ঢাকা বোর্ডে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, হামলায় আহত ৬
‘বৈষম্যহীন রেজাল্টের’ দাবিতে যশোরে গণমিছিল ও শিক্ষাবোর্ড ঘেরাও করেছেন সদ্যঘোষিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২০ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা গণমিছিল ও শিক্ষাবোর্ড ঘেরাও কর্মসূচি শুরু করেন। বোর্ডের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকেন। একপর্যায়ে বোর্ড সচিব প্রফেসর আব্দুর রহিম গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তারা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে চান। পরে গেট খুলে দিলে তারা বোর্ড চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বৈষম্যহীন ফলাফলের দাবি করেন। তারা বলেন, এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার খাতা যথাযথ মূল্যায়ন না করে পরীক্ষার ফল দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে খাতা পুনর্মূল্যায়ন করে পরীক্ষার ফলাফলের দাবি জানান তারা। পরে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের অফিসের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
তাবাসসুম তাসফিয়া নামে এক শিক্ষার্থী গণমাধ্যমে বলেন, ‘সিলেট বোর্ডে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা না দেওয়া সত্ত্বেও তাদের প্রত্যেকটা সাবজেক্টে প্লাস এসেছে, তাহলে আমাদের সঙ্গে কেন বৈষম্য করা হলো। জানতে পেরেছি, অনেক থানায় পরীক্ষার খাতা পুড়ে গেছে, তাহলে কিসের ভিত্তিতে পরীক্ষার খাতার মূল্যায়ন করা হলো? পরীক্ষার সঠিক মূল্যায়ন করা হলে যশোর বোর্ডে বিভিন্ন বিষয়ে ফেল আসতো, কিন্তু ইংরেজি বিষয়ে একচেটিয়া ফেল এসেছে।’
আলমডাঙা সরকারি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী শাকিব মাহমুদ গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের সঙ্গে ম্যাপিং পদ্ধতিতে পরীক্ষার খাতা পুনঃমূল্যায়ন করে আবার ফলাফল।’
বিক্ষোভের প্রায় দেড় ঘণ্টার মাথায় যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মর্জিনা আক্তার ঘটনাস্থলে যান। একইসঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর একটি দলও সেখানে উপস্থিত হয়। এক পর্যায়ে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো উল্লেখ করে বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা।
এ বিষয়ে বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মর্জিনা আক্তার গণমাধ্যমে বলেন, ‘আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের কাছ থেকে তাদের দাবিসহ একটি লিখিত স্মারকলিপি নেওয়া হয়েছে। এটি আন্তঃবোর্ডের কাছে পাঠানো হবে। সেখান থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।’