হিজবুল্লাহর ভাষ্য

img

সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ সুস্থ ও নিরাপদে আছেন

প্রকাশিত :  ১০:৪১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:২৮, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ সুস্থ ও নিরাপদে আছেন

ইহুদিবাদী গণমাধ্যমগুলো লেবাননের রাজধানী বৈরুতে শুক্রবারের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করার যে দাবি করেছিল তা নাকচ করে দিয়েছে হিজবুল্লাহ।

সংগঠনটির নিরাপত্তা সূত্রগুলো প্রেস টিভিকে জানিয়েছে, সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছেন এবং বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলীতে সর্বসাম্প্রতিক ইসরাইলি বিমান হামলায় তার কোনো ক্ষতি হয়নি।

ইহুদিবাদী গণমাধ্যমগুলো শুক্রবার রাতে দাবি করে, দক্ষিণ বৈরুতের দাহিয়ে এলাকায় যে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে তার প্রধান লক্ষ্য ছিলেন হিজবুল্লাহ প্রধান সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ।

এদিকে, হিজবুল্লাহর নির্বাহী পরিষদের প্রধান সাইয়্যেদ হাশেম সাফিউদ্দিনও নিরাপদে রয়েছেন বলে ইরানের তাসনিম বার্তা সংস্থা জানিয়েছে। এটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, দখলদার সেনাদের সর্বশেষ সন্ত্রাসী হামলায় কোনো হিজবুল্লাহ কমান্ডার শহীদ হননি।

শুক্রবার বিকেলে ইসরাইলি হামলায় বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলীর অন্তত ছয়টি ভবন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়। ইসরাইলি সামরিক রেডিও জানিয়েছে, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে এসব হামলা চালানো হয় এবং এতে পাঁচ হাজার পাউন্ডের বাঙ্কার-বাস্টার বোমা ব্যবহার করা হয়।

ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, বৈরুতে সর্বশেষ পাশবিকতা চালানোর আগে মার্কিন সরকারকে অবহিত করেছে তেল আবিব। লেবাননের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি ইসরাইলিদের দৌরাত্ম ও জাতিগত শুদ্ধি অভিযান বন্ধ করতে বাধ্য করার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

গাজার প্রধানমন্ত্রী নিহত, দাবি ইসরায়েলের

প্রকাশিত :  ১৩:৩৭, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামাস সরকারের প্রধানমন্ত্রী রাউহি মুশতাহাকে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এক এক্স-বার্তায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এ দাবি করেছে। এ ছাড়া দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটেরও একই দাবি।

দ্য টাইমস অব ইসরায়েল ও রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলের দাবির বরাতে বলা হয়, তিন মাস আগে গাজা উপত্যকায় রাউহি মুশতাহার অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী ও হামাসের উচ্চ পদস্থ দুই কর্মকর্তা নিহত হন। তারা হলেন- হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সামেহ আল-সিরাজ ও গোষ্ঠীটির সাধারণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রধান সামি ওদেহ।

মুশতাহা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে ইসরায়েলের কারাগারে ছিলেন। ২০১১ সালে বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে মুক্তি পান। কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি হামাস যোদ্ধাদের কাছে সিনিয়র ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন এবং মুক্তির পর গাজাবাসীর সেই আবেগ ধরে রাখেন।

তার মুক্তির মাত্র তিন দিন পর তিনি গাজা শহরের একটি রাত্রিকালীন সমাবেশে হাজির হন। ওই সমাবেশে হামাসের সশস্ত্র সেনাদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে তিনি বক্তৃতা করেন। ওই বক্তব্য গাজাবাসীর ওপর বেশ প্রভাব ফেলে।

মুশতাহা হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ডান হাত ছিলেন। যুদ্ধের কৌশল নির্ধারণে তার ভূমিকা অগ্রগণ্য। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের অভিযান শুরুর পর এ হত্যাকাণ্ড অন্যতম সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আইডিএফ জানায়, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে একটি টানেলে প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যরা লুকিয়ে ছিলেন। ইসরায়েলি বাহিনী সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যে সেখানে বিমান হামলা চালায়। আইডিএফ সুড়ঙ্গটিকে একটি সুরক্ষিত এবং সজ্জিত ভূগর্ভস্থ কম্পাউন্ড বলে বর্ণনা করে। সেখান থেকে হামাস যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ করত। সুড়ঙ্গটিতে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম মজুত ছিল। হামলা না করলে মুশতাহা দীর্ঘদিন সেখানে অবস্থান করে নেতানিয়াহুর বাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারত বলে দাবি ইসরায়েলের।

হামাস সিনিয়র কর্মকর্তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। আইডিএফ বলেছে, যোদ্ধাদের মনোবল এবং কার্যকারিতা ধরে রাখতে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি তা প্রকাশ থেকে বিরত থেকেছে।