img

বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ

প্রকাশিত :  ০৯:১৯, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গণহত্যার ঘটনায় বিচারকাজ পরিচালনা করতে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ আগামী বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হবে।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তাজুল ইসলাম বলেন, আগামীকাল (বুধবার) ট্রাইব্যুনালের এজলাস কক্ষে বিচারপতিদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এরপর বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এজলাসে বসবেন। সেদিন থেকে বিচারকাজ শুরু হবে। 

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কয়েকটি আবেদন করব।

এর আগে নিয়োগের পর প্রথম কর্মদিবসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার ও দুই সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা ট্রাইব্যুনালে আসেন। এ সময় ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার ও অন্যান্য কর্মকর্তারা তাদের অভ্যর্থনা জানান।

গতকাল রাতে হাইকোর্টের বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাতে আইন সচিব শেখ আবু তাহের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ (১৯৭৩ সালের আইন নং ২১)-এর ধারা ৬-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীকে ওই ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো।

জাতীয় এর আরও খবর

উপদেষ্টা নিয়োগ

img

রুদ্ধদ্বার বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত জানালেন সমন্বয়করা

প্রকাশিত :  ১৯:১৫, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, জুলাই আন্দোলনের ফসল হলো অন্তর্বর্তী সরকার, তাই উপদেষ্টা নিয়োগে অবশ্যই তাদের বক্তব্য নিতে হবে। 

বুধবার (১৩ নভেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাংলামোটর কার্যালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের চার ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা, আসন্ন কর্মসূচির রূপরেখা নির্ধারণ, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সংগঠকদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর বিষয়ে কথা হয়েছে।

সাংবাদিকদের হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের আজকের সভায় ১৫৮ জনের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ জন সমন্বয়ক ছিলেন। তবে অন্য সমন্বয়কদের সঙ্গে কোনো সমস্যা নেই। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। নিজেদের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলাও নেই।

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের ফসল হলো অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগের সময় অবশ্যই আমাদের বক্তব্য নিতে হবে।

সমন্বয়কদের মধ্যে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, শেষ পর্যন্ত আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি শুধু সরকারের গুণগান গাইব না। পাশাপাশি গঠনমূলক সমালোচনাও করা হবে। এ ছাড়া মানুষের ভোগান্তি হয়, এমন কোনো কিছু করবে না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

তিনি জানান, বিপ্লবের ১০০ দিন উপলক্ষে আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের নিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হবে। আর এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে দেশব্যাপী আন্দোলনের কমিটি দেওয়া হবে।