img

হামি ইন্ডাষ্ট্রিজের এমডিসহ ৯ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের জরিমানা

প্রকাশিত :  ০৭:১৫, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হামি ইন্ডাষ্ট্রিজের এমডিসহ ৯ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের জরিমানা

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হামি ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি (পূর্বের নাম ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ) ও কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির দায়ে ৯ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ।

জরিমানার মধ্যে হামি ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার কারসাজির দায়ে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এএসএম হাসিব হাসানকে ১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯২১ তম কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভাশেষে বিএসইসির পরিচালক ও মূখপাত্র ফারহানা ফারুকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে হয়েছে, শেয়ারের লেনদের কারসাজি ও সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করার ফলে ইমাম বাটনের এমডি হাসিব হাসানকে ১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এছাড়া কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার লেনদেনে কারসাজির কারণে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করায় শাহারা জামান ও তার সহযোগী আশফাকুজ্জামানকে আড়াই লাখ (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা করে, সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেডকে ১০ (দশ) লাখ টাকা এবং এম লুৎফুল গণি টিটু ও তার সহযোগী মো. মাহমুদুল হাসান, বেঞ্জু খাদো ভেঞ্চারের স্বত্বাধিকারী খাইরুল হাসান বেঞ্জু, লুৎফুন্নাহার বেগম, আকিকুন্নাহারসহ প্রত্যেককে ১ (এক) লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

অর্থনীতি এর আরও খবর

img

১২ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত :  ১৫:৪৩, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

চলতি মাসের প্রথম ১২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৯৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ১১ হাজার ৮৩৯ কোটি ২০ লাখ টাকা।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য বলছে, চলতি মাস অক্টোবরে প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি ২২ লাখ ডলার বা ৯৮৬ কোটি টাকার রেমিট্যান্স আসছে। এভাবে রেমিট্যান্স আসার ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে আড়াই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে প্রবাসী আয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে জানা গেছে, এই সময়ে রাষ্ট্র-মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটি ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে ৪ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬৯ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

এই সময়ে ১১ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স পাঠাননি প্রবাসীরা। ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাবাক। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক। আর বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

উল্লেখ্য, গত জুন মাসে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার প্রবাসী আয় আসার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় ছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় গত আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার প্রবাসী আয় দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর গত সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।


অর্থনীতি এর আরও খবর