পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা)

img

‘রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় মহানবীর (সা.) আদর্শের বিকল্প নেই’

প্রকাশিত :  ০৭:০১, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

‘রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় মহানবীর (সা.) আদর্শের বিকল্প নেই’

নিষ্কলুষ সমাজ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে রাসুলের (সা.) আদর্শ অনুসরণের বিকল্প নেই বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

তিনি বলেছেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন সর্বোত্তম আদর্শের অধিকারী। আমরা যদি মানবতার মুক্তি, সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্রকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই তাহলে রাসুলের (সা.) আদর্শের বিকল্প নেই।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৬ হিজরি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা।

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, আল্লাহর রাসুলের প্রত্যেকটি কাজ অত্যন্ত যৌক্তিক। আমরা যদি প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদের (সা.) জীবনাদর্শ ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে মেনে চলি, তাহলে আমাদের পার্থিব ও পরকালীন জীবন সফলতায় ভরে উঠবে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় নবী তার যাপিত জীবনে মানুষের অধিকার দিয়েছেন। তিনিই সর্বপ্রথম মানুষের অধিকার ঘোষণা করেন।

এ সময় হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে ড. খালিদ বলেন, মহানবী (সা.) ঘোষণা করেন, আরবের ওপর অনারবের কিংবা অনারবের ওপর আরবের, সাদার ওপর কালোর কিংবা কালোর ওপর সাদার আলাদা কোনো মর্যাদা নেই। যে মানুষের অন্তরে আল্লাহ ভীতি আছে, সে-ই আল্লাহর কাছে সবচেয়ে দামি।

তিনি বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য নিয়েও মহানবী (সা.) আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তিনটি জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করতে নবী করিম (সা.) নিষেধ করেছেন। প্রবহমান নদীর কিনারে, রাস্তায় ও গাছের ছায়ায় প্রস্রাব-পায়খানা করলে পরিবেশ দূষিত হয়। এ ছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় হজরত মুহাম্মদ (সা.) গাছ রোপণের ওপর গুরুত্বারোপ করে গেছেন।

আগামী দিনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে মহানবী হজরত মুহাম্মদের (সা.) জীবনী আরও উন্নতভাবে প্রকাশ করা হবে বলেও এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন ধর্ম উপদেষ্টা।


ইসলামি মহাসম্মেলন

img

সূর্য উঠার আগেই জনসমুদ্র সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

প্রকাশিত :  ০৫:৪০, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

ইসলামি মহাসম্মলনে যোগ দিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢল নেমেছে আলেম-ওলামা ও জনতার। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ভোর থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হতে থাকেন তারা।

সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দাওয়াত ও তাবলিগ, মাদারেসে কওমিয়া এবং দীনের হেফাজতের লক্ষ্যে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই মহাসম্মেলনের ডাক দেন দেশের ৪১ জন বিশিষ্ট আলেম। দেশের সর্বস্তরের আলেম–ওলামা ও ‘আপামর তাওহিদি জনতাকে’ মহাসম্মেলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।

এতে বলা হয়, ‘দাওয়াত ও তাবলীগ, মাদারেসে ক্বওমিয়া এবং দ্বীনের হেফাজতের লক্ষ্যে’ ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকাল নয়টায় এই মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

মহাসম্মেলনের আহ্বান জানানো বিশিষ্ট আলেমদের মধ্যে রয়েছেন- আল্লামা শাহ্ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা খলিল আহমাদ কাসেমী, আল্লামা আব্দুল হামিদ, আল্লামা আব্দুল রহমান হাফেজ্জী, আল্লামা নুরুল ইসলাম, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা রশিদুর রহমান, আল্লামা শাইখ জিয়াউদ্দিন, আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান, আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মাওলানা আরশাদ রহমানি, মাওলানা সালাহউদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মুস্তাক আহমদ, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আনোয়ারুল করীম, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা মুফতি মনসুরুল হক, মাওলানা মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন, মাওলানা জাফর আহমাদ, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, মাওলানা আব্দুল আউয়াল।

এ ছাড়া রয়েছেন মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সা’দী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা জিয়াউদ্দিন, মাওলানা আব্দুল হক, মাওলানা ইউনুস, মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা আব্দুল হালিম, মাওলানা আনাস, মাওলানা হেলাল উদ্দিন, মাওলানা শওকত হোসাইন সরকার, মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ আল ফরিদী ও মাওলানা ইসমাইল নূরপুরী।