স্যামসাং এস ২৪ আল্ট্রা একটি অত্যাধুনিক প্রিমিয়াম স্মার্টফোন
রেজুয়ান আহম্মেদ
স্যামসাং এস ২৪ আল্ট্রা একটি অত্যাধুনিক ক্যামেরা সহ প্রিমিয়াম স্মার্টফোন, যার মাধ্যমে আপনি দুর্দান্ত ছবি তুলতে পারেন। এর ক্যামেরা সিস্টেমের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে, নিচের গাইডলাইনটি অনুসরণ করুন:
স্যামসাং এস ২৪ আল্ট্রার ক্যামেরার বৈশিষ্ট্য
স্যামসাং এস ২৪ আল্ট্রা ক্যামেরা প্রযুক্তিতে নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছেছে। এটির উন্নত ক্যামেরা সেটআপ এবং অসাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলো ফটোগ্রাফির জন্য একে একটি শক্তিশালী ডিভাইস হিসেবে পরিচিত করেছে। এই ক্যামেরার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
প্রধান ক্যামেরা: ২০০ মেগাপিক্সেল, f/1.7 অ্যাপারচার, লেজার অটোফোকাস
স্যামসাং এস ২৪ আল্ট্রার প্রধান ক্যামেরাটি ২০০ মেগাপিক্সেল ক্ষমতার, যা অত্যন্ত উচ্চমানের ডিটেইলসসহ ছবি তুলতে সক্ষম। f/1.7 অ্যাপারচার থাকার ফলে ক্যামেরা প্রচুর পরিমাণ আলো সংগ্রহ করতে পারে, যা কম আলোতেও উজ্জ্বল ও পরিষ্কার ছবি তোলার সুযোগ করে দেয়।
লেজার অটোফোকাস প্রযুক্তি দ্রুত এবং নির্ভুল ফোকাস করতে সাহায্য করে, যা বিশেষ করে চলন্ত বা দূরের অবজেক্ট ফোকাস করার সময় অত্যন্ত কার্যকর। এই ক্যামেরাটি আপনাকে প্রকৃতি, আর্কিটেকচার বা ব্যক্তির ছবি তুলতে অসাধারণ অভিজ্ঞতা দেবে।
টেলিফটো লেন্স: ১০ মেগাপিক্সেল, ১০এক্স অপটিক্যাল জুম
এই ডিভাইসটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর ১০ মেগাপিক্সেল টেলিফটো লেন্স, যা ১০এক্স অপটিক্যাল জুম সমর্থন করে। অপটিক্যাল জুম মানে আপনি ছবি জুম করলেও তার মান কমবে না। টেলিফটো লেন্স দূরের অবজেক্ট স্পষ্ট এবং ডিটেইলসহ ক্যাপচার করতে সাহায্য করে, যা দূরের ছবি তোলার জন্য খুবই কার্যকর।
আল্ট্রাওয়াইড লেন্স: ১২ মেগাপিক্সেল, ১২০ ডিগ্রি ভিউ
স্যামসাং এস ২৪ আল্ট্রার আল্ট্রাওয়াইড লেন্সটি ১২ মেগাপিক্সেল ক্ষমতার, যা ১২০ ডিগ্রি ভিউ প্রদান করে। এর অর্থ, আপনি একটি ফ্রেমে আরও বেশি দৃশ্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। এই লেন্সটি প্রাকৃতিক দৃশ্য, বড় দলছবি, বা বড় স্থাপত্যের ছবি তোলার জন্য আদর্শ। ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ফিচারের কারণে আপনি ছবিতে আরও বিস্তৃত এলাকা ধরে রাখতে সক্ষম হবেন, যা ফটোগ্রাফিতে নতুন মাত্রা যোগ করে।
সেলফি ক্যামেরা: ১২ মেগাপিক্সেল, f/2.2 অ্যাপারচার
স্যামসাং এস ২৪ আল্ট্রার ১২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরাটি f/2.2 অ্যাপারচার সহ আসে, যা আপনাকে সেলফি তুলতে নতুন অভিজ্ঞতা দেবে। এই ক্যামেরাটি কম আলোতেও স্বচ্ছ এবং সুন্দর ছবি তুলতে সক্ষম।
সেলফি তোলার সময় এর অ্যাপারচার বড় হওয়ার কারণে ক্যামেরাটি প্রচুর আলো ধরতে পারে, যা সেলফিকে আরও উজ্জ্বল এবং ডিটেইলড করে তোলে। এছাড়াও, গ্রুপ সেলফির জন্য এই ক্যামেরাটি বেশ উপযোগী, কারণ এতে বেশ বড় ফ্রেমে ছবি তোলা যায়।
স্যামসাং এস ২৪ আল্ট্রার ক্যামেরার এই বৈশিষ্ট্যগুলো আপনার ফটোগ্রাফির অভিজ্ঞতাকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে। ২০০ মেগাপিক্সেল প্রধান ক্যামেরা, ১০এক্স অপটিক্যাল জুমসহ টেলিফটো লেন্স, ১২০ ডিগ্রি ভিউ সহ আল্ট্রাওয়াইড লেন্স, এবং উন্নত সেলফি ক্যামেরা—সবগুলো মিলে এটি একটি অসাধারণ ক্যামেরা ডিভাইস হিসেবে কাজ করে।
ছবি তোলার টেকনিক
ছবি তোলার ক্ষেত্রে সঠিক টেকনিক ও মোডের ব্যবহার একটি ছবিকে সাধারণ থেকে অসাধারণ করে তুলতে পারে। স্যামসাং এস ২৪ আল্ট্রার মতো আধুনিক ক্যামেরার বৈশিষ্ট্যগুলো ব্যবহার করে আপনি সহজেই পেশাদার মানের ছবি তুলতে পারবেন। তবে এর জন্য সঠিক মোড এবং টেকনিক জানাটা জরুরি। নিচে বিভিন্ন মোড এবং তাদের সঠিক ব্যবহারের টেকনিক নিয়ে আলোচনা করা হলো:
সঠিক মোড নির্বাচন
ছবি তোলার আগে ক্যামেরার সঠিক মোড নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মোড সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে আপনি ইচ্ছামতো ছবি তুলতে সক্ষম হবেন।
প্রো মোড: যদি আপনি ক্যামেরার সেটিংস ম্যানুয়ালি নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাহলে প্রো মোড ব্যবহার করতে পারেন। প্রো মোডে শাটার স্পিড, আইএসও, হোয়াইট ব্যালেন্স, এবং এক্সপোজার ম্যানুয়ালি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই মোডটি মূলত অভিজ্ঞ ফটোগ্রাফারদের জন্য যারা প্রতিটি সেটিং নিজের মতো করে ঠিক করতে চান।
শাটার স্পিড: শাটার স্পিড কমিয়ে দিলে ছবিতে লাইট বেশি প্রবেশ করবে, যা অল্প আলোতে ছবি তুলতে সহায়ক। আবার শাটার স্পিড বাড়ালে দ্রুত গতির কোনো অ্যাকশন ক্যাপচার করা যায়।
আইএসও: আইএসও কমিয়ে দিলে ছবির গ্রেইন বা নয়েজ কম হয়, তবে আলোও কমে যায়। আবার আইএসও বাড়ালে আলো বাড়ে, কিন্তু নয়েজ বেড়ে যায়।
হোয়াইট ব্যালেন্স: এটি নিয়ন্ত্রণ করে ছবিতে আলোর তাপমাত্রা (কেলভিন) ঠিক করা হয়। হোয়াইট ব্যালেন্স সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করলে ছবির রঙগুলো আরও প্রাকৃতিক দেখায়।
এক্সপোজার: এক্সপোজার বাড়িয়ে বা কমিয়ে ছবিতে আলোর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
পোর্ট্রেট মোড: যদি আপনি ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করে সাবজেক্টকে ফোকাস করতে চান, তাহলে পোর্ট্রেট মোড ব্যবহার করুন। পোর্ট্রেট মোড মূলত সাবজেক্টকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে এবং ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করে দেয়, যা ছবিতে একটি বোকেহ ইফেক্ট তৈরি করে। এটি বিশেষ করে মানুষের ছবি তোলার জন্য অত্যন্ত কার্যকর, কারণ এই মোডে মুখের বিবরণ ও ডিটেইলস খুব সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে।
নাইট মোড: কম আলোতে পরিষ্কার ও ডিটেইলড ছবি তুলতে নাইট মোড ব্যবহার করুন। রাতে বা কম আলোয় ছবি তোলা সাধারণত কঠিন হয়, কারণ আলো কম থাকায় ছবি ঝাপসা বা অন্ধকার হয়ে যেতে পারে। নাইট মোড ক্যামেরার সেন্সরকে বেশি আলো ধরতে সাহায্য করে, ফলে ছবিতে আলো ও ডিটেইল ভালোভাবে ফুটে ওঠে। স্যামসাং এস ২৪ আল্ট্রার নাইট মোড কম আলোতে অসাধারণ ছবি তোলার জন্য আদর্শ।
এক্সপার্ট RAW মোড: যদি আপনি পেশাদার মানের ছবি তুলতে চান এবং পোস্ট-এডিটিংয়ে ফাইন টিউন করতে ইচ্ছুক হন, তাহলে এক্সপার্ট RAW মোড ব্যবহার করতে পারেন। এক্সপার্ট RAW মোড আপনাকে কাঁচা (RAW) ফাইল দেয়, যা সাধারণ JPEG বা PNG ফরম্যাটের তুলনায় অনেক বেশি ডিটেইল ও ডাইনামিক রেঞ্জ ধরে রাখতে সক্ষম। এই ফাইলগুলো পোস্ট-এডিটিংয়ের সময় লাইটরুম বা ফটোশপের মতো সফটওয়্যারে সম্পাদনার জন্য আদর্শ। RAW ফাইলের সুবিধা হলো আপনি ছবির রঙ, এক্সপোজার, কনট্রাস্ট ইত্যাদি যথাযথভাবে সামঞ্জস্য করতে পারবেন।
বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ছবি তোলার টিপস
সঠিক মোড নির্বাচন করার পাশাপাশি কিছু টেকনিকাল টিপস অনুসরণ করলে আপনি আরও ভালো মানের ছবি তুলতে পারবেন।
আলো: ছবির মান অনেকটাই নির্ভর করে আলো কেমন ব্যবহৃত হচ্ছে তার উপর। চেষ্টা করুন ন্যাচারাল লাইট বা প্রাকৃতিক আলোতে ছবি তুলতে। সকাল ও বিকালের নরম আলো ছবির জন্য সবচেয়ে উপযোগী।
ফোকাস: সাবজেক্টের ওপর সঠিকভাবে ফোকাস করতে ভুলবেন না। বিশেষত প্রো মোডে ম্যানুয়াল ফোকাস ব্যবহার করে সাবজেক্টের ডিটেইলস আরও ভালোভাবে ধরতে পারবেন।
কম্পোজিশন: রুল অফ থার্ডস বা সিমেট্রি ব্যবহার করে ফ্রেম সাজানোর চেষ্টা করুন। এতে ছবি দেখতে আরও প্রোফেশনাল ও আকর্ষণীয় হবে।
স্টেবিলিটি: ছবি তোলার সময় ক্যামেরা স্থির রাখুন, বিশেষ করে কম আলোতে। এতে ছবিতে ঝাঁকুনি বা ব্লার হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
ছবি তোলার সময় সঠিক মোডের নির্বাচন এবং আলোর ব্যবহার একটি ছবি প্রোফেশনাল মানের করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্যামসাং এস ২৪ আল্ট্রার প্রো মোড, পোর্ট্রেট মোড, নাইট মোড, এবং এক্সপার্ট RAW মোডের মতো ফিচারগুলো ব্যবহার করে আপনি ছবি তোলার অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারেন।
আলোর ব্যবহার
ছবি তোলার ক্ষেত্রে আলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। সঠিক আলো ব্যবহারের মাধ্যমে ছবি আরও প্রোফেশনাল ও আকর্ষণীয় হতে পারে। আলো কেবলমাত্র ছবি তোলার সময় সাবজেক্টকে উজ্জ্বল করে তোলে না, এটি ছবির মুড, টেক্সচার এবং ডিটেইলস প্রকাশ করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ছবি তোলার সময় আলোর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত।
ন্যাচারাল লাইটের ব্যবহার
ন্যাচারাল লাইট, অর্থাৎ প্রাকৃতিক আলো ছবি তোলার জন্য সবচেয়ে ভালো এবং সহজলভ্য উৎস। দিনের সময়ের উপর নির্ভর করে প্রাকৃতিক আলোর গুণগত মান বদলায়। সকাল ও বিকালের নরম আলো বিশেষভাবে উপযোগী, কারণ এই সময় আলো অনেক নরম থাকে এবং ছায়াগুলোও হালকা হয়। এই সময়ে আলো সরাসরি না এসে তির্যকভাবে পড়ে, ফলে সাবজেক্টের ওপর মৃদু আলো পড়ে এবং ছবিতে একটি কোমল ও প্রাকৃতিক আবহ তৈরি হয়। এছাড়াও, এই সময়ের আলোতে ত্বকের টোন আরও সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে এবং ছবিতে কোনো রকমের হার্শ বা স্ট্রং শ্যাডো থাকে না।
উজ্জ্বল সূর্যালোক এবং ছায়ার ব্যবহার
দুপুরের সময়ে, যখন সূর্য তীব্র আলো দেয়, তখন সরাসরি আলো ব্যবহার করার বদলে ছায়া বা শেড খুঁজে নেওয়া উচিত। তীব্র আলো ছবিতে হার্শ শ্যাডো তৈরি করতে পারে, যা সাবজেক্টের কিছু অংশকে বেশি উজ্জ্বল করে তোলার পাশাপাশি অন্য অংশকে অন্ধকার করে দেয়। এই সময়ে ফটোগ্রাফারদের উচিত এমন স্থান খোঁজা, যেখানে আলো ছায়ার সঙ্গে মিশে একটি ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে। ছায়ার মধ্যে ছবি তুললে সাবজেক্টের মুখের অভিব্যক্তি এবং ডিটেইলস স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে এবং ছবিতে আলোর শার্পনেস কমে যায়। ছায়া ব্যবহার করে ছবি তুলতে ফটোগ্রাফাররা রিফ্লেক্টরও ব্যবহার করতে পারেন, যা আলোকে ছড়িয়ে দেয় এবং ছবিকে আরও হালকা ও মসৃণ করে তোলে।
রাতের ছবি তুলতে আলোর ব্যবহার
রাতে বা কম আলোতে ছবি তোলা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তবে স্যামসাং এস ২৪ আল্ট্রার মতো ক্যামেরায় আধুনিক প্রযুক্তি থাকায় এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। নাইট মোড ব্যবহার করে কম আলোতেও ডিটেইল এবং ক্লারিটি সহ ছবি তোলা যায়। নাইট মোড ছবির এক্সপোজার বাড়িয়ে সাবজেক্টের সর্বাধিক ডিটেইলস ক্যাপচার করে, ফলে ছবি উজ্জ্বল ও পরিষ্কার দেখায়।
এর পাশাপাশি এআই ব্রাইটনেস ফিচারটি ব্যবহার করলে ক্যামেরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলোর তীব্রতা শনাক্ত করে এবং ছবির উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে। এটি রাতে বা অন্ধকার পরিবেশে ছবি তোলার সময় অত্যন্ত কার্যকরী, কারণ ক্যামেরা নিজেই আলো নিয়ন্ত্রণ করে এবং ছবিতে সামঞ্জস্যপূর্ণ আলোর উপস্থিতি নিশ্চিত করে।
কৃত্রিম আলোর ব্যবহার
কিছু পরিস্থিতিতে কৃত্রিম আলোর ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে পড়ে। ইনডোর ফটোগ্রাফিতে কৃত্রিম আলোর উৎস যেমন ফ্ল্যাশ, ল্যাম্প বা এলইডি লাইট ব্যবহার করা যায়। ফ্ল্যাশের ক্ষেত্রে সরাসরি সাবজেক্টের উপর আলো ফেলার বদলে, ফ্ল্যাশকে বাউন্স করিয়ে ছাদ বা দেয়াল থেকে আলোর প্রতিফলন করানো ভালো। এটি হার্শ শ্যাডো কমিয়ে সাবজেক্টকে নরম আলোয় আলোকিত করে।
গোল্ডেন আওয়ার এবং ব্লু আওয়ার
গোল্ডেন আওয়ার হলো সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের ঠিক আগে ও পরে সময়, যখন আলোর তেজ কম থাকে এবং একটি স্বর্ণালি আভা তৈরি হয়। এই সময়ে ছবির টোন এবং টেক্সচার বিশেষভাবে আকর্ষণীয় হয়। তাছাড়া, সূর্যাস্তের পরে যে সময়টি আসে তাকে ব্লু আওয়ার বলা হয়। এই সময়ে আকাশের আলো নীলাভ থাকে, যা ছবিতে একটি রহস্যময় ও শান্ত আবহ যোগ করে।
আলো সঠিকভাবে ব্যবহার করলে একটি সাধারণ ছবি অসাধারণ হয়ে উঠতে পারে। ন্যাচারাল লাইটের সদ্ব্যবহার, তীব্র সূর্যালোতে সাবজেক্টকে ছায়ায় রাখা, এবং রাতের ছবি তোলার জন্য নাইট মোড ও এআই ব্রাইটনেসের মতো ফিচার ব্যবহার করে আপনি স্যামসাং এস ২৪ আল্ট্রার ক্যামেরা থেকে সর্বোচ্চ মানের ছবি তুলতে পারবেন।
ক্যামেরা লেন্স পরিষ্কার রাখুন
ক্যামেরা লেন্স পরিষ্কার না থাকলে ছবি ঝাপসা হতে পারে। নিয়মিত লেন্স পরিষ্কার করা জরুরি।
ফ্রেমিং এবং কম্পোজিশন
ফ্রেমিং এবং কম্পোজিশন ছবি তোলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা ছবির মানকে অনেক বেশি উন্নত করতে পারে। সঠিক ফ্রেমিং ও কম্পোজিশনের মাধ্যমে ছবি আরও আকর্ষণীয় ও প্রোফেশনাল দেখাতে পারে। নীচে দুইটি মূল কম্পোজিশন টেকনিক আলোচনা করা হলো:
রুল অফ থার্ডস
‘রুল অফ থার্ডস’ হল সবচেয়ে সাধারণ ও কার্যকরী কম্পোজিশন টেকনিক। এই নিয়মটি অনুসারে ফ্রেমকে দুটি অনুভূমিক ও দুটি উল্লম্ব লাইনে ভাগ করে মোট নয়টি সমান অংশে বিভক্ত করতে হয়। এই লাইনের চৌরাস্তা বা যেখানে লাইনের সংযোগ ঘটেছে, সেই পয়েন্টগুলিকে ফোকাস পয়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করতে হয়। ফ্রেমের মাঝখানে সাবজেক্ট রাখার পরিবর্তে, সাবজেক্টকে এই পয়েন্টগুলির একটির উপর রাখার চেষ্টা করুন।
রুল অফ থার্ডস ব্যবহার করার মাধ্যমে ছবির ব্যালেন্স ও প্রোপরশন বেশি সুন্দর হয় এবং সাবজেক্টও দর্শকের চোখে সহজে আসে। ফ্রেমের মাঝখানে সবকিছু রাখার পরিবর্তে, এই নিয়ম অনুসরণ করলে ছবি আরও গতিশীল, প্রাকৃতিক ও প্রোফেশনাল মনে হয়। যেমন, কোনো প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি তুললে, আকাশ এবং মাটির সীমারেখাকে এই রুল অনুযায়ী উপরের তৃতীয়াংশে বা নিচের তৃতীয়াংশে রাখলে ছবিটি ভারসাম্যপূর্ণ দেখায়।
সিমেট্রি এবং প্যাটার্নস
সিমেট্রি এবং প্যাটার্ন ছবি তোলার কম্পোজিশনে একটি শক্তিশালী টেকনিক, যা ছবিতে স্থিরতা ও ভারসাম্য আনতে সাহায্য করে। সিমেট্রি হল দুটি সমান বা মিলনোভাবযুক্ত অংশের ছবি, যা ছবির দুটি প্রান্তে সমানভাবে ছড়িয়ে থাকে। প্রকৃতির সিমেট্রি যেমন পাখির ডানা, ফুলের পাপড়ি, বা কোনো স্থাপত্যের সিমেট্রিক্যাল ডিজাইন ছবিতে নান্দনিকতা যোগ করে।
প্যাটার্ন হল ফ্রেমে পুনরাবৃত্তি হওয়া একই ধরনের আকৃতি বা বস্তুর সমন্বয়, যা ছবিতে একটি আকর্ষণীয় ভিজ্যুয়াল প্রভাব তৈরি করে। মানুষ স্বাভাবিকভাবেই প্যাটার্নের প্রতি আকৃষ্ট হয়, এবং এটি ছবিতে গভীরতা ও ব্যালেন্স আনতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, রাস্তার ল্যাম্প পোস্টগুলোর সারি বা ছাদের টাইলসের পুনরাবৃত্তি একটি আকর্ষণীয় প্যাটার্ন তৈরি করতে পারে।
সিমেট্রি ও প্যাটার্নসের সঠিক ব্যবহার করলে ছবি অনেক বেশি সৃজনশীল ও দৃষ্টিনন্দন হয়। বিশেষ করে স্থাপত্য, প্রকৃতি বা স্ট্রিট ফটোগ্রাফিতে এই টেকনিকগুলো কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
ফ্রেমিংয়ের গুরুত্ব
সঠিক ফ্রেমিং একজন ফটোগ্রাফারকে সাবজেক্টের সঙ্গে পটভূমির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফ্রেমিংয়ের মাধ্যমে ছবি থেকে অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দেওয়া যায় এবং মূল সাবজেক্টকে কেন্দ্রে আনা যায়।
ফ্রেমিং এবং কম্পোজিশনের এই টেকনিকগুলো রপ্ত করলে আপনি যে কোনো পরিস্থিতিতে প্রোফেশনাল মানের ছবি তুলতে সক্ষম হবেন।
স্টেবিলিটি এবং ট্রাইপড
শাটার চাপার সময় ফোন নড়াচড়া করলে ছবি ঝাপসা হতে পারে। তাই ছবি তোলার সময় ফোন স্থির রাখুন। দীর্ঘ এক্সপোজার ছবি তুলতে হলে ট্রাইপড ব্যবহার করতে পারেন।
এআই অটোফোকাস এবং টাচ ফোকাস
ফোকাস করতে সাবজেক্টের উপর স্ক্রিনে টাচ করে রাখুন। যদি সাবজেক্ট মুভিং হয়, তাহলে এআই অটোফোকাস অ্যাক্টিভেট করুন যাতে ফোকাস সঠিক থাকে।
এইচডিআর এবং লাইভ ফোকাস ব্যবহার
আলো এবং ছায়ার ব্যালেন্স করার জন্য এইচডিআর মোড ব্যবহার করুন। এতে ছবিতে ডিটেইলস ভালো আসে।
লাইভ ফোকাস ব্যবহার করে ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করার পাশাপাশি ফোকাসে থাকা সাবজেক্টকে শার্প রাখুন।
পোস্ট প্রসেসিং
স্যামসাং এস ২৪ আল্ট্রাতে থাকা বিল্ট-ইন এডিটিং টুলস ব্যবহার করে ছবি আরও উন্নত করতে পারেন। কনট্রাস্ট, ব্রাইটনেস, শার্পনেস বাড়িয়ে ছবিকে আরও আকর্ষণীয় করতে পারবেন।
এই গাইডলাইনগুলো মেনে চললে আপনি স্যামসাং এস ২৪ আল্ট্রা দিয়ে প্রোফেশনাল মানের ছবি তুলতে সক্ষম হবেন।