img

যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বিচারককে গুলি করে হত্যা, আটক ১

প্রকাশিত :  ০৭:৪৫, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বিচারককে গুলি করে হত্যা, আটক ১

প্রকাশ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি করে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকিতে লেচার কান্ট্রি কোর্টহাউসে বিচারককে হত্যা করা হয়েছে। ওই বিচারকের নাম কেভিন মুলিনস। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর: বিবিসি

বিচারককে হত্যার ঘটনায় লেচার কান্ট্রি শেরিফ শাওন স্টিনেসকে (৪৩) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ওই বিচারকের সঙ্গে আদালতের মধ্যেই তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে তাকে গুলি করা হয়। তবে এর পেছনে কী কারণে রয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা খুঁজে পায়নি পুলিশ।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে কেন্টাকির হোয়াইটসবার্গের আদালতে ওই বিচারককে একাধিক গুলি করে হত্যা করা হয়। যেটি লেক্সিংটন থেকে ২৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল রাসেল কোলেম্যান এক্স পোস্টে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় তদন্ত করা হবে এবং সঠিক বিচার করা হবে। কেন্টাকির রাজ্য সরকার বিচারক নিহতের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া পোস্টে বলেন, ‘পৃথিবীতে এটি অধিকতর নিন্দনীয় ঘটনা। আমি প্রার্থনা করি আগামী দিনগুলো ভালো হোক।’

কেন্টাকি রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র ম্যাট গেহার্ট ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, বিচারককে গুলি করার সময় আদালতে প্রায় ৫০ জন কর্মী ছিলেন। এ ঘটনায় আর কেউ আহত হয়নি। ঘটনার পরই ওই স্থানে থাকা একটি স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়।

img

অনাস্থা ভোটে ফরাসি সরকারের পতন, রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর ...

প্রকাশিত :  ০৫:৫৫, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ারের পতন হয়েছে দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাসের মধ্যে । দেশটির আইন প্রণেতাদের অনাস্থা ভোটের মুখে তাকে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হচ্ছে।

বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির আইনপ্রণেতারা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দিয়েছেন। মাত্র তিন মাস আগে তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। ১৯৬২ সালের পর থেকে প্রথমবারের মতো দেশটিতে অনাস্থা ভোটে সরকারের পতন হয়েছে।

ফ্রান্সে বাজেট পাস নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই রাজনৈতিক অচলাবস্থার তৈরি হয়েছিল। এ নিয়ে বার্নিয়ার সরকার বেশ চাপে ছিলেন। পরে এ সংকট আরও তীব্র হলে দেশটির উগ্র ডানপন্থি ও বামপন্থি বিরোধী আইনপ্রণেতারা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। প্রস্তাবটি ৩৩১ ভোটে পাস হয়।

আইনপ্রণেতাদের ভোটের পর পার্লামেন্টের স্পিকার ইয়েল বারুন পিভেট বলেন, বার্নিয়ারকে এখন প্রসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। এ সময় তিনি এ সেশনের সমাপ্তির ঘোষণা দেন।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। ১৯৫৮ সালে ফ্রান্সের পঞ্চম প্রজাতন্ত্র শুরুর পর এটি হতে যাচ্ছে দেশটির সবচেয়ে কম মেয়াদি সরকার।

ভোটের আগে বার্নিয়ার বলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের দ্বারা বাজেটের এই ঘাটতির সমস্যা সমাধান হবে না। পরবর্তী সরকারের জন্যও বিষয়টি সমস্যারই কারণ হবে।

সবশেষ ১৯৬২ সালে জর্জ পমপিডুর সরকার ফ্রান্সে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছিল। এরপর আর কোনো সরকার অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়নি। এরপর বার্নিয়ারের সরকার প্রথমবারের মতো অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছে।

এর আগে গত জুন মাসে আগাম নির্বাচন দেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। এরপর ঝুলন্ত পার্লামেন্ট ও বর্তমানের এ সংকটের সূচনা হয়। আজ দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ভাষণ দেবেন তিনি।