img

চাইলেই সব পারেন শ্রাবন্তী !

প্রকাশিত :  ০৮:০৮, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চাইলেই সব পারেন শ্রাবন্তী !

টালিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, বাবা সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। দাদু স্বাধীনতা সংগ্রামী। লড়াই আর স্বাধীনতা আমার রক্তে মিশে আছে। তিনি বলেন, ‘আমি নারী, আমি চাইলেই সব পারি।’ মঙ্গলবার বিশ্বকর্মা পুজোর সন্ধ্যায় আনন্দবাজার অনলাইনে শেয়ার করে তিনি এ কথা বলেন।

সূত্র জানায়, পুজোর আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি দিন। এদিন আনন্দবাজার অনলাইনে প্রথম প্রকাশ পেল বাঘাযতীন তরুণ সংঘের ‘পুজোর মুখ’। বড় পর্দার ‘দেবী চৌধুরানী’ এ বছর পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে উদযাপনে শামিল হবে। এ বছর বাঘাযতীন তরুণ সংঘের পুজোর ৭৫ বছর। ভাবনায় নারীশক্তির উত্থান। পুজো কমিটির অন্যতম সম্পাদক ও চিত্রগ্রাহক তথাগত ঘোষ আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, শ্রাবন্তী আর নারী স্বাধীনতা সমার্থক। আজন্ম নিজের জোরে নিজেকে খ্যাতির শীর্ষে তুলে নিয়ে গেছেন তিনি। তাই তাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। একই বক্তব্য শ্রাবন্তীরও। তিনি বলেছেন, যা করেছি নিজের জোরে। এখনো লড়াই করে চলেছি। বাবা সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। দাদু স্বাধীনতা সংগ্রামী। লড়াই আর স্বাধীনতা আমার রক্তে মিশে আছে।

পুজোর উদ্যোক্তারা তাদের ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন পোস্টার প্রকাশ করেছেন আনন্দবাজার অনলাইনে। পোস্টারে নারীর চিরন্তন সাজে শ্রাবন্তী। লাল পাড় সাদা শাড়ি আর গহনায় সেজে ওঠা অভিনেত্রী খাঁচা খুলে মুক্তি দিচ্ছেন বন্দি পাখিকে। এ ভাবনাকে তথাগত এবং তার সহকর্মীরা নাম দিয়েছেন, ‘ইচ্ছে ডানা’। পোস্টারের কথা তুলতেই শ্রাবন্তী বলেন, সমাজের অদৃশ্য শৃঙ্খলে এভাবেই যুগের পর যুগ বন্দি নারী। কিন্তু আর কতদিন বন্দি থাকবে? আমার ভাবনা পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মিলে যেতেই ‘হ্যাঁ’ বলতে সময় নিইনি।

শিল্পী সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সরায় দুর্গাপ্রতিমার আদল ফুটিয়ে তুলছেন। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল সেলফ হেল্প গ্রুপ’-এর সদস্যদের নানা ধরনের হাতের কাজ মণ্ডপসজ্জায় জায়গা করে নিচ্ছে নানা শিল্পীর হাতের কাজ, যা ফুটিয়ে তুলবে, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নারীশক্তি এগিয়ে যাচ্ছে। পুজোর তত্ত্বাবধানে শাসকদলের কাউন্সিলর-সভাপতি সীমা ঘোষ, চেয়ারম্যান তন্ময় ঘোষ ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক দেবব্রত মজুমদার।

পুজোয় একটি দিন বাঘাযতীন তরুণ সংঘে কাটাবেন, জানালেন ‘পুজোর মুখ’ শ্রাবন্তী। একুশের নারীকে কী বার্তা দেবেন?

এ অভিনেত্রী বলেন, শারীরিক দিক থেকে হয়তো আমরা পুরুষের সমকক্ষ নই। কিন্তু মানসিক দিক থেকে আমরাই এগিয়ে। শ্রাবন্তী বলেন, নারী চাইলে সব পারে। মেয়ে, মা, বোন, স্ত্রী, প্রেমিকা, নানা রূপে আত্মপ্রকাশ তার। প্রকৃত অর্থেই দশভুজা। তিনি বলেন, পাশাপাশি পুরুষকেও মনে রাখতে হবে, তারা নারীর গর্ভজাত। নারী তাই সম্মাননীয়। তাকে সম্মান দেওয়া মানে প্রকৃতি ও সৃষ্টির সম্মান করা।

img

‘সিনেমা নির্মাণ একটি মহাযজ্ঞ, বললেন কুসুম সিকদার

প্রকাশিত :  ১৯:০৫, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

এবার পরিচালক পরিচয়ে আসছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী কুসুম সিকদার । ‘শরতের জবা’ শিরোনামের সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো তাকে নির্মাতা হিসেবে পাচ্ছেন দর্শক। আগামী ১১ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তি পাবে। 

লাক্সতারকা থেকে যাত্রা শুরু কুসুম সিকদারের। সিনেমায় অভিনয়ের জন্য অর্জন করেছেন খ্যাতি ও দর্শকপ্রিয়তা। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে সিনেমাটির মুক্তির ঘোষণা দেন কুসুম। 

২০২১ সালের বইমেলায়তার ‘অজাগতিক মায়া’ শিরোনামের একটি এই বের হয়। নিজের লেখা বই থেকে ‘শরতের জবা’ সিনেমাটি বড়পর্দায় তুলে এনেছেন তিনি। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও পহরডাঙ্গা পিকচার্স। একজন রহস্যময় নারীর জীবনের গল্প ‘শরতের জবা’।

অতৃপ্ত প্রেম, আঘাতের পর আঘাত, কিছু অপ্রত্যাশিত মৃত্যু জড়ানো জবার জীবন নানা সময়ে একেক প্রশ্নের জন্ম দেয়। 

জবা কিআসলেই খুনি? নাকি পরিস্থিতির শিকার? নাকি অদৃশ্য কোনো শক্তি রয়েছে তার সাথে? এমনই রোমাঞ্চকর কাহিনি নির্ভর গল্পে নির্মিত হয়েছে শরতের জবা। 

এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন-কুসুম সিকদার, জিতু আহসান, ইয়াশ রোহান, নিদ্রা দে নেহা, নরেশ ভূঁইয়া, শহিদুল আলম সাচ্চুসহ আরো অনেকে। 

১১ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির তারিখ থাকলেও খুব শিগগির সিনেমাটি আই স্ক্রিনেও মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

কুসুম শিকদার ছোটবেলা থেকে সংগীতচর্চা করতেন। তিনি নজরুল একাডেমি থেকে নজরুল সংগীত এবং ধ্রুপদী সংগীতের ওপর পড়াশোনা করেন। 

বেশ কিছু অ্যালবামের কাজ করেন। খালিদ মাহমুদ মিঠু পরিচালিত ‘গহীণে শব্দ’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে কুসুমের বড়পর্দায় আগমন ঘটে। 

এর পর থেকে বেশ কিছু সিনেমায় কাজ করেন এবং টিভি নাটকেও তিনি বেশ জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী। তবে পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি এই প্রথম। 

পরিচালনার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, অভিনয়ের কাজ অভিনয় দিয়েই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু পরিচালনার কাজ একদম প্রি-প্রোডাকশন থেকে শুরু পোষ্ট প্রোডাকশান শেষ হওয়ার পরেও কাজ শেষ হয় না। কোথায় রিলিজ দেওয়া হবে, মার্কেটিং পলেসি কী হবে।

 সিনেমা নির্মাণ একটি মহাযজ্ঞ। যাই হোক প্রথম কাজটি ভালোভাবে শেষ করতে পেরেছি। এতেই আমি খুশি। বাদবাকি দর্শকের হাতে।