img

যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে পাকিস্তানি টিকটকার

প্রকাশিত :  ০৭:৫৫, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:৩০, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে পাকিস্তানি টিকটকার

একের পর এক নগ্ন ও অশালীন ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় পাকিস্তানি টিকটক তারকা হারিম শাহ গত বছর আলোচনায় আসেন।  হারিমের আসল নাম নাকি ফিজা হুসেন। তবে ইনস্টাগ্রামে নিজের হারিম বিলাল শাহ লিখেছেন তিনি। 

ইনস্টাগ্রামে ৪ লাখ এবং টিকটকে ৬৩ লাখের বেশি ফলোয়ার রয়েছে তার।

পাকিস্তানে অবশ্য থাকেন না হারিম। আর বর্তমান ঠিকানা মরক্কো বলেই জানা গিয়েছে।  এখন শোনা যাচ্ছে তিনি যুক্তরাজ্যের লিবারেল ডেমোক্রাটদের পক্ষে প্রচারণা শুরু করে দেশটির রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলার সময় এমনটা জানিয়েছেন তিনি। খবর দ্য ডেইলি পাকিস্তানের। 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, হারিম শাহ আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। এমনকি সম্প্রতি নির্বাচনে লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে প্রচারণাও চালিয়েছেন।

হারিম শাহ বলেন, আমি যুক্তরাজ্যে লিবারেল ডেমোক্র্যাট রাজনৈতিক দলের জন্য কাজ শুরু করেছি। তারা আমাকে যোগ্য বিবেচনা করে তাদের দলের একটি অংশ করে নিয়েছে এবং এ জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি সবসময় দলটির প্রত্যাশ্যা পূরণের চেষ্টা করব এবং এ দেশে বসবাস করে ইতিবাচক ভূমিকা পালনের চেষ্টা করব।

এছাড়া এ টিকটক তারকার কিছু বন্ধুও ব্রিটেনে দলটির জন্য কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।  হারিম শাহ বলেন, যুক্তরাজ্যে আমি মেধার ভিত্তিতে এলএলবিতে ভর্তি হয়েছি। আমি পাকিস্তানে স্নাতক শেষ করেছি এবং কুরআনে হাফেজ।

এ ইনফ্লুয়েন্সার দাবি করেছেন―যুক্তরাজ্য সরকার তার এলএলবি পড়ার জন্য সব ফি, আবাসন, জিম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত খরচ বহন করেছে।


যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

মৃত্যুর ১০ বছর পর হ্যারডসের প্রাক্তন মালিক ফায়েদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশিত :  ২১:৫৬, ০১ অক্টোবর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ২২:১৫, ০১ অক্টোবর ২০২৪

মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, লন্ডন: বিশ্ববিখ্যাত কোম্পানি হ্যারডস এর সাবেক মালিক মৃত মোহাম্মদ আল ফায়েদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন কোম্পানিতে কাজ করা বিশ জনের বেশি সাবেক নারী কর্মী। যৌন নির্যাতনের শিকার বিশ জন নারীর মধ্য থেকে পাঁচ জন নারী গত ২৮ সেপ্টেম্বর সোমবার বিবিসি ব্রেকফাস্ট অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এই অভিযোগ তুলে সে সময়কার নির্যাতনের গল্প করেন। বাকিরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসিকে হ্যারডসে কর্মরত থাকাকালীন অবস্থায় কি ভাবে ফায়েদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তার বিবরণ দেন। তাঁদের মধ্যে নির্যাতনের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া লিন্ডসে নামক একজন নারী বলেন, কাজের কথা বলে তাঁকে প্যারিসের হ্যারডসে পাঠানো হয়। সেখানে ফায়েদ তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

বিবিসির গল্পে একজন নারী অভিযোগ করেন, ফায়েদ প্যারিসের হ্যারডসে তাঁর কামড়ায় তাঁকে ডেকে নিয়ে তাঁর পরিধেয় কাপড়ের বিষয়ে দৃষ্টিপাত করেন। ফায়েদ তাঁকে ভাল ও দামি পোষাক কেনার কথা বলে তাঁর সাথে যৌন নির্যাতনমূলক আচরণ করেন এবং এক পর্যায়ে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। বিবিসি প্রাথমিক তদন্তে বিশজনেরও বেশি নারীর সাথে কথা বলে তাঁদের বক্তব্য গ্রহণের কথা জানায়। এই বিশজনের মধ্যে অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, ফায়েদ তাঁদেরকে বিভিন্ন অজুহাতে যৌন হয়রানী এবং ধর্ষণ করেছেন। প্রসঙ্গত, মোহাম্মদ আল ফায়েদ ১৯৮৫ সাল থেরেক ২০১০ সালে তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হ্যারডসের মালিক ছিলেন।

নারীদের এসব অভিযোগের ব্যাপারে হ্যারডসের বর্তমান মালিকদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা জানান, আল ফায়েদের মালিকাধীন হ্যারডস আর বর্তমান মালিকদের নিয়ন্ত্রণে থাকা হ্যারডস এক নয়। বর্তমানের সাথে তুলনা করতে গেলে আগের সংস্থাটির চেয়ে বর্তমান সংস্থাটি সম্পূর্ণ আলাদা। তাঁরা জানান, হ্যারডসে কর্মরত সকল স্তরের কর্মীদের কল্যাণে তাঁরা সব কিছুই করে থাকেন। তবে, তারা এটাও বলেন, নির্যাতিত নারীদের জন্য দীর্ঘ আইনি লড়াই এড়িয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্যাতনের দাবিটি নিষ্পত্তি করতে চান তাঁরা।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর