img

৪৭ ‘বিধ্বংসী’ দেশের তালিকা প্রকাশ করে যা জানাল রাশিয়া

প্রকাশিত :  ০৯:৩৩, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

৪৭ ‘বিধ্বংসী’ দেশের তালিকা প্রকাশ করে যা জানাল রাশিয়া

রাশিয়া এবার বিশ্বের ৪৭টি ‘বিধ্বংসী’ দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন এই তালিকায় অনুমোদন দিয়েছেন। মূলত, যেসব দেশের সঙ্গে রুশ মূল্যবোধের সংঘাত আছে সেসব দেশকে এই তালিকায় নেওয়া হয়েছে। এই তালিকাকরণের বিষয়টি এসব দেশে ভিন্ন মতাবলম্বীদের রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের সুযোগ দেবে।

শুক্রবার রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন আনুষ্ঠানিকভাবে ৪৭টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছেন। খবর তাস নিউজের। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত আগস্টে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। যেখানে বলা হয়, যেসব বিদেশি রাশিয়ার ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং নিজ নিজ দেশের সরকারের চাপিয়ে দেওয়া নব্য উদারতাবাদের বিরোধিতা করেন তারা রাশিয়া আশ্রয়লাভের আবেদন করতে পারবেন। 

রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন সেই সব দেশের তালিকা প্রকাশ করেন যেগুলো রাশিয়ার মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক মতাদর্শ এবং ধ্বংসাত্মক নব্য উদারতাবাদী ভাবাদর্শ লালন করে। তালিকাটি রাশিয়ার সরকারের বিভিন্ন পোর্টালে প্রকাশ করা হয়েছে। 

দেশগুলো হলো—অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, আলবেনিয়া, অ্যান্ডোরা, বাহামা, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, গ্রিস, ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, স্পেন, ইতালি, কানাডা, সাইপ্রাস, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লিখটেনস্টেইন, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, মাইক্রোনেশিয়া, মোনাকো, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে ও পোল্যান্ড। 

এ ছাড়া, পর্তুগাল, দক্ষিণ কোরিয়া, রোমানিয়া, সান মারিনো, উত্তর মেসেডোনিয়া, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান, ইউক্রেন, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, ক্রোয়েশিয়া, মন্টেনেগ্রো, চেক প্রজাতন্ত্র, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, এস্তোনিয়া এবং জাপান। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটো সদস্য হওয়ার পরও স্লোভাকিয়া এবং হাঙ্গেরিকে এই তালিকায় স্থান দেওয়া হয়নি। 

এ ছাড়া, রাশিয়ার এই তালিকায় নেই ন্যাটোর আরেক সদস্য তুরস্কও।


img

অনাস্থা ভোটে ফরাসি সরকারের পতন, রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর ...

প্রকাশিত :  ০৫:৫৫, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ারের পতন হয়েছে দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাসের মধ্যে । দেশটির আইন প্রণেতাদের অনাস্থা ভোটের মুখে তাকে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হচ্ছে।

বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির আইনপ্রণেতারা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দিয়েছেন। মাত্র তিন মাস আগে তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। ১৯৬২ সালের পর থেকে প্রথমবারের মতো দেশটিতে অনাস্থা ভোটে সরকারের পতন হয়েছে।

ফ্রান্সে বাজেট পাস নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই রাজনৈতিক অচলাবস্থার তৈরি হয়েছিল। এ নিয়ে বার্নিয়ার সরকার বেশ চাপে ছিলেন। পরে এ সংকট আরও তীব্র হলে দেশটির উগ্র ডানপন্থি ও বামপন্থি বিরোধী আইনপ্রণেতারা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। প্রস্তাবটি ৩৩১ ভোটে পাস হয়।

আইনপ্রণেতাদের ভোটের পর পার্লামেন্টের স্পিকার ইয়েল বারুন পিভেট বলেন, বার্নিয়ারকে এখন প্রসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। এ সময় তিনি এ সেশনের সমাপ্তির ঘোষণা দেন।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। ১৯৫৮ সালে ফ্রান্সের পঞ্চম প্রজাতন্ত্র শুরুর পর এটি হতে যাচ্ছে দেশটির সবচেয়ে কম মেয়াদি সরকার।

ভোটের আগে বার্নিয়ার বলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের দ্বারা বাজেটের এই ঘাটতির সমস্যা সমাধান হবে না। পরবর্তী সরকারের জন্যও বিষয়টি সমস্যারই কারণ হবে।

সবশেষ ১৯৬২ সালে জর্জ পমপিডুর সরকার ফ্রান্সে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছিল। এরপর আর কোনো সরকার অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়নি। এরপর বার্নিয়ারের সরকার প্রথমবারের মতো অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছে।

এর আগে গত জুন মাসে আগাম নির্বাচন দেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। এরপর ঝুলন্ত পার্লামেন্ট ও বর্তমানের এ সংকটের সূচনা হয়। আজ দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ভাষণ দেবেন তিনি।