ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিলো সরকার, কাল থেকে কার্যকর
প্রকাশিত :
০৯:৩৫, ১৫ অক্টোবর ২০২৪ সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৩০, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুরগির ডিমের নতুন দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। বুধবার (১৬ অক্টোবর) থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ডিম উৎপাদক এবং সরবরাহকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বুধবার থেকে উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা। খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ভোক্তাপর্যায়ে প্রতি ডজন কিনতে খরচ করতে হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হামিদ ফেব্রিক্সের ৫৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকার বকেয়া ঋণ আদায়ের জন্য ব্যাংক এশিয়ার কোম্পানিটির সম্পদ নিলাম ঘোষণা করেছে।
গত সপ্তাহে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে আগ্রহী ক্রেতাদের ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে মূল্য কোটেশন জমা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। নিলামে নরসিংদীতে অবস্থিত কারখানা ভবন ও যন্ত্রপাতিসহ ২৯৬.৫০ ডিসিমেল জমি রয়েছে, যার সবগুলোই হামিদ ফেব্রিক্সের মালিকানাধীন।
হামিদ ফেব্রিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বিষয়টি সমাধানের জন্য আমরা ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করছি এবং আশা করছি শীঘ্রই এটি সমাধান হয়ে যাবে।
ব্যাংকটির সূত্র জানায়, কোম্পানিটি প্রথমে ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের জন্য ডিমান্ড লোন নেয়, যা পরে মেয়াদি ঋণে রূপান্তরিত হয়। একাধিক নোটিশ সত্ত্বেও, হামিদ ফেব্রিক্স সময়মতো ঋণের কিস্তি দিতে ব্যর্থ হয়, যার ফলে নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করে ব্যাংকটি।
হামিদ ফেব্রিক্সের কারখানায় তিনটি উৎপাদন ইউনিট রয়েছে। বোনা ফ্যাব্রিক ইউনিটের বার্ষিক ৩২.৪০ মিলিয়ন ইয়ার্ড উৎপাদন করার ইনস্টল ক্ষমতা রয়েছে। তাঁত ইউনিটগুলির বার্ষিক ক্ষমতা ৯.৮৮ মিলিয়ন ইয়ার্ড এবং ডাইং ইউনিটের প্রায় ১.৩৭ মিলিয়ন কেজি সুতা উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামিদ ফেব্রিক্সের সম্পদের মূল্য ৫৭১ কোটি টাকা এবং ইক্যুইটি মোট ২৯৬ কোটি টাকা।
শিল্প সংশ্লিষ্টদের মতে, হামিদের কারখানার এলাকাসহ পুরো নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী অঞ্চল গ্যাস সংকটে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। ফলে এ অঞ্চলের বেশির ভাগ কারখানাই পূর্ণ ক্ষমতায় চলতে পারছে না।
এই সমস্যাটি প্রশমিত করার জন্য কোম্পানিটি এলপিজির মতো বিকল্প শক্তির উৎসগুলিতে বিনিয়োগ করেছে। এতে তাদের পরিচালন ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। যার ফলে কোম্পানিটির ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিয়েছে।
হামিদ ফেব্রিক্স ২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিন বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ হারে ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এরপর ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১০ শতাংশ হারে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৫ শতাংশ হারে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।
সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২৪ অর্থবছরে ‘নো ডিভিডেন্ড’ দিয়েছে। আলোচ্য বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ৬ পয়সা লোকসান করেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৬ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ১১ পয়সা।