img

যুক্তরাষ্ট্রে ঘূর্ণিঝড় হেলেনের আঘাতে নিহত ৪৬

প্রকাশিত :  ০৫:৫৭, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৪৪, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে ঘূর্ণিঝড় হেলেনের আঘাতে নিহত ৪৬

ঘূর্ণিঝড় হেলেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে তীব্র আঘাত হেনেছে । এতে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। এছাড়া ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। খবর বিবিসির।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ফ্লোরিডার বিগ বেন্ড শহরের উপকূলে আছড়ে পড়ে হেলেন। এ সময় ওই এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ মাইল।

খবরে বলা হয়, বিধ্বংসী গতির এ ঝড়ের কারণে বিগ বেন্ড ও আশপাশের এলাকার অজস্র গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি। পানিতে ডুবে গেছে রাস্তা-ঘাট। আটলান্টিক মহাসাগরে উদ্ভূত ঘূর্ণিঝড় হেলেনকে ‘ক্যাটাগরি ৪’ ঘূর্ণিঝড়ের তকমা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তর।

বিগ বেন্ডে আছড়ে পড়ার পর জর্জিয়া, টেনেসি, উত্তর ক্যারোলাইনা ও দক্ষিণ ক্যারোলাইনার দিকে এগোতে হতে থাকে হেলেন। এ সময় কমতে থাকে ঝড়ের গতিবেগও। শুক্রবার বিকেলের দিকে সাধারণ মৌসুমি ঝড়ে পরিণত হয় হেলেন।

হেলেনের প্রভাবে ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, টেনেসি, উত্তর ক্যারোলাইনা এবং দক্ষিণ ক্যারোলাইনার অধিকাংশ এলাকায় প্রবল বর্ষণ, ঝড়ো হাওয়া এবং আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে।

ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস জানিয়েছেন, হেলেন আঘাতে তার অঙ্গরাজ্যে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। জর্জিয়ার গভর্নর ব্রায়ান ক্যাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, তার অঙ্গরাজ্যে নিহত হয়েছেন ১৫ জন। নিহতদের মধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের একজন উদ্ধারকর্মীও রয়েছেন।

সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ক্যারোলাইনায়। হেলেনের আঘাতে রাজ্যজুড়ে ১৭ জন নিহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রতিবেশী অঙ্গরাজ্য উত্তর ক্যারোলাইনায় নিহত হয়েছেন আরও ২ জন।

বন্যা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে জর্জিয়ার ১৫০টিরও বেশি সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। পানিবন্দি অবস্থায় বিভিন্ন শহরের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনগুলোতে আটকা পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে মার্কিন সেনাবাহিনীর ন্যাশনাল গার্ড শাখার ১ হাজার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রায়ান কেম্প।

 


img

কখন জানা যাবে মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল

প্রকাশিত :  ০৫:৩৭, ০৫ নভেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৪২, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ভোটগ্রহণ। ইতোমধ্যে আগাম ভোট দিয়েছেন সাত কোটি ৭০ লাখের বেশি ভোটার। মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ হলেও ফলাফল কবে জানা যাবে, তা নিয়ে কৌতুহল রয়েছে অনেকের মাঝে।

মার্কিন ফেডারেল নির্বাচন ঐতিহ্যগতভাবে নভেম্বরের প্রথম মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়। ১৯ শতকের গোড়ার দিকে এ তারিখ নির্ধারিত হয়। মূলত, রাজ্যগুলোতে বিভিন্ন দিনে নির্বাচন হতো। কিন্তু ১৮৪৫ সালে দেশব্যাপী একই দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি আইন পাস করা হয়।

এ তারিখটি নভেম্বরের গোড়ার দিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল কারণ এটি সেই সময়ে প্রধানত কৃষি সমাজের জন্য উপযোগী ছিল—ফসল কাটার পরেও ভ্রমণ-উপযোগী আবহাওয়ার কারণে।

বিভিন্ন রাজ্যে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে সকাল ৯টার মধ্যে ভোটদান শুরু হবে। বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুযায়ী এটি হবে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। বেশিরভাগ ভোট কেন্দ্রগুলো রাজ্য ও কাউন্টির ওপর নির্ভর করে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হবে এবং শেষ ভোট বুধবার দিবাগত রাত ১টায় শেষ হবে৷

সাধারণ নিয়ম হলো, যতো পশ্চিমে যাওয়া হবে সময় অঞ্চলের পার্থক্যের কারণে দেরিতে ভোট বন্ধ হবে। সময়ের ব্যবধানের কারণে এমনও হতে দেখা যায়, পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যে ভোট গণনা শুরু হয়ে গেলেও আলাস্কা ও হাওয়াইয়ের মতো অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা তখনও ভোট দিচ্ছেন

ভোট শেষ হওয়ার পরে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে গণনা শুরু হবে। নির্বাচনের সম্ভাব্য বিজয়ী কে, তা জানতে হয়তো কয়েকদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে। 

২০১৬ সালে অবশ্য ভোটের পরদিন সকালেই ট্রাম্পকে বিজয়ী হিসেবে স্বীকার করে নেন হিলারি ক্লিনটন। কিন্তু অনেক সময় ফলাফল জানতে কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হয়। যেমন, ২০২০ সালে ৩ নভেম্বর ভোটগ্রহণের চার দিন পরে জো বাইডেনকে বিজয়ী বলা সম্ভব হয়।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল নির্ধারণী সাত রাজ্য-অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, উত্তর ক্যারোলিনা, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিনের ফলাফলের জন্য পরদিন সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ভোট গণনায় অতিরিক্ত সময়ের দরকার হয়েছিল ওই সময়। এছাড়া ডাকযোগে দেওয়া ভোট গণনা করার জন্য নির্বাচনের ফল জানতে আরও তিন দিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল।

সাম্প্রতিক নির্বাচনে ভোটারদের অপেক্ষা অনেক কম হয়েছে। ২০১৬ সালে যখন ট্রাম্প জয়ী হন, নির্বাচনের পরদিন পূর্বাঞ্চলীয় মান সময় তিনটার কিছুক্ষণ আগে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

২০১২ সালে যখন বারাক ওবামা দ্বিতীয় মেয়াদে জয়লাভ করেন, তখন ভোটের দিনই মধ্যরাতের আগে তার বিজয় অনুমান করা হয়েছিল।

তবে জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং আল গোরের মধ্যে ২০০০ সালের নির্বাচন একটি উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম ছিল। সে বছর ৭ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট ফ্লোরিডা  রাজ্যের ভোট পুনঃগণনা প্রক্রিয়া শেষ করার পক্ষে ভোাশ দেয়। নির্বাচনে বুশকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।