img

শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণ : দগ্ধ আরও দুজনের মৃত্যু, প্রাণহানি বেড়ে ৫

প্রকাশিত :  ০৭:৫৯, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণ : দগ্ধ আরও দুজনের মৃত্যু, প্রাণহানি বেড়ে ৫

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ জাহাঙ্গীর আলম (৪৮) ও বরকত উল্লাহ (২৩) নামে আরও দুইজন মারা গেছেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় মারা গেলেন পাঁচজন।

আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা।

জাহাঙ্গীর পিরোজপুর জেলার কাউখালীর আবেদ আলী হাওলাদারের ছেলে। অপরদিকে বরকতুল্লাহ চট্টগ্রামের পটিয়া থানার মো. আইয়ুব আলীর ছেলে। তারা দুজনেই ওই শিপ ইয়ার্ড এলাকাতেই থাকতেন।

শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম জানান, শনিবার ভোরের দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলম ও বরকতউল্লাহ মারা যায়। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলমের শরীরের ৭০ শতাংশ ও বরকতুল্লাহর শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এই নিয়ে আমাদের হাসপাতালে সাতজনের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে  আবুল কাশেম (৩৯),  আনোয়ার হোসেন (৪৫) ও আল-আমিন (২৩)‌ নামে আরও তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সোনাইছড়ির তেঁতুলতলা এলাকার একটি শিপ ইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় বিস্ফোরণে ১০/১২ জন দগ্ধ হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় আটজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে আনা হলে পথিমধ্যেই ৯০% দগ্ধ নিয়ে আহমাদুল্লাহ মারা যান। পরে গত রোববার

খাইরুল (৮০ শতাংশ দগ্ধ) এবং সোমবার হাবিব (৪৫ শতাংশ দগ্ধ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।

img

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন শহীদ আবু সাঈদ

প্রকাশিত :  ১৩:৫৪, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ‘শহীদ আবু সাঈদ’।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) এ ফল প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। পরিবারকে দেওয়া অর্থনৈতিক নিশ্চয়তার প্রতিশ্রুতি পূরণ হলেও ওই ব্যক্তিটিই আর নেই। 

পরীক্ষায় আবু সাঈদের পরীক্ষার রোল নম্বর ছিল- ২০১২৫৬২৯৭। ফল প্রকাশের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, বাংলা ও ইংরেজি দুই বিভাগেই শিক্ষক হিসেবে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি।

গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। তিনি বেরোবির ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং এই ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কও ছিলেন।

১৮ আগস্ট আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বড় ভাই রমজান আলী মহানগর তাজহাট আমলি আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়।