img

ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানালো যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত :  ১৮:০৩, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ২০:৩৮, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানালো যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ

অবৈধ, অসাংবিধানিক সরকার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছে দাবি করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পূর্বে বাংলা, বাঙালি, স্বাধীনতা ও স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৬ বছরের ইতিহাস জাতির মুক্তির স্বপ্ন, সাধনা এবং সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের ইতিহাস।

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পর সর্বপ্রথম মাতৃভাষা বাংলার জন্য সংগ্রাম করেছিল। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনে ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলনে ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিলো অনন্য। ১৯৬৯ সালে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন ছাত্রলীগের ঐতিহাসিক ভূমিকা ছিল।

১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে তৎকালীন ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। তখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্যানগার্ড হিসেবে ছাত্রলীগ কাজ করত। সারা বাংলাদেশে পাকিস্তানের অপশাসনের বিরুদ্ধে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্বাচিত করতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ছাত্রলীগ সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে, যার মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের গতি ত্বরান্বিত হয়। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী শাহাদাত বরণ করেন।

জন্মের প্রথম লগ্ন থেকেই ভাষার অধিকার, শিক্ষার অধিকার, বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান, সর্বোপরি স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সবচেয়ে সফল সাহসী সারথি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন "ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস’।সুতরাং বাংলাদেশের ইতিহাসকে মুছে ফেলার ঘৃণ্য চক্রান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ঘরে,ঘরে যে সংগঠনটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, তা নিষিদ্ধ করা যায় না। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের লক্ষ-কোটি নেতাকর্মীর হ্রদয় থেকে ছাত্রলীগের আদর্শকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়। ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের ষড়যন্ত্র, স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্তের অংশ। তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ৩০ লক্ষ শহীদের ইতিহাস মুছে ফেলতে চায়। এই ষড়যন্ত্রকারীরাই অবৈধভাবে জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করে আছে। যাদের নিজদের বৈধতা নেই, তারা কিভাবে ইতিহাস ঐতিহ্যের সংগঠনকে নিষিদ্ধ করবে ? এ সমস্ত ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িতরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগই প্রজন্মের অনুপ্রেরণা, আমাদের শক্তি, আমাদের সাহস। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার সোনালি অতীতের মতো সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়বে।

জয় বাংলা

জয় বঙ্গবন্ধু

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

টাওয়ার হ্যামলেটসে চালু হলো সাঁতার শেখার স্কুল ‘বি ওয়েল—সুইম ওয়েল’

প্রকাশিত :  ১৯:০৭, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

টাওয়ার হ্যামলেটসের মাইল এন্ড পার্ক লেজার সেন্টারে কাউন্সিলের লেজার সার্ভিসেস ‘বি ওয়েল’ ৪ ডিসেম্বর তাদের নতুন সাঁতার শিখন স্কুল ‘বি ওয়েল সুইম ওয়েল’ চালু করেছে। এই সুইম স্কুলের লক্ষ্য হল বাসিন্দাদের সাঁতারের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী ও নিরাপদ করে তোলা।

সুইম ইংল্যান্ডের লার্ন টু সুইম ফ্রেমওয়ার্ক অনুসরণ করে ‘বি ওয়েল সুইম ওয়েল’। এই ফ্রেমওয়ার্ক হচ্ছে ইংল্যান্ডের জাতীয় সাঁতার প্রশিক্ষণ কাঠামো। এতে অন্তর্ভুক্তঃ
— দক্ষ ও সদ্য প্রশিক্ষিত প্রশিক্ষক।
— ছোট ছোট ক্লাস, যাতে মনোযোগ ও নির্দেশনায় বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া সম্ভব।
— সাঁতারের প্রতিটি ধাপের জন্য নির্ধারিত ক্লাস, বিশেষ করে বিশেষ শিক্ষা চাহিদা ও প্রতিবন্ধী (সেন্ড) শিক্ষার্থীদের জন্য সুনির্দিষ্ট ক্লাসের আয়োজন
— প্রতিটি ধাপের স্পষ্ট অগ্রগতি, যা একটি কাঠামোবদ্ধ শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে নিশ্চিত করে।
— প্রতিটি মাইলফলক উদযাপনে অফিসিয়াল সার্টিফিকেট।

৪ ডিসেম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুইম ইংল্যান্ডের প্রতিনিধি জেমস প্যারামোর টাওয়ার হ্যামলেটসের সঙ্গে নতুন এই অংশীদারিত্ব এবং সাঁতারকে জীবন রক্ষাকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হিসেবে গড়ে তোলার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

অক্টোবরে, স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর সঙ্গে একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় এই এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সুইম স্কুলের জন্য নতুন নাম ও মাসকট বাছাই করা হয়।

মে ফ্লাওয়ার প্রাইমারি স্কুলের ইনায়াহ রহমান ডিজাইন করেছে “বাবলস দ্য বি ওয়েল ডাক,” যা বি ওয়েল সুইম স্কুলের অফিসিয়াল মাসকট হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। অপরদিকে, ওসমানী প্রাইমারি স্কুলের মুসা হোসেন তৈরি করে সুইম নিরাপত্তা সঙ্গী “অক্টোসেফ,” যা শিশুদের প্রয়োজনীয় সাঁতার নিরাপত্তা বিধি মেনে চলতে উৎসাহিত করবে।

প্রতিযোগিতার বিজয়ী ও তাদের স্কুলের প্রতিনিধিরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের সৃষ্টিশীলতার জন্য পুরস্কৃত হন।