৮০ শতাংশ সফল

img

ইসরাইলে ১৮০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান

প্রকাশিত :  ২০:৩৩, ০১ অক্টোবর ২০২৪

ইসরাইলে ১৮০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান

কয়েকদিনের হুমকি পাল্টা হুমকির পর এবার ইসরাইলে নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। বিভিন্ন শক্তি মাত্রার প্রায় ১৮১টি শক্তিশালী মিসাইল তেল আবিবকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ  মিসাইল সফল আঘাত হেনেছে বলে দাবি করেছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি কার্ড কোর (আইআরজিসি) ঘনিষ্ট সংবা সংস্থা ফারস।ইতিমধ্যে বেশ কিছু মিসাইল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার খবর ও ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে বিশ্ব গণমাধ্যমে।

মিসাইল ইসরায়েলের ভূখণ্ডে  আঘাত হানার খবর দেশটির সেনাহানির  মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগেরি স্বীকার করলেও আক্রান্ত স্থানের ব্যাপারে মুখ খুলেননি।ধারণা করা হচ্ছে,ইসরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা ছিল ইরানের ছোড়া মিসাইলের লক্ষ্যবস্তু।

এর আগে ইরানের মিসাইল হামলা শুরুর পর ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বাজতে থাক্র এবং দেশটির নাগরিকেরা বোমা প্রতিরোধী আশ্রয় কেন্দ্রের সন্ধানে ছুটত থাকেন। ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার চলাকালে রিপোর্টারদের মাটিতে শুয়ে পড়তে দেখা গেছে।

লেবাননে ইসরায়েলের বোমা হামলায় ইরান–সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর এর বদলা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তেহরান।

ইসরায়েলি বাহিনী আজ মঙ্গলবার লেবাননে সীমিত পরিসরে স্থল অভিযান শুরু করার পর তেল আবিব লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান।এর আগে গত এপ্রিলে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান।প্রায় এক বছর আগে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালায় ইসরায়েল। তাদের নির্বিচার বোমা হামলায় গাজায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ওই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আজ লেবাননে ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরুর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত নতুন মাত্রা নিয়েছে।


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

গাজার প্রধানমন্ত্রী নিহত, দাবি ইসরায়েলের

প্রকাশিত :  ১৩:৩৭, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামাস সরকারের প্রধানমন্ত্রী রাউহি মুশতাহাকে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এক এক্স-বার্তায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এ দাবি করেছে। এ ছাড়া দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটেরও একই দাবি।

দ্য টাইমস অব ইসরায়েল ও রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলের দাবির বরাতে বলা হয়, তিন মাস আগে গাজা উপত্যকায় রাউহি মুশতাহার অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী ও হামাসের উচ্চ পদস্থ দুই কর্মকর্তা নিহত হন। তারা হলেন- হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সামেহ আল-সিরাজ ও গোষ্ঠীটির সাধারণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রধান সামি ওদেহ।

মুশতাহা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে ইসরায়েলের কারাগারে ছিলেন। ২০১১ সালে বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে মুক্তি পান। কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি হামাস যোদ্ধাদের কাছে সিনিয়র ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন এবং মুক্তির পর গাজাবাসীর সেই আবেগ ধরে রাখেন।

তার মুক্তির মাত্র তিন দিন পর তিনি গাজা শহরের একটি রাত্রিকালীন সমাবেশে হাজির হন। ওই সমাবেশে হামাসের সশস্ত্র সেনাদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে তিনি বক্তৃতা করেন। ওই বক্তব্য গাজাবাসীর ওপর বেশ প্রভাব ফেলে।

মুশতাহা হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ডান হাত ছিলেন। যুদ্ধের কৌশল নির্ধারণে তার ভূমিকা অগ্রগণ্য। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের অভিযান শুরুর পর এ হত্যাকাণ্ড অন্যতম সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আইডিএফ জানায়, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে একটি টানেলে প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যরা লুকিয়ে ছিলেন। ইসরায়েলি বাহিনী সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যে সেখানে বিমান হামলা চালায়। আইডিএফ সুড়ঙ্গটিকে একটি সুরক্ষিত এবং সজ্জিত ভূগর্ভস্থ কম্পাউন্ড বলে বর্ণনা করে। সেখান থেকে হামাস যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ করত। সুড়ঙ্গটিতে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম মজুত ছিল। হামলা না করলে মুশতাহা দীর্ঘদিন সেখানে অবস্থান করে নেতানিয়াহুর বাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারত বলে দাবি ইসরায়েলের।

হামাস সিনিয়র কর্মকর্তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। আইডিএফ বলেছে, যোদ্ধাদের মনোবল এবং কার্যকারিতা ধরে রাখতে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি তা প্রকাশ থেকে বিরত থেকেছে।