img

ভারতে হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত :  ১২:০০, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতে হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ

বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) ভারতীয় পুরোহিত কর্তৃক কটূক্তি এবং বিজেপি নেতার সমর্থনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’ স্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে শেখপাড়া বাজার হয়ে আবারও কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিলে ‘দ্বীন ইসলাম দ্বীন ইসলাম, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘বিশ্বের মুসলিম এক হও, লড়াই করো’, ‘বিশ্ব নবীর অপমান, সইবে নারে মুসলমান’, ‘সবাই মিলাই হাতে হাত, মোরা রাসূলের উম্মাত’ ও ‘বিজেপি নেতার দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। 

পরে সমাবেশে ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক রুহুল আমিন, কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম আশরাফ উদ্দিন ও বঙ্গবন্ধু হল মসজিদের ইমাম মনিরুজ্জামান বক্তব্য দেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, জাতিসংঘে পৃথক আইন পাশ করে রাসূলের (সা.) কটূক্তিকারীদের শাস্তি দিতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারকে ভারত সরকারের কাছে এ ঘটনার যথাযথ জবাব চাইতে হবে। মুহাম্মদ (সা.)-এর ইজ্জত রক্ষার বিষয়ে আমাদের কোনো আপস নেই। 

এ সময় ভারতীয় পণ্ডিত ও বিজেপি নেতার এই ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্যের জন্য মুসলিম উম্মার কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ভারতীয় পণ্য বর্জনের জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, ভারতের বিতর্কিত ধর্মীয় প্রচারক রামগিরি মহারাজ মহারাষ্ট্রের এক ধর্মীয় সভায় রাসূল (সা.) ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেছেন। এতে রাজ্যের এক বিজেপি নেতা সমর্থন দিয়েছেন। এছাড়া ওই কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতার মুসলিমদের ওপর হামলা চালানোর হুমকির প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।


img

এইচএসসির ফল ১৫-১৭ অক্টোবরের মধ্যে

প্রকাশিত :  ১৩:৪৩, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

জটিলতা কাটিয়ে মাঝপথে বাতিল হওয়া এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতে পারে ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে। এই তিন দিনের যেকোনো এক দিন ফল প্রকাশ করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার এই প্রস্তাবের কথা জানিয়ে বলেন, তারা আশা করছেন- শিগগিরই ফল প্রকাশের তারিখ পাবেন তারা।

চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের কিছু পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে কিছু পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোর উত্তরপত্র (খাতা) মূল্যায়ন করে ফল তৈরি হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়। আর বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলোর ফল তৈরি করা হবে পরীক্ষার্থীদের এসএসসি ও জেএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে। 

এ বিষয়ে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার জানিয়েছিলেন, ইতোমধ্যে যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়ে গেছে, সেগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। আর যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি, সেগুলোর ফলাফল প্রকাশ করা হবে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে। বিষয় ম্যাপিংয়ের জন্য একটি নীতিমালা আছে। এ প্রক্রিয়ায় একজন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে একটি বিষয়ে যত নম্বর পেয়েছিল, এইচএসসিতে সেই বিষয় থাকলে তাতে এসএসসিতে প্রাপ্ত পুরো নম্বর বিবেচনায় নেওয়া হবে। আর এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় বিষয়ে ভিন্নতা থাকলে বিষয় ম্যাপিংয়ের নীতিমালা অনুযায়ী নম্বর বিবেচনা করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

গত আগস্টে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও ঘেরাও করলে এবারের এইচএসসি বা সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা বিভাগ।



শিক্ষা এর আরও খবর