img

যুক্তরাষ্ট্রে চীনা গাড়ি নিষিদ্ধের প্রস্তাব

প্রকাশিত :  ০৮:২৫, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:৩৮, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে চীনা গাড়ি নিষিদ্ধের প্রস্তাব

নিরাপত্তা শঙ্কায় যানবাহনে চীনা সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ। সোমবার বাইডেন সরকারের এমন প্রস্তাবের পর যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হওয়ার পথে চীনা গাড়ি। কেননা, এটি কার্যকর হলে প্রায় সমস্ত চীনা গাড়িই নিষিদ্ধ হবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে।

এ ব্যাপারে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাইডেন প্রশাসন যানবাহনে চীনা সংস্থাগুলোর ডেটা সংগ্রহের পাশাপাশি ইন্টারনেট এবং নেভিগেশন সিস্টেমের সাথে সংযুক্ত যানবাহনের সম্ভাব্য বিদেশী ম্যানিপুলেশন সম্পর্কে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। হোয়াইট হাউস ফেব্রুয়ারিতে এ ব্যাপারে একটি সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছিল।

এখন নতুন করে গৃহীত এই প্রস্তাব পাশ হলে, আগামী বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য বৃহৎ গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি থেকে প্রধান চীনা সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার সরিয়ে নিতে বাধ্য করবে। যা যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় চীনা গাড়ি নির্মাতাদের দ্বারা স্ব-চালিত গাড়ির পরীক্ষা রোধ করবে। যা পরবর্তীতে রাশিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিপক্ষের উৎপাদিত যানবাহন সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যারের ওপরও প্রযোজ্য হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্ডো এক ব্রিফিং-এ বলেন, ‘যখন বিদেশি প্রতিপক্ষ এমন একটি গাড়ি তৈরির জন্য সফটওয়্যার তৈরি করে তার মানে এটি নজরদারির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে এবং এটি রাস্তায় আমেরিকানদের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে।’

চীনা যানবাহন, সফটওয়্যার ও যন্ত্রাংশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বিধিনিষেধ দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে পারে। কেননা, এই মাসের শুরুতে বাইডেন প্রশাসন বৈদ্যুতিক যানবাহনের উপর ১০০ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি ইভি ব্যাটারি এবং মূল খনিজগুলোর ওপর নতুন শুল্ক বৃদ্ধিসহ চীনা আমদানির ওপর চড়া শুল্ক বৃদ্ধি করেছে।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

মিয়ানমারে উলফার ঘাঁটিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ড্রোন হামলা

প্রকাশিত :  ১৪:৫৬, ১৩ জুলাই ২০২৫

মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) অন্তত চারটি ক্যাম্পে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

আজ রোববার ভোরের দিকে শতাধিক ড্রোন ব্যবহার করে ভারতের সামরিক বাহিনীর চালানো এই হামলায় উলফার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে মিয়ানমারে হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এনইর খবরে বলা হয়েছে, আসামে উলফার চারটি ক্যাম্পকে নিশানা করে ভারতীয় সেনাবাহিনী ড্রোন হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছে ভারতে নিষিদ্ধ এই সংগঠন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত উলফার একাধিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে শক্তিশালী অভিযান পরিচালনা করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। শতাধিক ড্রোন ব্যবহার করে নিষিদ্ধ ঘোষিত এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর একাধিক ঘাঁটিতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানা হয়েছে।

দেশটির একটি সূত্র বলেছে, হামলায় উলফার কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে সংগঠনটি। নিহতদের মধ্যে উলফার অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা ও সংগঠনটির সামরিক শাখার জ্যেষ্ঠ কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল নয়ন অসমও রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতের বেসরকারি সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত বিদ্রোহী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম-ইন্ডিপেনডেন্টের (উলফা-আই) মিয়ানমারে অবস্থিত পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তরে ড্রোন হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

রোববার ভোরের দিকে মিয়ানমারে গোষ্ঠীটির পূর্বাঞ্চলীয় ঘাঁটিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে উলফা-আই। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি বলেছে, ‘‘সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চালানো এই হামলায় উলফা-আইয়ের অন্তত ১৯ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ১৯ জন।’’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উলফা-আইয়ের শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার নয়ন মেধি ওই হামলায় নিহত হয়েছেন। মণিপুরের বিদ্রোহী সংগঠন পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) রাজনৈতিক শাখা রেভল্যুশনারি পিপলস ফ্রন্টের (আরপিএফ) কয়েকজন সদস্যও হতাহত হয়েছেন।

যদিও ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহেন্দ্র রাওয়াত দেশটির বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে বলেছেন, এ ধরনের কোন অভিযানের তথ্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে নেই।