img

কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম

প্রকাশিত :  ০৯:১৯, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম

পেঁয়াজের রপ্তানি শুল্ক ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে অর্ধেক করেছে ভারত। দুদিন বন্ধ থাকার পর নতুন শুল্কে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এতে কমতে শুরু করেছে বাজারে পেঁয়াজের দাম।

গতকাল মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ৪টি ট্রাকের মাধ্যমে ১২৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশের মধ্য দিয়ে আমদানি শুরু হয়। 

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুরের বাহাদুরবাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। গতকালও এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ১১০ টাকা দরে। বাজারের একজন পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বলেন, আগামী কয়েক দিনে দাম আরও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

হিলি স্থল বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় চলতি মাসের ১৩ সেপ্টেম্বর পণ্যটি রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক থেকে ২০ শতাংশ এবং রপ্তানি মূল্য টন প্রতি ৫৫০ মার্কিন ডলার থেকে ১৪৫ ডলার কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু ভারতের কাস্টমস সার্ভারে সেটি সংযুক্ত না হওয়ায় পেঁয়াজ আমদানি গত দুই দিন ধরে বন্ধ ছিল। সেই জটিলতা কাটিয়ে আমদানি শুরু হয়েছে।
জানা যায়, গত বছর ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ সংকটের অজুহাতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এরপর মার্চ মাসে অনির্দিষ্টকালের জন্য দ্বিতীয় দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয়। এতে দেশে পেঁয়াজের সংকট দেখা দেওয়ায় দফায় দফায় দাম বাড়তে থাকে। এরপর প্রায় ৫ মাস পর গত ৪ মে ন্যূনতম ৫৫০ মার্কিন ডলার রপ্তানি মূল্য এবং ৪০ শতাংশ হারে শুল্ক নির্ধারণ করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, সম্প্রতি ভারত অভ্যন্তরে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্কায়ন থেকে ২০ শতাংশ এবং টন প্রতি ন্যূনতম ৫৫০ ডলারের থেকে কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করেছে। সে মোতাবেক ভারতের রপ্তানিকারকের সঙ্গে কথাও হয়েছে। কিন্তু সার্ভারে আগের ৪০ শতাংশ শুল্ক এবং ৫৫০ ডলার সংযুক্ত থাকায় আমদানি করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার বিকালে সেই জটিলতা কাটিয়ে বন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হয়েছে। নতুন নিয়ম সার্ভারে সংযুক্ত হওয়ায় টন প্রতি ১০-১৫ টাকা আমদানি খরচে কমেছে। 

অর্থনীতি এর আরও খবর

img

১২ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত :  ১৫:৪৩, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

চলতি মাসের প্রথম ১২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৯৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ১১ হাজার ৮৩৯ কোটি ২০ লাখ টাকা।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য বলছে, চলতি মাস অক্টোবরে প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি ২২ লাখ ডলার বা ৯৮৬ কোটি টাকার রেমিট্যান্স আসছে। এভাবে রেমিট্যান্স আসার ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে আড়াই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে প্রবাসী আয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে জানা গেছে, এই সময়ে রাষ্ট্র-মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটি ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে ৪ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬৯ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

এই সময়ে ১১ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স পাঠাননি প্রবাসীরা। ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাবাক। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক। আর বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

উল্লেখ্য, গত জুন মাসে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার প্রবাসী আয় আসার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় ছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় গত আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার প্রবাসী আয় দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর গত সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।


অর্থনীতি এর আরও খবর