img

ইসরাইলি হামলায় হাসান নাসরুল্লাহ নিহত, নিশ্চিত করল হিজবুল্লাহ

প্রকাশিত :  ১৪:০৭, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:০০, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইসরাইলি হামলায় হাসান নাসরুল্লাহ নিহত, নিশ্চিত করল হিজবুল্লাহ

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে রাতভর ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহ সংগঠনটির মহান ও অমর শহীদ কমরেডদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন; যাদের তিনি ৩০ বছর ধরে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

এর আগে, হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার দাবি করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৫৭ মিনিটে সামাজিকমাধ্যম এক্সে হিজবুল্লাহ প্রধানকে হত্যার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় তারা। তারা জানায়, বৈরুতে চালানো ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন হাসান নাসরুল্লাহ।

শুক্রবার বৈরুতের দাহিয় এলাকায় তীব্র বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। হিজবুল্লাহর সদর দপ্তরে সংগঠনটির প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে লক্ষ্য করেই এই বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল বলে ধারণা করা হয়। এরপর যত সময় গড়ায় ততই তার নিহত বা আহত হওয়ার বিষয়টি জোরালো হয়।

তবে হামলায় হাসান নাসরুল্লাহর ভাগ্যে কী ঘটেছে, তাৎক্ষণিকভাবে হিজবুল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি, কোনো বিবৃতি দেয়নি। অবশেষে আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করে সংগঠনটি।

হাসান নাসরুল্লাহ ৩২ বছর ধরে নেতৃত্ব দিয়ে হিজবুল্লাহকে আজকের সুসংহত অবস্থানে এনেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে তার প্রভাব ব্যাপক। ফিলিস্তিন ভূখণ্ড গ্রাস করার ইসরায়েলের খায়েশ পূরণে অন্যতম বাধা হাসান নাসরুল্লাহ ও তার বাহিনী।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মাথাব্যথার অন্যতম কারণ ছিলেন হাসান নাসরুল্লাহ। ইসরায়েলি বিমান হামলায় তার নিহত হওয়া এ যাবৎকালে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় বিজয়। অন্যদিকে হিজবুল্লাহ প্রধানের মৃত্যু মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম বড় শক্তি ইরানের জন্য বিরাট আঘাত। কারণ, এ অঞ্চলে ইরানের সবচেয়ে বিশ্বস্থ বন্ধু ছিলেন নাসরুল্লাহ।

এদিকে হিজবুল্লাহ প্রধানের নিহতের এ সংবাদ হিজবুল্লাহ এবং তার অনুসারীদের জন্য অত্যন্ত শোকের এবং মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইসরায়েলের সঙ্গে লেবাননের চলমান সংঘর্ষের মধ্যে নাসরুল্লাহর মৃত্যু এ অঞ্চলে নতুন করে সংঘাতের সৃষ্টি করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

গাজার প্রধানমন্ত্রী নিহত, দাবি ইসরায়েলের

প্রকাশিত :  ১৩:৩৭, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামাস সরকারের প্রধানমন্ত্রী রাউহি মুশতাহাকে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এক এক্স-বার্তায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এ দাবি করেছে। এ ছাড়া দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটেরও একই দাবি।

দ্য টাইমস অব ইসরায়েল ও রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলের দাবির বরাতে বলা হয়, তিন মাস আগে গাজা উপত্যকায় রাউহি মুশতাহার অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী ও হামাসের উচ্চ পদস্থ দুই কর্মকর্তা নিহত হন। তারা হলেন- হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সামেহ আল-সিরাজ ও গোষ্ঠীটির সাধারণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রধান সামি ওদেহ।

মুশতাহা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে ইসরায়েলের কারাগারে ছিলেন। ২০১১ সালে বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে মুক্তি পান। কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি হামাস যোদ্ধাদের কাছে সিনিয়র ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন এবং মুক্তির পর গাজাবাসীর সেই আবেগ ধরে রাখেন।

তার মুক্তির মাত্র তিন দিন পর তিনি গাজা শহরের একটি রাত্রিকালীন সমাবেশে হাজির হন। ওই সমাবেশে হামাসের সশস্ত্র সেনাদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে তিনি বক্তৃতা করেন। ওই বক্তব্য গাজাবাসীর ওপর বেশ প্রভাব ফেলে।

মুশতাহা হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ডান হাত ছিলেন। যুদ্ধের কৌশল নির্ধারণে তার ভূমিকা অগ্রগণ্য। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের অভিযান শুরুর পর এ হত্যাকাণ্ড অন্যতম সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আইডিএফ জানায়, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে একটি টানেলে প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যরা লুকিয়ে ছিলেন। ইসরায়েলি বাহিনী সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যে সেখানে বিমান হামলা চালায়। আইডিএফ সুড়ঙ্গটিকে একটি সুরক্ষিত এবং সজ্জিত ভূগর্ভস্থ কম্পাউন্ড বলে বর্ণনা করে। সেখান থেকে হামাস যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ করত। সুড়ঙ্গটিতে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম মজুত ছিল। হামলা না করলে মুশতাহা দীর্ঘদিন সেখানে অবস্থান করে নেতানিয়াহুর বাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারত বলে দাবি ইসরায়েলের।

হামাস সিনিয়র কর্মকর্তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। আইডিএফ বলেছে, যোদ্ধাদের মনোবল এবং কার্যকারিতা ধরে রাখতে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি তা প্রকাশ থেকে বিরত থেকেছে।