img

নোয়াখালীর হাতিয়ায় ৭ ট্রলারডুবি, ৩০ জেলে নিখোঁজ

প্রকাশিত :  ২০:৩৮, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ২০:৫৩, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নোয়াখালীর হাতিয়ায় ৭ ট্রলারডুবি, ৩০ জেলে নিখোঁজ

রেজুয়ান আহম্মেদ: বঙ্গোপসাগরের কূলে, নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপে এক অন্ধকার সন্ধ্যা বয়ে আনে বিভীষিকা। অবিশ্বাস্য এক ঝড়ের কবলে পড়ে সাতটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। এর মধ্যে ৩০ জন জেলেকে উদ্ধার করা হলেও, কমপক্ষে ৩০ জন এখনও নিখোঁজ। স্থানীয়দের কাছে, এই ঘটনা এক ভয়াবহ সংকটের সংকেত নিয়ে এসেছে।

দিনটি শুরু হয়েছিল স্বাভাবিকভাবেই, স্থানীয় জেলেরা তাদের ট্রলার নিয়ে গভীর সাগরে মাছ ধরার জন্য রওনা দিয়েছিল। গত কয়েক দিনে, হাতিয়ার বিভিন্ন ঘাট থেকে বেশ কিছু ট্রলার সমুদ্রে গিয়ে ছিল। কিন্তু আজ সকাল থেকে পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে শুরু করে। বৈরী আবহাওয়া, ঝোড়ো হাওয়া এবং তীব্র ঢেউয়ের কারণে ট্রলারগুলো ধীরে ধীরে ঘাটে ফিরতে শুরু করেছিল।

সন্ধ্যায় যখন ট্রলারগুলো ঘাটের দিকে ফিরে আসছিল, তখন হঠাৎ করে প্রকৃতি তার রূপ বদলে ফেলল। অপ্রত্যাশিতভাবে ঝোড়ো হাওয়া ও সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে সাতটি ট্রলার একে একে ডুবে যেতে থাকে। নদী ও সাগরের সঙ্গম স্থল, যেখানে সাধারণত শান্তি বিরাজ করে, সেখানেই আজ এক হইচইয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর মালিকেরা—বাবর মাঝি, জান মিয়া, দেলোয়ার মাঝি, হেলাল উদ্দিন, শহীদ মাঝি, মেহরাজ মাঝি, এবং ইউনুছ মাঝি—সবাই ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। ট্রলারগুলির উদ্ধার কাজ শুরু হলে, পার্শ্ববর্তী ট্রলারগুলোর সহায়তায় প্রায় ৩০ জন জেলেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তবে, এখনও কমপক্ষে ৩০ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।

কোস্টগার্ডের হাতিয়ার স্টেশন কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, "সূর্যমুখী এলাকায় একটি ট্রলার ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম, তবে মাঝিরা জানান যে ওই ট্রলার থেকে ১৮ জেলেকে অন্য ট্রলারের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও ট্রলারটি ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে গেছে। বাকি ট্রলারগুলোর বিষয়ে খবর নেওয়া হচ্ছে।"

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মিল্টন চাকমা জানান, "সন্ধ্যার পর সাতটি ট্রলার ডুবে যাওয়ার খবর পেয়েছি। নিখোঁজ জেলেদের সংখ্যা অন্তত ৩০ জন। তাদের বিস্তারিত তথ্য আগামীকাল সকালে জানা যাবে। ইতিমধ্যে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।"

এই দুর্যোগের খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাতিয়া এবং আশেপাশের এলাকায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। হাতিয়ার একেকটি ঘর, একেকটি পরিবার আজ মর্মান্তিক পরিস্থিতির মুখোমুখি। এই ঘটনাটি শুধু সাগরের কঠোর প্রকৃতির পরিচায়ক নয়, বরং মানুষের জীবনের অস্থিরতা ও ঝুঁকিরও এক নিদর্শন।

সাগরের ভেতর অদৃশ্য হয়ে যাওয়া জেলেদের জন্য প্রত্যেক পরিবারে অপেক্ষার প্রহর কাটছে। কোথাও কান্নার শব্দ, কোথাও শোকে মুহ্যমান। আগামীকাল সকাল হবে আরেকটি নতুন দিনের সূচনা, যেখানে হয়তো মিলবে কিছু নিখোঁজ জেলের খোঁজ, অথবা আরো বড়ো কিছু শোকের খবর।

img

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা

প্রকাশিত :  ১৫:৫০, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বিচারপতি গোলাম মুর্তজা মজুমদারকে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করেছি। ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিরা এই মাসের মধ্যেই হয়তো বসতে পারেন।

গত ৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আগামী দুই বছরের জন্য অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে ২৩ জনকে নিয়োগ দেয় সরকার। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন গোলাম মর্তূজা মজুমদার।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিয়োগের আনুষ্ঠানিকতা আজ রাতের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ চলে এসেছে। আমরা সামারি পড়ে দিয়েছি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের যে অবস্থা ছিল, আমরা ইমপ্রুভ করার চেষ্টা করছি। আমরা এতে অনেক সংশোধন এনেছি। যেমন: আসামিপক্ষ যেকোনো দেশের আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন, যেকোনো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অবজার্ভার হিসেবে থাকতে পারবে। সাক্ষ্য আইনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল সাক্ষ্যের যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতার বিধান এনেছি।

তিনি আরও বলেন, এখন যে অবস্থা আছে, এ অবস্থাতেই বিচার শুরু হতে পারে। আমাদের দুর্ভাগ্য, জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় যারা দায়ী ছিল বলে আমরা মনে করি, যারা প্রকাশ্যে গুলির হুমকি দিয়েছে, তাদের অনেকেই গ্রেপ্তার হননি, আত্মগোপনে আছেন। পলাতকদের বিচারের বিধান এই আইনে আছে


 


জাতীয় এর আরও খবর