img

ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবেন যেভাবে

প্রকাশিত :  ১০:০৬, ২১ অক্টোবর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:১৩, ২১ অক্টোবর ২০২৪

ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবেন যেভাবে

আমরা অনেকেই কম-বেশি ত্বকের যত্ন নিয়ে সচেতন। আবার অনেকে আছি যারা খুব একটা সময় পান না ত্বকের যত্ন নেওয়ার। ত্বকে ব্রণের সমস্যা কারো কারো পিছু ছাড়তেই চায় না। শুষ্ক ত্বকে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। জীবনযাপনে নানা অনিয়ম, বাইরে কড়া রোদ, দীর্ঘ সময় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে থাকলেও ত্বক শুষ্ক হয়ে ওঠে। তাই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা জরুরি। যেভাবে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবেন: 

পানি

ত্বক আর্দ্র রাখতে পানি খাওয়া জরুরি। সারাদিনে অন্তত ৩ লিটার পানি খেতে পারলে ভালো। পানির পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর পানীয়ও খেতে হবে। জলীয় অংশ খুব বেশি পরিমাণে আছে, এমন ফলও খেতে পারেন। তবে নিশ্চিত করতে হবে, শরীরে যেন পর্যাপ্ত পানি থাকে।

ক্লিনজার

ত্বক কোমল ও আর্দ্র রাখতে প্রয়োজন ক্লিনজার। দোকান থেকে ক্লিনজার কিনেও ব্যবহার করতে পারেন। কিংবা প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসাবে কাঁচা দুধও ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। 

ময়েশ্চারাইজার

ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ব্যবহার করুন পর্যাপ্ত ময়েশ্চারাইজার। ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজার ভীষণ প্রয়োজনীয়। ময়েশ্চারাইজার অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে ত্বকের সুরক্ষা দেয়। তেমনি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। ত্বকের উজ্জ্বলতা ও আর্দ্রতা ধরে রাখতে সুষম খাবার খুবই জরুরি। বিভিন্ন ফলের পাশাপাশি বিভিন্ন বাদাম, প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার ও সবজি নিয়মিত খাওয়া দরকার।

img

ভুলে যাওয়ার সমস্যা বাড়ে যেসব অভ্যাসে

প্রকাশিত :  ০৫:৩৭, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বাসার চাবি কোথায় রেখেছেন তা মনে না পড়া কিংবা বাজার থেকে কী কী কিনতে হবে তা হুট করে ভুলে যাওয়ার সমস্যায় ইদানীং অনেকেই ভুগছেন। এমনটা যে বয়স্কদের হচ্ছে তা নয়। অনেক কম বয়সীদের মধ্যেও এ ধরনের ভুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা যাচ্ছে। হুট করে সবকিছু গুলিয়ে যাওয়া, প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে ভুলে যাওয়া কিংবা পছন্দের মানুষের জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকীর তারিখ ইত্যাদি ভুলে যাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা নয়। চলার পথে হুট করে কিছু মনে না রাখত্রে পারলে খানিকটা পিছিয়ে পড়তে হয়। কখনো কখনো অন্যদের সামনে বেশ অস্বস্তিতেও পড়তে হয়।

কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? গবেষকরা বলছেন, প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে ব্যাহত করছে। দিনের পর দিন একই অভ্যাসের কারণে মস্তিষ্কের ক্ষতি হচ্ছে। 

উচ্চস্বরে গান শোনা: গান শোনা খুব ভালো একটি অভ্যাস। গান শুনলে মস্তিষ্ক শীতল হয়। দুশ্চিন্তা দূর হয়। কিন্তু কানে হেডফোন গুঁজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উচ্চস্বরে গান শুনলে মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হয়। টানা ৩০ মিনিট অতি উচ্চমাত্রার শব্দ শুনতে থাকলে শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণ রূপে লোপ পেতে পারে। শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও লোপ পেতে পারে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের টিস্যু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম: অতিরিক্ত ‘স্ক্রিন টাইম’ও মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। অফিসে সারা ক্ষণ কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের সামনে মুখ গুঁজে বসে থাকা, সারাক্ষণ ফোন স্ক্রল করা, স্ক্রিনে গেমস খেলা, ওয়েব সিরিজ দেখা ইত্যাদি কাজগুলো করলে দিনের অধিকাংশ সময় স্ক্রিনে চোখ থাকে। এতে চোখের যেমন  ক্ষতি হয়, মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও কমে যায়। এতে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ে।

অন্ধকারে থাকা: কেউ কেউ অন্ধকারে থাকতে ভালোবাসেন। দীর্ঘ সময় অন্ধকারে থাকার অভ্যাস মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। এই অভ্যাস মনে বিষণ্ণতা তৈরি করে। আর বিষণ্ণতা মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে ধীর করে দেয়। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা সঠিক রাখতে প্রাকৃতিক আলোতে থাকতে হবে। সূর্যের আলোতে সময় কাটাতে হবে। এতে মেজাজ ভাল থাকে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও বাড়ে।

একা থাকার অভ্যাস: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢুঁ মারলে অনেক বন্ধু পাওয়া যায়। কিন্তু ভার্চুয়াল বন্ধুরা কাছের হয় না। এখন বেশিরভাগ মানুষ ভেতর থেকে একা হয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই ভীড়-আড্ডা-অনুষ্ঠানে যেতে চান না। পারিবারিক অনুষ্ঠান হোক কিংবা অফিসের পার্টি— সব কিছুই এড়িয়ে চলতে চান। অর্থাৎ নিজের মতো একা থাকতে চান। একা থাকার অভ্যাসও কিন্তু মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, যাঁরা কাছের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, তাঁরা অন্যদের তুলনায় হাসিখুশি ও কর্মদক্ষ হন। তাঁদের স্মৃতিশক্তিও অন্যদের তুলনায় বেশি হয়।

অধিক পরিমাণে চিনি খাওয়া: অতিরিক্ত চিনি ও চিনি জাতীয় খাবার খাওয়াও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। আবার বার্গার, ভাজাপোড়া খাবার, আলুর চিপ্স বা কোমল পানীয়ের মতো খাবার স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার জন্য দায়ী। তাই এসব খাবারের বদলে খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি, ফল ও বাদামজাতীয় খাবার রাখতে হবে।