img

সাকিবের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে না বিসিবি

প্রকাশিত :  ১৬:৩৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৮:৪৮, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাকিবের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে না বিসিবি

টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। সম্ভব হলে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খেলতে চান তিনি। আগামী মাসেই দক্ষিণ আফ্রিকা আসছে বাংলাদেশ সফরে। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কানপুরে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর ঘোষণা করে বলেছেন, যদি তাকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়, তিনি শেষ টেস্টটা দেশের মাটিতে খেলতে চান।

তবে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বৃহস্পতিবার বোর্ড সভা শেষে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। তাকেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বোর্ড থেকে এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। নির্দিষ্ট একজনকে ব্যক্তিগতভাবে নিরাপত্তা দেওয়ার সামর্থ্য নেই বিসিবির।

সাকিবের নিরাপত্তার ব্যাপারটি সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আসতে হবে বলেই মনে করেন ফারুক, নিরাপত্তার বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আসতে হবে। বিসিবি কোনো এজেন্সি না, পুলিশ না, র‍্যাব না। সরকারের তরফ থেকে নিরাপত্তার ব্যাপারটি আসতে হবে।

বিসিবি সভাপতি অবশ্য খুব করেই চান সাকিব তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটি দেশের মাটিতে খেলুন, সাকিব যদি এখান থেকে শেষ টেস্ট খেলতে পারে, ওর মতো আমিও বিশ্বাস করি এর থেকে ভালো কিছু হতে পারে না।

সাকিবের অবসর ঘোষণা তার নিজের সিদ্ধান্ত বলেই মনে করেন বিসিবি সভাপতি, সাকিব এ মুহূর্তে তার জীবনের খুব বাজে সময় পার করছে। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করিনি। সে মনে করেছে অবসর নেওয়ার এটাই সঠিক সময়। আমি তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। আমার দিক থেকে ওর জন্য খুব বেশি কিছু বলার নেই।

গত জানুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া সাকিব গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশেই ফিরতে পারেননি। এর মধ্যেই তিনি পাকিস্তানে দেশের হয়ে টেস্ট খেলেছেন, এখন ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দলের সঙ্গে আছেন। পাকিস্তানে খেলে ইংল্যান্ডে গিয়ে সারের হয়ে খেলেছেন কাউন্টি ক্রিকেটও। সরকার পতনের পর সাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দেশে ফিরলে তাকে গ্রেফতার করা হবে কি না, সে নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উৎকণ্ঠিত সাকিব। গ্রেফতার করা না হলেও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও আসতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে তার পরিবার বাস করে। সব দিক দিয়েই নিশ্চয়তা চান সাকিব। নিরাপত্তার পাশাপাশি বাংলাদেশে গেলে পরিবারের কাছে ফেরার নিশ্চয়তা। সেটি সরকার বা বিসিবির উচ্চপর্যায় থেকে নিশ্চিত হোক, এটাই চাওয়া সাকিবের।


img

ইংলিশদের হারাতে চায় টাইগ্রেসরা

প্রকাশিত :  ১৭:০৫, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

 বাংলাদেশ দল এক দশক বা ১০ বছর পর নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেয়েছে। যদিও নারী বিশ্বকাপের প্রথমবারের মতো খেলতে আসা স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়টা ছিল অনুমেয়।

তবে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের ‘আসল’ লড়াই শুরু হবে শনিবার (৫ অক্টোবর) থেকে। এ দিন শক্তিশালী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটিশদের বিপক্ষে পাওয়া জয়টি এ ম্যাচে বাড়তি আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বলে বিশ্বাস দলের সিনিয়র ক্রিকেটার জাহানারা আলমের।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ডানহাতি এ পেসার। জাহানারা বলেন, ‘এটা (জয়) আমাদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে। এভাবে শুরু করাটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা এখন দ্বিতীয় ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি।’

টিম কম্বিনেশনের কারণে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা হয়নি জাহানারার। তবে দলের সবাই ইংল্যান্ডকে হারাতে প্রস্তুত বলে জানান তিনি, ‘সবাই ভাবছে ইংল্যান্ড বিশেষ কিছু করবে। কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে, নির্দিষ্ট একটা দিন আপনারও দিন। আপনি যদি সে ম্যাচে ভালো করতে পারেন তাহলে কেউ জানে না কী ধরনের ফলাফল হতে পারে। আমাদের শুরুটা ভালো হয়েছে এবং আমরা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো করতে প্রত্যয়ী। এবারের বিশ্বকাপে আমাদের দ্বিতীয় জয়ের জন্য মুখিয়ে আছি।’

নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারলে, ইংলিশদের হারানোর মতো বড় অর্জন সম্ভব বলে জানান জাহানারা, ‘এটা আমাদের জন্য বড় একটা অর্জনও হবে। অবশ্যই, আমরা জয়ের জন্যই খেলব। অবশ্যই, ইংল্যান্ড খুবই কঠিন প্রতিপক্ষ। আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করব। তাদের জন্য আমাদের বিশেষ কোনো পরিকল্পনা আছে ব্যাপারটা এমন নয়। হ্যাঁ, আমাদের একটা পরিকল্পনা আছে এবং আমরা সেটা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।’

শারজার গরম থেকে বাংলাদেশ বাড়তি সুবিধা পাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শুধু আবহাওয়া দিয়ে ইংল্যান্ডকে বিবেচনা করাটা উপযুক্ত হবে না। এখানে সবাই পেশাদার। আমরা একটি প্রপার গেমের দিকে তাকিয়ে আছি। আপনি যদি ইংল্যান্ডকে হারাতে চান তাহলে কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড়কে নিয়ে পরিকল্পনা করলে হবে না, সবাইকে নিয়েই ভাবতে হবে।’

দলের বর্তমান অবস্থার ব্যাপারে জাহানারা বলেছেন, ‘আমাদেরও প্রত্যেকের এক হয়ে নিজের জায়গা থেকে সেরাটা দিতে হবে। আর আমাদের একটা গুড মোমেন্টাম আছে। আমরা চেষ্টা করব সে মোমেন্টাম নিয়েই সামনের দিকে এগোতে এবং এ ম্যাচটা জিততে। টি-টোয়েন্টি সংস্করণের মজাটাই এখানে যে, ছোট ছোট মুহূর্তের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। বিশ্বমঞ্চে এই ম্যাচটি তাই বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের বড় একটি সুযোগ।

পরিসংখ্যানে এককভাবে ফেভারিট ইংল্যান্ড। এর আগে ২০১৪, ২০১৬ ও ২০১৮ সালের তিন বিশ্ব আসরে ইংলিশদের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ।