img

লেবাননজুড়ে ইসরাইলি বিমান হামলা, নিহত বেড়ে ৪৯২

প্রকাশিত :  ০৯:০৪, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লেবাননজুড়ে ইসরাইলি বিমান হামলা, নিহত বেড়ে ৪৯২

ইহুদিবাদী ইসরাইল লেবাননজুড়ে নজিরবিহীন বিমান হামলা চালিয়েছে । এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯২ জনে দাঁড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা ১২শ ছাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ‘শিশু, নারী ও চিকিৎসা-সেবা কর্মী’ রয়েছেন।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে বেশ কয়েক দফায় বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী।

হামলায় বিনতে জবেইল, আইতারুন, মাজদাল সেলেম, হুলা, তোরা, কলাইলেহ, হারিস, নাবি চিত, তারায়া, শ্মেস্টার, হারবাতা, লিবায়া ও সোহমোরসহ কয়েক ডজন শহরকে টার্গেট করা হয়েছে।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরাইলি হামলায় বহু মানুষ নিহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে নারী, শিশু ও চিকিৎসক রয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দারা বলছেন, সোমবার সকাল থেকেই একের পর এক ফোন কলে তাদেরকে দ্রুত বাড়ি ছাড়তে বলা হয়।

লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিরাস আবিয়াদ বলেছেন, \"২৪ শিশু ও ৩৯ জন নারীসহ ৪৯২ জন নিহত হয়েছে।\"

ইসরাইল বলেছে, তারা লেবাননে প্রায় ৩০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর পর প্রতিবেশী দেশে এটাই ইসরাইলি বাহিনীর সবচেয়ে বড় হামলা।

ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী লেবাননের উত্তর-পূর্বের বেকা উপত্যকায় উল্লেখযোগ্য হামলার সতর্কবার্তা দিচ্ছে, যা এখন চলছে বলে জানা গেছে।

ইসরাইলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইসরাইলি বিমান বাহিনী ৩০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।

হামলায় নাবাতিয়েহ ও বেকা উপত্যকা অঞ্চলে বহু বাড়ি, গুদাম ও কারখানায় আগুন ধরে গেছে। লেবানিজ সিভিল ডিফেন্স সদস্যরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।

লেবাননের টেলিকম অপারেটর কোম্পানিগুলো বলছে, ইসরাইল থেকে ৮০ হাজার অজ্ঞাত নম্বর থেকে কল করা হয়। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

এর আগে লেবাননের মানুষের কাছে সতর্কবার্তা দেয়া হয়। এরপর রাজধানী বৈরুতের মূল সড়কগুলোতে প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়। সেখানকার মানুষ বুঝতে পারছেন না কোথায় গেলে তারা নিরাপদ থাকবেন।

এদিকে, ইসরাইলের হামলার জবাবে পাল্টা রকেট ছুড়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি, উত্তর ইসরাইলে নেতানিয়াহু বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে শতাধিক রকেট হামলার দাবি করেছে। রকেটের আঘাতে অঞ্চলটিতে ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে।

দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি আক্রমণের ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। যেকোনো সময় আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে বলে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকে। 

তবে, সংঘাত যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য চেষ্টা চালানোর কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

img

আসাদের গোপন কারাগারে বন্দি হাজার হাজার হামাস সদস্যরা

প্রকাশিত :  ০৬:৩১, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪

পলায়নকারী আসাদ সরকারের সেদনায়া কারাগারে প্রবেশকারী বিপ্লবীরা হাজার হাজার মানুষকে মুক্তি দিয়েছে। এ সময় আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে সাহায্যের জন্য চিৎকার শোনা যাচ্ছিল। ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ করার পরে, সেলারের দিকে যাওয়ার পথগুলির মধ্যে একটি পাওয়া যায়। মাটির নিচে গোপন নির্যাতন কেন্দ্রের চারটি তলা ছিল।

সংলগ্ন সারি সারি ওয়ার্ডে হাজার হাজার মানুষকে উদ্ধারের অপেক্ষায় দেখা যায়। এমন এক পরিবেশে যেখানে ভিতরে আলো নেই, লোহার দরজার ছাদের রেলিং-এ উঠে আসা বন্দীরা সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিল।

গাজার কাসাম ব্রিগেডের অনেক সৈন্য, যাদেরকে নিখোঁজ ও মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল, তারাও সেদনায়া কারাগারের নির্যাতন কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এসেছে।

বাশার আসাদ আসলে কার জন্য কাজ করেছিল? কেন বার বার পতনের কাছে পৌছানোর পরও আসাদকে টেকানোর জন্য জায়নবাদ কাজ করেছে। এখন অনেক রহস্য উন্মোচিত হচ্ছে।