img

২ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক: অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশিত :  ০৭:৪৫, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৫৮, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

২ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক: অর্থ উপদেষ্টা

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

মার্টিন রাইসার বলেন, “বাংলাদেশের জন্য কিছু করার এটিই গুরুত্বপূর্ণ সময়। বিশেষ করে রিফর্ম করার জন্য দারুণ সময়। আমরা সহায়তা দিতে সক্ষম। কিন্তু কী পরিমাণ অর্থ সহায়তা করতে পারবো তা জানানোর আগে বোর্ডের অনুমোদন লাগে।”

তিনি আরও বলেন, “আগামী জুনের মধ্যে ২ বিলিয়ন ডলার কয়েক ধাপে দিতে পারি। কিছু বাজেট সাপোর্ট ও কিছু জ্বালানি খাতে সহায়তার জন্য দেওয়া হবে।”

এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, বৈঠকে বাজেট সাপোর্ট, খাদ্য নিরাপত্তা ও বন্যা পরবর্তী বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। তারা সহায়তা দেবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক ফান্ড ও কারিগরি সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছে।

এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর আর্থিক খাতের সংস্কারে ১০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তার কথা জানিয়েছিল বিশ্বব্যাংক।

অর্থনীতি এর আরও খবর

img

১২ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত :  ১৫:৪৩, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

চলতি মাসের প্রথম ১২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৯৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ১১ হাজার ৮৩৯ কোটি ২০ লাখ টাকা।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য বলছে, চলতি মাস অক্টোবরে প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি ২২ লাখ ডলার বা ৯৮৬ কোটি টাকার রেমিট্যান্স আসছে। এভাবে রেমিট্যান্স আসার ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে আড়াই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে প্রবাসী আয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে জানা গেছে, এই সময়ে রাষ্ট্র-মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটি ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে ৪ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬৯ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

এই সময়ে ১১ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স পাঠাননি প্রবাসীরা। ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাবাক। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক। আর বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

উল্লেখ্য, গত জুন মাসে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার প্রবাসী আয় আসার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় ছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় গত আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার প্রবাসী আয় দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর গত সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।


অর্থনীতি এর আরও খবর