সংঘাত অবসানের আহ্বান

img

লন্ডনে ফিলিস্তিনের পক্ষে হাজার হাজার মানুষের মিছিল

প্রকাশিত :  ২১:৩০, ০৮ অক্টোবর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৪৫, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

লন্ডনে ফিলিস্তিনের পক্ষে হাজার হাজার মানুষের মিছিল

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের অবসানের আহ্বান জানিয়ে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীরা লন্ডনে মিছিল করেছেন। শনিবার, ৫ অক্টোবর, হাজার হাজার মানুষ রাসেল স্কোয়ার থেকে হোয়াইটহল পর্যন্ত হেঁটে ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে সমাবেশ গিয়ে যোগদান করে। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গণহত্যার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইনসহ বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়,  যাতে অংশ নিতে সারা দেশ থেকে অনেকেই আসেন ।

"এখনই যুদ্ধবিরতি" এবং "এখন বোমাবর্ষণ বন্ধ করুন" এর মতো বার্তা সম্বলিত ফিলিস্তিনি পতাকা এবং প্ল্যাকার্ড বহন করতে লোকজনকে দেখা যায়।

মিছিলকারীদের মধ্যে ‘বেঙ্গলিজ  ফর প্যালেস্টাইন’ ব্যানারে পূর্ব লন্ডনের বাঙালিদের একটি দল ছিল। দলের সভাপতি নুরুদ্দিন আহমেদ বলেন, 'গত ১২ মাস ধরে, ফিলিস্তিনিরা তাদের স্বাধীনতার সংগ্রামে সবচেয়ে অন্ধকার মুহূর্তের মুখোমুখি হয়েছে, কারণ ইসরায়েল তাদের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন নৃশংসতা চালিয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যামূলক হামলা চালিয়েছে।‘

বাঙালির মিছিলে ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটস্ প্রাক্তন কাউন্সিলর শাহেদ আলী, বর্ণবাদ বিরোধী  এক্টিভিস্ট রফিক উল্লাহ, টাওয়ার হ্যামলেটস্ প্রাক্তন কাউন্সিলর  জয়নাল উদ্দিন, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট তৈমুস আলী, লুকমান উদ্দিন, আলা মিয়া আজাদ, জামাল আহমেদ খান, আনসার আহমেদ উল্লাহ, মোহাম্মদ সিদ্দিক, শফিক আহমেদ, মজিবুল হক মনি, সৈয়দ গুলাব আলী প্রমুখরা বলেন যে ব্রিটিশ সরকার ইসরায়েলের সাথে সমস্ত অস্ত্র ব্যবসা বন্ধ করার দাবিতে আমরা মিছিল করছি। ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের দাবিতে আমরা মিছিল করছি।

প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইনের বেন জামাল বলেছেন, ‘শনিবার হাজার হাজার ফিলিস্তিনি জনগণের উপর ইসরায়েলের গণহত্যার এক বছর উপলক্ষে মিছিল করেছে, এমন একটি গণহত্যা যা কমপক্ষে  ৪১,০০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, গাজার সামাজিক অবকাঠামো ধ্বংস করেছে এবং  ২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। কয়েক মাস ধরে, আমরা সতর্ক করে আসছি যে ইসরায়েলকে তার অপরাধের জন্য দায়মুক্তি প্রদান করলে তা হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিককে হত্যার ঝুঁকির মধ্যেই রাখবে না বরং একটি বিস্তৃত অগ্নিসংযোগের ঝুঁকি তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন যে গত সপ্তাহে, আমরা এই বাস্তবতাকে উন্মোচিত হতে দেখেছি, ইসরায়েল লেবানন এবং অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিতে হামলা চালিয়েছে যা শত শত বেসামরিক নাগরিক সহ  ১,০০০ জনেরও বেশি লোককে হত্যা করেছে, যাদের মধ্যে অনেক শিশু ছিল। এখন, আমরা একটি বড় যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

ব্রিটেন ও ফ্রান্সের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ভারত

প্রকাশিত :  ০৫:৪৬, ০৮ মে ২০২৫

ভারত-পাকিস্তান হামলা-পাল্টা হামলায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত। মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতের পর পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ভারত। এর জবাবে ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার দাবি করেছে পাকিস্তান। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে। সামরিক অভিযান সংক্রান্ত কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতীয় বায়ুসেনা রাফাল যুদ্ধবিমান থেকে জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে স্ক্যাল্প, হ্যামার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ৷ ব্যবহার করা হয়েছে কামিকাজে ড্রোন ৷ এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি কীভাবে কাজ করে ?

স্ক্যাল্প ক্ষেপণাস্ত্র

স্ক্যাল্প (এসসিএএলপি) ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্রিটেন ও ফ্রান্সের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ৷ ব্রিটেনে এই ক্ষেপণাস্ত্র \'স্ট্রম শ্যাডো\' নামে পরিচিত ৷ \'অপারেশন সিঁদুর\'-এ ভারতীয় যুদ্ধবিমান রাফাল-এ এই স্ক্যাল্প ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করা ছিল ৷

আকাশপথে দুরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রটি গত শতকের ন\'য়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে ফ্রান্সের মাত্রা এরোস্পেস কোম্পানি এবং ব্রিটিশ এরোস্পেস (এখন এমবিডিএ নামে পরিচিত) তৈরি করে চলেছে ৷

ওজন 1 হাজার 300 কেজি, দৈর্ঘ্য 5.10 মিটার ৷ এর মধ্যে মাইক্রোটার্বো টিআরআই 60-30 টার্বোজেট ইঞ্জিন রয়েছে ৷ এর রফতানিকারক সংস্করণটিকে 560 কিমি দূরত্বে ছোড়া যায় ৷ এর মধ্যে 450 কেজি ওজনের ক্ষেপণাস্ত্র থাকে ৷

কয়েকটি স্ক্যাল্প 250 কিমিরও বেশি দূরত্বে হামলা চালাতে পারে ৷ আবার অন্য কয়েকটি 500 কিমি দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম ৷ এর নেভিগেশন পদ্ধতিটি অত্যাধুনিক ৷ ইনারশিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম (আইএনএস), জিপিএস, টেরাইন রেফারেন্স নেভিগেশন (টিইআরপিআরওএম) এবং ইমেজিং ইনফ্রারেড (আইআইআর) নেভিগেশনের দ্বারা এই ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালিত হয় ৷

এটি 450 কেজি ওজনের ব্রোচ (বিআরওএসিএইচ) ওয়ারহেড বহন করতে পারে ৷ ইউরোফাইটার টাইফুন, দাসো রাফাল, মিরেজ 2000 যুদ্ধবিমানে স্ক্যাল্প ক্ষেপণাস্ত্র থাকে ৷ স্যাটেলাইনট নেভিগেশন সেন্সরের মাধ্যমে দিকনির্দেশ করতে পারে ৷

যে কোনও পরিকাঠামোর মধ্যে থেকে নিশানাকে আলাদা করে চিহ্নিত করতে পারার ক্ষমতা রয়েছে এই মিসাইলের ৷ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে নিশানাকে চিহ্নিত করে লক্ষ্যে অভ্রান্ত আঘাত হানতে পারে ৷

হ্যামার

স্ক্যাল্প ছাড়া আরেকটি \'হ্যামার\' ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করা হয়েছে এই \'অপারেশন সিঁদুর\'-এ ৷ এর পুরো নাম- \'হাইলি অ্যাজাইল মডিউলার মিউনিশন এক্সটেনডেড রেঞ্জ\' ৷ যে কোনও ঋতুতে যে কোনও সময় আকাশ থেকে মাটিতে (এয়ার টু গ্রাউন্ড) এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত হানা সম্ভব ৷

70 কিমি পর্যন্ত নিশানায় আছড়ে পড়তে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র ৷ ফ্রান্সের \'সাফরান ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ডিফেন্স\' এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে ৷

স্ক্য়াল্প-এর মতো হ্যামারও একশো শতাংশ নিশ্চয়তার সঙ্গে লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম ৷ অল্প উচ্চতা থেকে উপত্যকায় আছড়ে পড়তে পারে ৷ নিশানা স্থির হোক বা চলমান- দুই ক্ষেত্রে আঘাত হানতে সমান পারদর্শী হ্যামার ৷

কামিকাজে ড্রোনস

একশো শতাংশ সঠিক লক্ষ্যভেদের জন্য এই কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করা হয় ৷ এর আরেক নাম সুইসাইড ড্রোনস বা আত্মঘাতী ড্রোন ৷ লক্ষ্যবস্তুতে আছড়ে না-পড়া পর্যন্ত এটি ঘুরতে থাকে ৷ তাই এর আরেক নাম \'লয়টারিং মিউনিশন\' ৷ নিশানাকে চিহ্নিত করে তার উপর হামলা চালাতে এই অস্ত্রের জুড়ি মেলা ভার ৷ বিস্ফোরক বয়ে নিয়ে যেতে মানববিহীন এই আকাশ যান (আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকলস, ইউএভিএস) ব্যবহার করা হয় ৷ ইরান-সহ বেশ কয়েকটি দেশ এই ইউএভিএস তৈরি করে ৷

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর