সাকিবের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে না বিসিবি
টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। সম্ভব হলে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খেলতে চান তিনি। আগামী মাসেই দক্ষিণ আফ্রিকা আসছে বাংলাদেশ সফরে। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কানপুরে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর ঘোষণা করে বলেছেন, যদি তাকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়, তিনি শেষ টেস্টটা দেশের মাটিতে খেলতে চান।
তবে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বৃহস্পতিবার বোর্ড সভা শেষে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। তাকেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বোর্ড থেকে এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। নির্দিষ্ট একজনকে ব্যক্তিগতভাবে নিরাপত্তা দেওয়ার সামর্থ্য নেই বিসিবির।
সাকিবের নিরাপত্তার ব্যাপারটি সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আসতে হবে বলেই মনে করেন ফারুক, নিরাপত্তার বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আসতে হবে। বিসিবি কোনো এজেন্সি না, পুলিশ না, র্যাব না। সরকারের তরফ থেকে নিরাপত্তার ব্যাপারটি আসতে হবে।
বিসিবি সভাপতি অবশ্য খুব করেই চান সাকিব তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটি দেশের মাটিতে খেলুন, সাকিব যদি এখান থেকে শেষ টেস্ট খেলতে পারে, ওর মতো আমিও বিশ্বাস করি এর থেকে ভালো কিছু হতে পারে না।
সাকিবের অবসর ঘোষণা তার নিজের সিদ্ধান্ত বলেই মনে করেন বিসিবি সভাপতি, সাকিব এ মুহূর্তে তার জীবনের খুব বাজে সময় পার করছে। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করিনি। সে মনে করেছে অবসর নেওয়ার এটাই সঠিক সময়। আমি তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। আমার দিক থেকে ওর জন্য খুব বেশি কিছু বলার নেই।
গত জানুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া সাকিব গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশেই ফিরতে পারেননি। এর মধ্যেই তিনি পাকিস্তানে দেশের হয়ে টেস্ট খেলেছেন, এখন ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দলের সঙ্গে আছেন। পাকিস্তানে খেলে ইংল্যান্ডে গিয়ে সারের হয়ে খেলেছেন কাউন্টি ক্রিকেটও। সরকার পতনের পর সাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দেশে ফিরলে তাকে গ্রেফতার করা হবে কি না, সে নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উৎকণ্ঠিত সাকিব। গ্রেফতার করা না হলেও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও আসতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে তার পরিবার বাস করে। সব দিক দিয়েই নিশ্চয়তা চান সাকিব। নিরাপত্তার পাশাপাশি বাংলাদেশে গেলে পরিবারের কাছে ফেরার নিশ্চয়তা। সেটি সরকার বা বিসিবির উচ্চপর্যায় থেকে নিশ্চিত হোক, এটাই চাওয়া সাকিবের।