাক্তন ডেপুটি লর্ড মেয়র কাউন্সিলার আলী আহমেদ, কার্ডিফ বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর সভাপতি আব্দুল হান্নান শহীদুল্লাহ্, বিকিটি লিমিটেড এর  ডিরেক্টর নাজমুল হোসেইন, ডিরেক্টর সামিউল ইসলাম, ওয়েলস বাংলাদেশ উইমেন্স এসোসিয়েশন এর সভাপতি তাহমিনা খান, কমিউনিটি সংগঠক গোলাম মর্তুজা, সাংস্কৃতিক সংগঠক জেসমিন জাহেদ, ওয়েলস বাংলাদেশ ইয়ুথ সোসাইটির অন্যতম কো-অর্ডিনেটর সেলিম আহমদ, ইউসুফ খান জিমি, আবুল কালাম মুমিন, মুজিবুর রহমান মুজিব, সৈয়দ ইকবাল আহমেদ, বদরুল হক মনসুর, ইব্রাহীম শোভন, ফয়সল আহমেদ, সাব্বির হোসেন, মাহবুব রহমান, সাজেল আহমেদ, রিপন মিয়া, কামাল আহমদ,ও জাভেদ আহমেদ বক্তব্য রাখেন। 

বাংলার মেলার মূল আয়োজক সাংবাদিক রাকিব খান  বাংলার মেলায় আগত দর্শক ও আমন্ত্রিত অতিথিরা দারুণভাবে উপভোগ করেন পুরো আয়োজনটি বলে উল্লেখ করে তিনি বর্ষবরণের আয়োজনকে সকলের সহযোগিতায় সাফল্যমন্ডিত করার জন্য উপস্থিত সবাই  ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। 

গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় ফাউন্ডার্স  কনভেনর কমিউনিটি লিডার মোহাম্মদ মকিস মনসুর সহ সকল অতিথি বক্তারা এই সুন্দর আয়োজনের জন্য আয়োজক প্রতিষ্ঠান বিকিটি লিমিটেড ও হোডেক লিমিটেড, এবং ওয়েলস বাংলাদেশ ইয়ুথ সোসাইটিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে জাতীয় ঐক্য, সংস্কৃতি ও বাঙালি পরিচয়ের প্রতীক “বাংলা মেলা” আর ও বড় পরিসরে প্রতিবছর  আয়োজনের জন্য অনুরোধ জানান।

উল্লেখ্য যে, পহেলা বৈশাখ, বাংলা সনের প্রথম দিন। এ দিনটি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, আসাম, ত্রিপুরাসহ দেশ-বিদেশে বসবাসরত প্রত্যেকটি বাঙালি নববর্ষ হিসেবে পালন করে। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন প্রাণের উৎসব। বাঙালি এই প্রাণের উৎসবের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত আছে আবহমান বাংলার কৃষি। গ্রামীণ মেলাগুলো পরিণত হয় উৎসবে। এই উৎসবের রং একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়তে বাঙালি জাতিকে এগিয়ে নিয়েছে বারবার। দেশ স্বাধীনের পর বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীকে পরিণত হয় বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। পুরাতনকে পেছনে ফেলে নতুনকে স্বাগত জানানোর উৎসবকেই নববর্ষ হিসেবে পালন করা হয় সারা বিশ্বে। নতুনের প্রতি সব সময়ই মানুষের থাকে বিশেষ আগ্রহ ও উদ্দীপনা। নতুনের মধ্যে সব সময়ই নিহিত থাকে অমিত সম্ভাবনা। সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপায়ন করার সুযোগ করে দিতে আসে নতুন বছর। একটি জাতির সংস্কৃতি সেই জাতির নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য, বিশ্বাস, আচার-অনুষ্ঠান, ধ্যান-ধারণা ইত্যাদি সামগ্রিক পরিচয় স্পষ্টভাবে ধারণ করে রাখে এবং তা বিশ্ব দরবারে সেই জাতির আত্মপরিচয়কে উঁচুতে তুলে ধরার কাজটিই করে থাকে। মূলত, সংস্কৃতি হচ্ছে একটি জাতির দর্পণ আর সংস্কৃতির বহুবিধ উপাদানের মধ্যে নববর্ষও অন্যতম একটি। 


কমিউনিটি এর আরও খবর