যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা

img

যেকোনো মুহূর্তে ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়বে ইরান

প্রকাশিত :  ১৫:০৯, ০১ অক্টোবর ২০২৪

যেকোনো মুহূর্তে ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়বে ইরান

লেবাননে হামলার প্রতিক্রিয়ায় দখলদার ইসরাইলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ‘অত্যাসন্ন’ বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের একাধিক গুপ্তহত্যার পর ইরান জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল। কিন্তু এতদিন চুপ থাকলেও ইরানের এই জবাব এখন যে কোনো মুহূর্তে শুরু হতে পারে।

তবে ইসরাইলে হামলা চালালে ‘কঠিন পরিণতি ভোগ করতে’ হবে বলে তেহরানকে যুক্তরাষ্ট্র সতর্কতা দিয়েছে।  

মার্কিন ওই কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, ইরানের এই হামলা থেকে ইসরাইলকে রক্ষা করতে আমরা সক্রিয়ভাবে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থাকে সহায়তা করছি। আমরা তাদের বলেছি, ইরান থেকে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পরিণতি হবে ভয়াবহ।

এক্সিওস জানিয়েছে, সোমবার লেবাননে ইসরায়েল স্থল হামলা চালানোর ঘোষণা দেওয়ার পরই ইরানের সম্ভাব্য হামলার সম্ভাবনা বেড়েছে।

এদিকে ইসরাইলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস সম্প্রতি এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সব সরকারি কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, ইরান ইসরাইলের বিরুদ্ধে আসন্ন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইঙ্গিত রয়েছে।


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

গাজার প্রধানমন্ত্রী নিহত, দাবি ইসরায়েলের

প্রকাশিত :  ১৩:৩৭, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামাস সরকারের প্রধানমন্ত্রী রাউহি মুশতাহাকে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এক এক্স-বার্তায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এ দাবি করেছে। এ ছাড়া দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটেরও একই দাবি।

দ্য টাইমস অব ইসরায়েল ও রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলের দাবির বরাতে বলা হয়, তিন মাস আগে গাজা উপত্যকায় রাউহি মুশতাহার অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী ও হামাসের উচ্চ পদস্থ দুই কর্মকর্তা নিহত হন। তারা হলেন- হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সামেহ আল-সিরাজ ও গোষ্ঠীটির সাধারণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রধান সামি ওদেহ।

মুশতাহা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে ইসরায়েলের কারাগারে ছিলেন। ২০১১ সালে বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে মুক্তি পান। কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি হামাস যোদ্ধাদের কাছে সিনিয়র ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন এবং মুক্তির পর গাজাবাসীর সেই আবেগ ধরে রাখেন।

তার মুক্তির মাত্র তিন দিন পর তিনি গাজা শহরের একটি রাত্রিকালীন সমাবেশে হাজির হন। ওই সমাবেশে হামাসের সশস্ত্র সেনাদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে তিনি বক্তৃতা করেন। ওই বক্তব্য গাজাবাসীর ওপর বেশ প্রভাব ফেলে।

মুশতাহা হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ডান হাত ছিলেন। যুদ্ধের কৌশল নির্ধারণে তার ভূমিকা অগ্রগণ্য। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের অভিযান শুরুর পর এ হত্যাকাণ্ড অন্যতম সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আইডিএফ জানায়, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে একটি টানেলে প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যরা লুকিয়ে ছিলেন। ইসরায়েলি বাহিনী সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যে সেখানে বিমান হামলা চালায়। আইডিএফ সুড়ঙ্গটিকে একটি সুরক্ষিত এবং সজ্জিত ভূগর্ভস্থ কম্পাউন্ড বলে বর্ণনা করে। সেখান থেকে হামাস যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ করত। সুড়ঙ্গটিতে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম মজুত ছিল। হামলা না করলে মুশতাহা দীর্ঘদিন সেখানে অবস্থান করে নেতানিয়াহুর বাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারত বলে দাবি ইসরায়েলের।

হামাস সিনিয়র কর্মকর্তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। আইডিএফ বলেছে, যোদ্ধাদের মনোবল এবং কার্যকারিতা ধরে রাখতে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি তা প্রকাশ থেকে বিরত থেকেছে।