img

ইরাক থেকে ইসরায়েলে ড্রোন হামলা

প্রকাশিত :  ০৭:১৩, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইরাক থেকে ইসরায়েলে ড্রোন হামলা

দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলে ইরাক থেকে ড্রোন হামলা হয়েছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরাকি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমিতে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি এ দাবি করেছে। তারা বলেছে, উত্তর ইসরায়েলের একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন হামলা করা হয়েছে। তাদের হামলা সফল হয়েছে।

তবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এ ব্যাপারে কোনো বিবৃতি দেয়নি। দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, অঞ্চলটিতে সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে। বাইরের কোনো আক্রমণ হলে এমনটি করা হয়। সে সঙ্গে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও সক্রিয় করা হয়। কিন্তু সংবাদমাধ্যমটি কোনো হতাহতের খবর জানাতে পারেনি।

ইরাকে ঘাঁটি গাড়া ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের সমন্বয়ে গঠিত সশস্ত্র গোষ্ঠী। গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে কয়েক ডজন রকেট এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে তারা। সে সঙ্গে ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্য করেও মাঝে মধ্যে হামলার খবর আসে।

প্রসঙ্গত, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের সর্বত্র অবিরাম বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। পরিস্থিতি এতই ভয়াবহ যে, সেখানকার বাসিন্দারা পালানোর সুযোগও পাচ্ছে না। ইসরায়েলি জঙ্গি বিমানের গোলা যেন তাদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। বেসামরিক নাগরিক তাদের লক্ষ্যবস্তু নয়। যুদ্ধক্ষেত্রে সহিংসতার সম্মুখীন হওয়া এড়াতে হিজবুল্লাহ সক্রিয় রয়েছে, এমন এলাকা থেকে লেবাননের বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। অব্যাহত হামলার মুখে দক্ষিণ লেবানন থেকে লোকজনকে সরে যেতে দেখা গেছে।

এই নির্দেশের পর দশ হাজারের বেশি মানুষ সীমান্তবর্তী এলাকা ছেড়েছেন। নিজেদের বাড়ি ছাড়ার আগে তারা কেবল কয়েক মুহূর্ত সময় পেয়েছেন। আলজাজিরার প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক জানান, আমরা দক্ষিণ লেবাননে ছিলাম। আমরা দেখেছি, বাসিন্দারা হাতের কাছে যা পেয়েছেন তা নিয়েই রওনা দিয়েছেন। কেউ কেউ দক্ষিণের শহর সিডনে চলে গেছেন। যা বৈরুত থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে। অন্যরা বৈরুতে গেছেন। কেউ আরও উত্তরে পালানোর চেষ্টা করছেন।


img

আসাদের গোপন কারাগারে বন্দি হাজার হাজার হামাস সদস্যরা

প্রকাশিত :  ০৬:৩১, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪

পলায়নকারী আসাদ সরকারের সেদনায়া কারাগারে প্রবেশকারী বিপ্লবীরা হাজার হাজার মানুষকে মুক্তি দিয়েছে। এ সময় আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে সাহায্যের জন্য চিৎকার শোনা যাচ্ছিল। ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ করার পরে, সেলারের দিকে যাওয়ার পথগুলির মধ্যে একটি পাওয়া যায়। মাটির নিচে গোপন নির্যাতন কেন্দ্রের চারটি তলা ছিল।

সংলগ্ন সারি সারি ওয়ার্ডে হাজার হাজার মানুষকে উদ্ধারের অপেক্ষায় দেখা যায়। এমন এক পরিবেশে যেখানে ভিতরে আলো নেই, লোহার দরজার ছাদের রেলিং-এ উঠে আসা বন্দীরা সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিল।

গাজার কাসাম ব্রিগেডের অনেক সৈন্য, যাদেরকে নিখোঁজ ও মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল, তারাও সেদনায়া কারাগারের নির্যাতন কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এসেছে।

বাশার আসাদ আসলে কার জন্য কাজ করেছিল? কেন বার বার পতনের কাছে পৌছানোর পরও আসাদকে টেকানোর জন্য জায়নবাদ কাজ করেছে। এখন অনেক রহস্য উন্মোচিত হচ্ছে।