img

বাবা-মাকে শাস্তি দিতে শিশুদের আটক করছে মিয়ানমারের জান্তাবাহিনী

প্রকাশিত :  ০৮:১৮, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাবা-মাকে শাস্তি দিতে শিশুদের আটক করছে মিয়ানমারের জান্তাবাহিনী

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বিরোধীদের দমনে ব্যাপক মাত্রায় গ্রেপ্তার ও হত্যা চালাচ্ছে । জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসার সাড়ে তিন বছরে ৫ হাজারের বেশি বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে জান্তাবাহিনী। 

গেল এক বছরে ৫০ শতাংশ বেড়েছে নিহতের সংখ্যা।  নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে মারা যাচ্ছে শিশুরাও। বিভিন্ন শহরে গ্রেফতার করে চলছে সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক নিয়োগ।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চির সরকারকে হটিয়ে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এর প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হলে সহিংসভাবে তা দমনে নামে সেনাবাহিনী।  

সাড়ে তিন বছরে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ সশস্ত্র বিদ্রোহে রূপ নেয়, লড়াই চলছে একাধিক ফ্রন্টে।  বিভিন্ন অঞ্চলে এখন পতনের মুখে জান্তা সরকার। এ অবস্থায় বিরোধীদের দমনে গ্রেপ্তার ও হত্যার ব্যাপকতা আরও বাড়িয়েছে তারা। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের প্রতিবেদনে উঠে আসে তার চিত্র। 

এতে বলা হয়, ২০২১ থেকে ২০২৩ এর মার্চ পর্যন্ত ২৫ মাসে সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে ২ হাজার ৯৩৬ জন। আর এপ্রিল ২০২৩ থেকে এ বছরের জুন পর্যন্ত ১৪ মাসে মারা গেছেন ২ হাজার ৪১৪ জন। এক বছরে ৫০ শতাংশ বেড়েছে নিহতের সংখ্যা। 

প্রতিবেদনে উঠে আসে, নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে হতাহতের তথ্য। এ পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার সাড়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, এর মধ্যে  ৮৮ শিশু ও নারী ১২৯ জন।  

সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক নিয়োগ দিতে চলছে গ্রেফতার-আটক। এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ২৭ হাজারের বেশি। এরমধ্যে রয়েছে শিশুরাও। জাতিসংঘ বলছে, বাবা-মাকে রাজনৈতিক বিরোধিতার শাস্তি দিতেই শিশুদের আটক করছে সেনাবাহিনী। 

প্রতিবেদনে বন্দিদের ওপর বর্বর নির্যাতনেরও বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।  

দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে পুরো পরিস্থিতির বর্তমান চিত্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার হাইকমিশন। 


img

অনাস্থা ভোটে ফরাসি সরকারের পতন, রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর ...

প্রকাশিত :  ০৫:৫৫, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ারের পতন হয়েছে দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাসের মধ্যে । দেশটির আইন প্রণেতাদের অনাস্থা ভোটের মুখে তাকে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হচ্ছে।

বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির আইনপ্রণেতারা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দিয়েছেন। মাত্র তিন মাস আগে তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। ১৯৬২ সালের পর থেকে প্রথমবারের মতো দেশটিতে অনাস্থা ভোটে সরকারের পতন হয়েছে।

ফ্রান্সে বাজেট পাস নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই রাজনৈতিক অচলাবস্থার তৈরি হয়েছিল। এ নিয়ে বার্নিয়ার সরকার বেশ চাপে ছিলেন। পরে এ সংকট আরও তীব্র হলে দেশটির উগ্র ডানপন্থি ও বামপন্থি বিরোধী আইনপ্রণেতারা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। প্রস্তাবটি ৩৩১ ভোটে পাস হয়।

আইনপ্রণেতাদের ভোটের পর পার্লামেন্টের স্পিকার ইয়েল বারুন পিভেট বলেন, বার্নিয়ারকে এখন প্রসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। এ সময় তিনি এ সেশনের সমাপ্তির ঘোষণা দেন।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। ১৯৫৮ সালে ফ্রান্সের পঞ্চম প্রজাতন্ত্র শুরুর পর এটি হতে যাচ্ছে দেশটির সবচেয়ে কম মেয়াদি সরকার।

ভোটের আগে বার্নিয়ার বলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের দ্বারা বাজেটের এই ঘাটতির সমস্যা সমাধান হবে না। পরবর্তী সরকারের জন্যও বিষয়টি সমস্যারই কারণ হবে।

সবশেষ ১৯৬২ সালে জর্জ পমপিডুর সরকার ফ্রান্সে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছিল। এরপর আর কোনো সরকার অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়নি। এরপর বার্নিয়ারের সরকার প্রথমবারের মতো অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছে।

এর আগে গত জুন মাসে আগাম নির্বাচন দেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। এরপর ঝুলন্ত পার্লামেন্ট ও বর্তমানের এ সংকটের সূচনা হয়। আজ দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ভাষণ দেবেন তিনি।