img

নাসরাল্লাহ হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বোমা ফেলেছে ইসরায়েল: মার্কিন সিনেটর

প্রকাশিত :  ০৭:৪১, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৪৪, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নাসরাল্লাহ হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বোমা ফেলেছে ইসরায়েল: মার্কিন সিনেটর

হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা সাইয়েদ হাসান নাসরাল্লাহ হত্যাকাণ্ডে লেবাননের বৈরুতে বিমান হামলায় ইসরায়েল যে বোমা ব্যবহার করে, তা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। এটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি গাইডেড অস্ত্র। ইসরায়েল ৯০০ কেজি ওজনের ‘মার্ক ৮৪’ সিরিজের এ বোমা ব্যবহার করেছে। এ কথা বলেছেন একজন মার্কিন সিনেটর। রোববার মার্কিন সিনেটের আর্মড সার্ভিসেস এয়ারল্যান্ড সাব-কমিটির চেয়ারম্যান মার্ক কেলি এনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। এ হামলায় কোন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে সে ব্যাপারে প্রথম ইঙ্গিত পাওয়া গেল তার কথায়। খবর- ইউএস নিউজ

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ হত্যাকাণ্ড নিয়ে এর আগে মুখ খোলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই হত্যাকাণ্ডকে অসংখ্য ভুক্তভোগীর জন্য ন্যায়বিচারের একটি পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি। এসব ভুক্তভোগীর মধ্যে হাজার হাজার আমেরিকান, ইসরায়েলি ও লেবাননের বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলিতে শুক্রবার হামলায় নিহত হন হাসান নাসরুল্লাহ। তাঁকে হত্যার ইসরায়েলি দাবির পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণভাবে হিজবুল্লাহ, হামাস, ইয়েমেনের হুতি ও যেকোনো ইরান-সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার সমর্থন করে। 

ইসরায়েলি এ হামলার বিষয়ে মার্ক কেলি বলেন, তারা গাইডেড অস্ত্রের ব্যবহার দেখছেন। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে এসব অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে। প্রসঙ্গত, ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে। 

গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এক বছর ধরে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে আন্তঃসীমান্ত লড়াই চলছে। এতে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছেন উভয় দেশের লাখ লাখ মানুষ। হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা হামাসের সমর্থনে কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা তা থামাবে না। দুটি সংগঠনই ইরানসমর্থিত।

হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে কয়েক দশক ধরে সংঘাত চলছে। ইসরায়েল লেবাননে হামলা চালালে তার প্রতিক্রিয়ায় ১৯৮২ সালে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি গঠিত হয়। সেই সময় ইসরায়েলি আগ্রাসন প্রতিহত করার জন্য বেশ কিছু লেবানিজ দল গঠিত হয়, যার একটি ছিল শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের হিজবুল্লাহ। আলজাজিরা বলছে, হিজবুল্লাহ ছিল মুসলিম নেতাদের মস্তিষ্কপ্রসূত। 

বর্তমানে হিজবুল্লাহকে বিশ্বের সবচেয়ে ভারী অস্ত্রধারী রাষ্ট্রবহির্ভূত সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাদের অস্ত্রাগারে আনুমানিক ১ লাখ ৩০ হাজার রকেট রয়েছে। 

ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা অধ্যয়ন ইনস্টিটিউটের হিসাবে, হিজবুল্লাহর কাছে ১৫-২০ কিলোমিটার পাল্লার ৪০ হাজার গ্র্যাড-টাইপ মিসাইল রয়েছে। পাশাপাশি সংগঠনটির কাছে ৮০ হাজার দূরপাল্লার মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম রয়েছে, যার পরিসর ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল)। এ ছাড়া তাদের কাছে প্রায় ৩০ হাজার জেলজাল আর্টিলারি রকেট বা ফাতেহ-১১০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যার পাল্লা ২০০-৩০০ কিলোমিটার। হিজবুল্লাহর অস্ত্রভান্ডারের সবচেয়ে দীর্ঘপাল্লার এই অস্ত্র দক্ষিণ ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম।


জাতীয় এর আরও খবর

উপদেষ্টা নিয়োগ

img

রুদ্ধদ্বার বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত জানালেন সমন্বয়করা

প্রকাশিত :  ১৯:১৫, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, জুলাই আন্দোলনের ফসল হলো অন্তর্বর্তী সরকার, তাই উপদেষ্টা নিয়োগে অবশ্যই তাদের বক্তব্য নিতে হবে। 

বুধবার (১৩ নভেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাংলামোটর কার্যালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের চার ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা, আসন্ন কর্মসূচির রূপরেখা নির্ধারণ, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সংগঠকদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর বিষয়ে কথা হয়েছে।

সাংবাদিকদের হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের আজকের সভায় ১৫৮ জনের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ জন সমন্বয়ক ছিলেন। তবে অন্য সমন্বয়কদের সঙ্গে কোনো সমস্যা নেই। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। নিজেদের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলাও নেই।

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের ফসল হলো অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগের সময় অবশ্যই আমাদের বক্তব্য নিতে হবে।

সমন্বয়কদের মধ্যে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, শেষ পর্যন্ত আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি শুধু সরকারের গুণগান গাইব না। পাশাপাশি গঠনমূলক সমালোচনাও করা হবে। এ ছাড়া মানুষের ভোগান্তি হয়, এমন কোনো কিছু করবে না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

তিনি জানান, বিপ্লবের ১০০ দিন উপলক্ষে আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের নিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হবে। আর এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে দেশব্যাপী আন্দোলনের কমিটি দেওয়া হবে।