
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের ভাবনায় দেশের উন্নয়নের নতুন দিগন্ত: ব্যবসায়ীদের হাত ধরে সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ!

রেজুয়ান আহম্মেদ
বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে নানা সময়ে নানা মতামত উঠে এসেছে, কিন্তু সাম্প্রতিককালে একটাই নাম ভেসে উঠছে সকলের মুখে—ড. মুহাম্মদ ইউনুস। নোবেলজয়ী এই মহামানবের নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সামাজিক সমতা প্রতিষ্ঠায় যে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, তা নিয়ে আজ সারা দেশে আলোচনা তুঙ্গে। তাঁর অনন্য চিন্তাধারা, বিশেষ করে দেশের ব্যবসায়ীদের উপর ভরসা রেখে উন্নয়নকেন্দ্রিক পরিকল্পনা, যেন এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।
ড. ইউনুসের মতে, দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব তখনই যখন ব্যবসায়ীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। তিনি বিশ্বাস করেন, অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হলো উদ্যোক্তা ও করদাতা শ্রেণি। দেশের সমৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন যথাযথ শিল্পায়ন, ব্যবসা বৃদ্ধি এবং নতুন নতুন বিনিয়োগ সুযোগ তৈরি করা। তাঁর কথা, \"একটি দেশ তখনই প্রকৃত উন্নত হয় যখন তার ব্যবসায়ীরা শক্তিশালী হয় এবং রাষ্ট্রের উন্নয়ন কার্যক্রমে অবদান রাখে।\"
সম্প্রতি তাঁর নেতৃত্বে ঘোষিত পরিকল্পনায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে দেশের ছোট ও মাঝারি ব্যবসার প্রসারকে। তাঁর মতে, “দেশের উন্নয়ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হাতে নয়, বরং যেসব মানুষ সরাসরি দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে, তাঁদের কাঁধে তুলে দেওয়া উচিত।” দেশের মানুষকে এই নতুন ভাবনার সঙ্গে একাত্ম করে তুলতে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন বৃহৎ কর্পোরেট সংস্থাগুলির পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরও।
দেশের প্রতিটি অঞ্চলে উন্নয়ন ছড়িয়ে দিতে তিনি চাইছেন সমতাভিত্তিক পরিকল্পনা। তাঁর উদ্ভাবনী চিন্তা অনুসারে, শুধু রাজধানীকেন্দ্রিক উন্নয়ন নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিল্প স্থাপন এবং বিনিয়োগ বাড়িয়ে আঞ্চলিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা উচিত। এই লক্ষ্যেই তিনি একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের পরিকল্পনা করেছেন, যেখানে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সক্রিয় অংশগ্রহণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
ড. ইউনুসের চিন্তাধারায় শুধু অর্থনৈতিক নয়, সামাজিক উন্নয়নের দিকটিও গুরুত্ব পেয়েছে। ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থার সাফল্যের পর তিনি চাইছেন দেশের প্রতিটি পরিবারে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে। সামাজিক বৈষম্য কমিয়ে এনে দেশকে একতাবদ্ধ করাই তাঁর লক্ষ্য। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি এমন, যেখানে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সাথে সাথে সমাজের প্রতিটি স্তরেই উন্নয়ন ছড়িয়ে পড়বে।
এই উন্নয়নকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা নিয়ে সারাদেশে এখন আলোচনা তুঙ্গে। ড. ইউনুসের ভাবনায় গড়ে উঠতে যাচ্ছে এমন এক বাংলাদেশ, যেখানে উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি হবে ব্যবসায়ীরা, আর তাঁদের অবদানে দেশ পাবে এক নতুন পরিচয়—একটি সমৃদ্ধ, শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল বাংলাদেশ।
ড. ইউনুসের প্রতি দেশবাসীর অগাধ আস্থা এবং তাঁর চিন্তাধারার প্রতি সমর্থন যেন আগামী দিনের উন্নয়নের পথে আলোকবর্তিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমাজের সকল স্তরে এই ভাইরাল ভাবনা ছড়িয়ে পড়েছে এবং দেশবাসী আজ প্রত্যাশা করছে এক নতুন দিনের, যেখানে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।